আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,…

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পুরুষদের কাতারের মধ্যে সর্বোত্তম কাতার হল প্রথম কাতার, আর নিকৃষ্টতম কাতার হল শেষ কাতার। আর মহিলাদের কাতারের মধ্যে সর্বোত্তম কাতার হল শেষ কাতার এবং নিকৃষ্টতম কাতার হল প্রথম কাতার।” সহীহ মুসলিম।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পুরুষদের কাতারের মধ্যে সর্বোত্তম কাতার হল প্রথম কাতার, আর নিকৃষ্টতম কাতার হল শেষ কাতার। আর মহিলাদের কাতারের মধ্যে সর্বোত্তম কাতার হল শেষ কাতার আর নিকৃষ্টতম কাতার হল প্রথম কাতার।”

[সহীহ] [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

পুরুষদের কাতারসমূহ হতে সর্বোত্তম ও সর্বাধিক সাওয়াবের কাতার হলো প্রথম কাতার। কারণ তারা ইমামের কাছে ও নারীদের থেকে দূরে অবস্থান করেন। আর সাওয়াব ও ফজিলেতর দিক থেকে সবচেয়ে কম হচ্ছে তাদের শেষ কাতার। কারণ মুসল্লি তাতে কিরাত শ্রবণ থেকে দূরে থাকে, আরো দূরে থাকে ইমামের অবস্থান থেকে। এটি তার কল্যাণ ও সাওয়াবে আগ্রহ কম থাকার প্রমাণ। বস্তুত নারীদের সর্বোত্তম ও সাওয়াবের দিক দিয়ে বেশি হচ্ছে শেষ কাতার। কারণ, পুরুষদের কাতারসমূহ হতে দূরে হওয়ার কারণে এটি নারীদের জন্য অধিক পর্দা ও সুরক্ষার ব্যবস্থা। আর তাদের প্রথম কাতার ফিতনার কাছাকাছি বা তার মুখোমুখি হওয়ার কারণে সাওয়াব ও মর্যাদার দিক দিয়ে কম। এটি যখন নারীগণ পুরুষদের সাথে একই জায়গায় একই ছাদের নিচে সালাত আদায় করে। পক্ষান্তরে যখন তারা একা সালাত আদায় করে বা তারা পুরুষদের থেকে পৃথক জায়গায় সালাত আদায় করে তখন তাদের কাতারের বিধান পুরুষদের কাতারের বিধানের মতো। তখন নারীদের উত্তম কাতার হবে প্রথম কাতার এবং নিকৃষ্ট কাতার হবে শেষ কাতার। এ হিসেবে বলা যায় : নারীদের জন্য নির্ধারিত সালাতের জায়গা যদি পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় যে, তারা পুরুষদের দেখে না এবং পুরুষরাও তাদের দেখে না তখন তাদের প্রথম কাতার শেষ কাতার হতে উত্তম, সমস্যা না থাকার কারণে।

التصنيفات

জামা‘আতের সাথে সালাতের ফযীলত ও তার বিধান