إعدادات العرض
اللهم باعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب
اللهم باعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب
আবূ হুরাইরাহ রদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মাতা-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক, তাকবীর ও কিরাআত এর মধ্যে চুপ থাকার সময় আপনি কী পাঠ করেন? তিনি বললেন, এ সময় আমি বলি: اللهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالثَّلْجِ وَالْمَاءِ وَالْبَرَدِ».“হে আল্লাহ! আমার এবং আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান করে দিন যেমন ব্যবধান করেছেন পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ আমাকে আমার গুনাহ হতে এমনভাবে পবিত্র করুন যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ! আমার গোনাহকে বরফ, পানি ও শিলা দ্বারা ধৌত করে দিন।”
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Tiếng Việt ئۇيغۇرچە Hausa Português Kurdî Kiswahili සිංහල دری অসমীয়া Svenska Yorùbá Кыргызча ગુજરાતી नेपाली മലയാളം Română Nederlands Soomaali پښتو తెలుగు Kinyarwanda ಕನ್ನಡ Српски Moore ქართული Čeština Українська Magyar Македонски Lietuvių Azərbaycan Wolof አማርኛ Malagasy Oromoo ไทยالشرح
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের জন্য তাকবীর বলতেন, তখন সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করার আগে কিছুটা সময় চুপ থাকতেন, সেখানে তিনি কতিপয় দু‘আর মাধ্যমে তার সালাত শুরু করতেন। তিনি যেসব দু‘আ এ সময়ে বলতেন তার মধ্যে রয়েছে: اللهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ*، اللهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالثَّلْجِ وَالْمَاءِ وَالْبَرَدِ».“হে আল্লাহ্! আমার এবং আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান করে দিন যেমন ব্যবধান করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ্ আমাকে আমার গুনাহ হতে এমনভাবে পবিত্র করুন যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ্ আমার গোনাহকে বরফ, পানি ও শিলা দ্বারা ধৌত করে দিন।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার কাছে দু‘আ করতেন যেন তিনি তার গুনাহ এবং তার মাঝে দূরত্ব তৈরী করে দেন, যাতে তিনি গুনাহে পতিত না হন, এমনভাবে যাতে গুনাহের সাথে সাক্ষাৎও না হয়। যেভাবে মাশরিক ও মাগরিবের মধ্যে কখনোই সাক্ষাৎ হয় না। আর যদিও কখনো গুনাহে পতিত হয়ে থাকে, তাহলে সেখান থেকে তাকে যেন পরিচ্ছন্ন করা হয়, আর তার থেকে সেগুলোকে দূরীভুত করা হয় যেমন করে সাদা কাপড় থেকে ময়লা দূর করা হয়। আর তিনি (আল্লাহ) যেন তাকে (নবী সা.) তার গুনাহসমূহ থেকে গোসল করিয়ে এর প্রভাব ও উষ্ণতাকে যেন পানি, বরফ ও শিলা জাতীয় পবিত্রকারী বস্তু দ্বারা ঠান্ডা করে দেন।فوائد الحديث
সালাত জাহরী (উচ্চস্বরে কিরাত পাঠ করা হয় এমন সালাত) হলেও ইস্তিফতাহ তথা প্রারম্ভিক দু‘আ নিঃশব্দে পড়তে হবে।
সাহাবায়ে কেরাম রদিয়াল্লাহু আনহুম আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চলাফেরা ও নড়াচড়ার অবস্থা জানতে অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন।
ইস্তিফতাহ-এর দু‘আর আরো অনেকগুলি বাক্য রয়েছে, কোন ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত ও সাব্যস্ত ইস্তিফতাহের দু‘আগুলি হতে একবার একটি পড়বে আর অন্যবার আরেকটি পড়বে।
التصنيفات
সালাতের যিকিরসমূহ