যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূ করল, অতঃপর জুমআহ পড়তে এল এবং মনোযোগ সহকারে নীরব থেকে খুতবাহ শুনল, সে ব্যক্তির এই জুমআহ ও…

যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূ করল, অতঃপর জুমআহ পড়তে এল এবং মনোযোগ সহকারে নীরব থেকে খুতবাহ শুনল, সে ব্যক্তির এই জুমআহ ও (আগামী) জুমআর মধ্যেকার এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের (ছোট) পাপসমূহ মাফ ক’রে দেওয়া হল। আর যে ব্যক্তি (খুৎবাহ্ চলাকালীন সময়ে) কাঁকর স্পর্শ করল, সে অনর্থক কর্ম করল।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূ করল, অতঃপর জুমআহ পড়তে এল এবং মনোযোগ সহকারে নীরব থেকে খুতবাহ শুনল, সে ব্যক্তির এই জুমআহ ও (আগামী) জুমআর মধ্যেকার এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের (ছোট) পাপসমূহ মাফ ক’রে দেওয়া হল। আর যে ব্যক্তি (খুৎবাহ্ চলাকালীন সময়ে) কাঁকর স্পর্শ করল, সে অনর্থক কর্ম করল।”

[সহীহ] [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

যে ব্যক্তি অযুর রুকন, সুন্নাত ও আদবসমূহ পূর্ণ করে উত্তমরূপে অযু করে জুমু‘আর সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে উপস্থিত হয়, অতঃপর বৈধ কথা-বার্তা থেকে চুপ করে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে, তার ঐ জুমু‘আ এবং খুতবা থেকে পূর্ববর্তী জুমু‘আ পর্যন্ত, বরং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের সগীরা গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি জুম‘আর সালাতে উপস্থিত হয়ে ছোট ছোট পাথর সম্পর্শ করলো এবং খুতবা অবস্থায় অন্যান্য অনর্থক কাজ করলো তার জু‘মুআর সাওয়াব বিনষ্ট হয়ে গেল।

التصنيفات

জুম‘আর সালাতের ফযীলত