إعدادات العرض
আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলব না, যার দ্বারা আল্লাহ গোনাহসমূহকে মোচন করবেন এবং (জান্নাতে) তার দ্বারা মর্যাদা…
আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলব না, যার দ্বারা আল্লাহ গোনাহসমূহকে মোচন করবেন এবং (জান্নাতে) তার দ্বারা মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন?” তাঁরা বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, “(তা হচ্ছে) কষ্টকর অবস্থায় পরিপূর্ণরূপে ওযূ করা, অধিক মাত্রায় মসজিদে গমন করা এবং এক অক্তের সালাত আদায় ক’রে পরবর্তী অক্তের সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। আর এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ। এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ।
আবূ হুরায়রা রাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা সমবেত সহচরদের উদ্দেশ্যে) বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলব না, যার দ্বারা আল্লাহ গোনাহসমূহকে মোচন করবেন এবং (জান্নাতে) তার দ্বারা মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন?” তাঁরা বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, “(তা হচ্ছে) কষ্টকর অবস্থায় পরিপূর্ণরূপে ওযূ করা, অধিক মাত্রায় মসজিদে গমন করা এবং এক অক্তের সালাত আদায় ক’রে পরবর্তী অক্তের সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। আর এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ। এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ।”
[সহীহ] [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Tiếng Việt Hausa Kurdî Kiswahili Português සිංහල دری অসমীয়া ไทย አማርኛ Svenska Кыргызча Yorùbá ગુજરાતી नेपाली മലയാളം Oromoo Română Nederlands Soomaali پښتو తెలుగు Kinyarwanda Malagasy ಕನ್ನಡ Српски Moore ქართულიالشرح
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় সাহাবীদের নিকট একটি বিষয় পেশ করলেন। যদিও তিনি জানতেন তারা উত্তরে কি বলবেন। এটি হলো তার তালীমের সৌন্দর্য। তিনি মাঝে মাঝে মানুষের সামনে বিভিন্ন মাসায়েল তুলে ধরেন যাতে মানুষ সতর্ক হয় এবং কি বলে তা জানতে পারে। তাই তিনি বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলব না, যার দ্বারা আল্লাহ গোনাহসমূহকে মোচন করে দেবেন এবং (জান্নাতে) তার দ্বারা মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন?” তাঁরা বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রসূল!’ অর্থাৎ, আপনি আমাদের সংবাদ দেন। আমরা মহব্বত করি যে আপনি আমাদের এমন বিষয়ে অবগত করেন যদ্বারা আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং গোনাহসমূহ মোচন হবে। তিনি বললেন, প্রথমত: (তা হচ্ছে) কষ্টকর অবস্থায় পরিপূর্ণরূপে ওযূ করা, যেমন, শীত কাল। কারণ শীতকালে পানি ঠান্ডা থাকে। তখন এমন কষ্ট সত্বেও যদি কোন ব্যক্তি ওযূকে পূর্ণ করে, তা তার ঈমানের পূর্ণতার ওপর দলীল বহন করে। তাই আল্লাহ এ দ্বারা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং গোনাহসমূহ মোচন করে দেবেন। দ্বিতীয়ত: যে সব আমলের জন্য মসজিদে আসাকে বৈধ করা হয়েছে সে সব আমলের জন্য অধিক মাত্রায় মসজিদে গমন করা। আর তা হলো পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের জন্য মসজিদে গমন করা যদিও মসজিদ অনেক দূরে হয়। তৃতীয়ত: মানুষ সালাতের প্রতি মনোযোগী হবে। যখনই সে এক সালাত শেষ করবে অপেক্ষায় অপর সালাতের সাথে তার অন্তর সম্পৃক্ত থাকবে। যদি সে এক সালাতের পর অপর সালাতের অপেক্ষায় থাকে। তাহলে এটি প্রমাণ করে তার ঈমান, আল্লাহর প্রতি তার মুহাব্বাত এবং সালাতসমূহের প্রতি তার আগ্রহের বিষয়কে। যখন কোন ব্যক্তি এক সালাতের পর অপর সালাতের অপেক্ষা করে তখন তা তার মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে এবং তার দ্বারা তার গুনাহসমূহ ক্ষমা হয়। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দেন যে, পবিত্রতা, সালাত এবং ইবাদাতের ওপর স্থায়ী হওয়া আল্লাহর রাস্তায় পাহাদারী করার মতো।التصنيفات
সৎকাজের ফযীলত