إعدادات العرض
1- তিনি প্রতিটি সালাতের পশ্চাতে যখন সালাম ফিরাতেন, তখন (এই দু'আটি) পড়তেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুলি শাইয়িন ক্বাদীর। লা হাউলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অলা না’বুদু ইল্লা ইয়্যা-হু লাহুন্নি’মাতু অলাহুল ফাযবলু অলাহুস সানা-উল হাসান, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দীনা অলাউ কারিহাল কা-ফিরূন।” (অর্থ : এক অদ্বিতীয় আল্লাহ ব্যতীত আর কোন সত্য উপাস্য নেই। তাঁর কোন শরীক নেই। [বিশাল] রাজ্যের তিনিই সার্বভৌম অধিপতি। তাঁরই যাবতীয় স্তুতিমালা এবং সমস্ত বস্তুর উপর তিনি ক্ষমতাবান। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার শক্তি নেই। আল্লাহ ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নেই। তাকে ছাড়া আমরা আর কারো ইবাদত করি না, তাঁরই যাবতীয় নি‘আমত, তাঁরই যাবতীয় অনুগ্রহ এবং তাঁরই যাবতীয় সু-প্রশংসা। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমরা বিশুদ্ধ চিত্তে তাঁরই ইবাদত করি, যদিও কাফের দল তা অপছন্দ করে।
2- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সিজদার মাঝখানে বলতেন, হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর, আমাকে রক্ষা করো, আমাকে হিদায়াত দাও এবং আমাকে রিযিক দান করো।
3- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের সালাম ফিরাতেন তিনবার `আসতাগফিরুল্লাহ‘ বলতেন, অতপর বলতেন, (اللهم أنت السلام ومنك السلام، تباركت يا ذا الجلال والإكرام) ¬হে আল্লাহ আপনি শান্তি, আপনার থেকেই শান্তি, আপনি বরকতময়। হে মহিমাময় ও মহানুভব।
4- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বলে দু‘আ করতেন, হে আল্লাহ আমি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
5- হে আল্লাহর রাসূল! আমার মাতা-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক, তাকবীর ও কিরাআত এর মধ্যে চুপ থাকার সময় আপনি কী পাঠ করেন? তিনি বললেন, এ সময় আমি বলি-“হে আল্লাহ! আমার এবং আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান করে দাও যেমন ব্যবধান করেছ পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ আমাকে আমার গুনাহ হতে এমনভাবে পবিত্র কর যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ আমার গোনাহকে বরফ, পানি ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দাও।”
6- হে মুআয! আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি।” অতঃপর হে মুআয আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি যে, তুমি প্রত্যেক সালাতের শেষে: (অর্থ) “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার যিকির, শুকরিয়া (কৃতজ্ঞতা) এবং সুন্দর ইবাদত করতে সাহায্য কর।” দোআটি পড়া অবশ্যই ত্যাগ করবে না।
7- নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ ও সিজদাতে এই তাসবীহটি অধিক মাত্রায় পড়তেন, ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা অবিহামদিক, আল্লাহুম্মাগফিরলী।’ অর্থাৎ, হে আমাদের রব আল্লাহ! তোমার প্রশংসা সহকারে তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি, হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর।
8- আমরা আপনাকে কীভাবে সালাম দেব তা জানলাম। তবে কীভাবে আপনার উপর সালাত পেশ করবো? তিনি বললেন, তোমরা বলো, হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ এর উপর রহমত প্রেরণ করো এবং মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনের উপর। যেমন তুমি রহমত প্রেরণ করেছো ইবরাহীমের উপর। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত। আর বরকত নাযিল করো মুহাম্মাদের উপর এবং মুহাম্মাদের পরিবার পরিজনের উপর যেমন বরকত নাযিল করেছো ইবরাহীমের উপর। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত।
9- কতক তাসবীহ রয়েছে প্রতিটি ফরয সালাতের পর যে ব্যক্তি এগুলো পাঠ করবে সে হতাশ হবে না।
10- যে ব্যক্তি ফরয সালাতের পরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে কোন কিছুই বাঁধা দেবে কেবল মৃত্যু ছাড়া।
11- তারা সত্য বলেছে, তাদেরকে এমন শাস্তি দেওয়া হয় যা সব চতুষ্পদ জন্তু শুনতে পায়।
12- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু থেকে পিঠ উঠানোর সময় বলতেনঃ «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
13- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ফরয সালাতের পর বলতেন
14- অতি পবিত্র, মহা পবিত্র ফেরেশতামন্ডলী ও জিবরীল -এর রব।
15- হে আল্লাহ! ক্ষমা করে দিন আমার গুনাহসমূহ- যা পূর্বে করেছি, যা পরে করেছি, যা আমি গোপনে করেছি, যা প্রকাশ্যে করেছি, যা সীমালঙ্ঘন করে করেছি, আর যা আপনি আমার চেয়ে বেশি জানেন। আপনিই অগ্রগামী করেন এবং আপনিই পিছিয়ে দেন, আপনি ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই।
16- এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সালাতে দাঁড়ালাম। তিনি দাঁড়িয়ে সূরা বাকারাহ তিলাওয়াত করলেন। যখনই কোনো রহমতের আয়াত অতিক্রম করতেন, তিনি থামতেন এবং রহমত কামনা করতেন। আর যখনই কোনো শাস্তির আয়াত অতিক্রম করতেন, তিনি থামতেন এবং আশ্রয় চাইতেন।
17- হে আল্লাহ! জিবরীল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের রব, আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, গায়েব ও প্রকাশ্য সবকিছু জান্তা, আপনার বান্দাগণ যেসব বিষয়ে মতভেদে লিপ্ত আপনিই তার মীমাংসা করে দিবেন। যেসব বিষয়ে মতভেদ হয়েছে তন্মধ্যে আপনি আপনার অনুমতিক্রমে আমাকে যা সত্য সেদিকে পরিচালিত করুন। নিশ্চয় আপনি যাকে ইচ্ছা সরল পথ প্রদর্শন করেন।”
18- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে জাগ্রত হতেন তাকবীর বলতেন, অতঃপর বলতেন : “হে আল্লাহ! আপনার পবিত্রতা ও আপনার প্রশংসা এবং আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি অতি উচ্চ। আর আপনি ব্যতীত অন্য কোনো হক্ব ইলাহ্ নেই।
19- তবে এ ব্যক্তি উত্তম বস্তু দ্বারা তার হাত পরিপূর্ণ করেছে।
20- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাত এবং রুকূ ছিল যখন তিনি রুকূ ও সেজদাহ থেকে মাথা তুলতেন এবং দুই সেজদার মাঝখানে বসতেন প্রায় সমান সময়।
21- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের তাশাহুদ এমনভাবে শেখাতেন যেমনটি তিনি কুরআনের সূরা শেখাতেন।