জামা‘আতের সাথে সালাতের ফযীলত ও তার বিধান

জামা‘আতের সাথে সালাতের ফযীলত ও তার বিধান

1- এক অন্ধ ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমার এমন কোন লোক নেই, যে আমাকে মসজিদে নিয়ে আসবে। তারপর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নিজ ঘরে সালাত আদায়ের অনুমতি চাইলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। লোকটি চলে যাচ্ছিল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডাকলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন: “@তুমি কি সালাতের আযান শুনতে পাও?” তিনি বললেন, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তবে তুমি (জামা’আতে) উপস্থিত হবে।”

2- “পরুষের জামা‘আতের সঙ্গে সালাত পড়ার নেকী, তার বাজারে ও বাড়িতে সালাত আদায়ের চেয়ে বিশেরও বেশি গুণ নেকী।* তার ধরন, যখন কোনো ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসে এবং সালাতই তাকে মসজিদে নিয়ে যায়, তখন তার মসজিদে প্রবেশ করা পর্যন্ত প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি মর্যাদা উন্নত হয় ও একটি পাপ মোচন করা হয়। অতঃপর যখন সে মসজিদে প্রবেশ করে, যে পর্যন্ত সালাত তাকে (মসজিদে) আটকে রাখে, তখন পর্যন্ত সে যেন সালাতের মধ্যেই থাকে। আর ফিরিশতারা তোমাদের সেই ব্যক্তির জন্য সে পর্যন্ত রহমতের দো‘আ করতে থাকেন -যে পর্যন্ত সে ঐ স্থানে বসে থাকে, যে স্থানে সে সালাত আদায় করেছে। তারা বলেন, ‘হে আল্লাহ! এর প্রতি দয়া কর, হে আল্লাহ! একে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ! এর তাওবাহ কবুল কর।’ (ফিরিশতাদের এই দো‘আ সে পর্যন্ত চলতে থাকে) যে পর্যন্ত সেখানে কাউকে সে কষ্ট না দেয়, যে পর্যন্ত সেখানে সে ওযু না ভাঙ্গে ।”