যে ব্যক্তি আহার শেষে এই দো‘আ পড়বে-‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব্আমানী হা-যা অরাযাক্বানীহি মিন গাইরি হাওলিম…

যে ব্যক্তি আহার শেষে এই দো‘আ পড়বে-‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব্আমানী হা-যা অরাযাক্বানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী অলা ক্বুউওয়াহ।’ (অর্থাৎ সেই আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা যিনি আমাকে এ খাওয়ালেন এবং জীবিকা দান করলেন, আমার কোন চেষ্টা ও সামর্থ্য ছাড়াই) সে ব্যক্তির পূর্বের সমস্ত পাপ মোচন করে দেওয়া হবে।

মু‘আয ইবন আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি আহার শেষে এই দো‘আ পড়বে-‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব্আমানী হা-যা অরাযাক্বানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী অলা ক্বুউওয়াহ।’ (অর্থাৎ সেই আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা যিনি আমাকে এ খাওয়ালেন এবং জীবিকা দান করলেন, আমার কোন চেষ্টা ও সামর্থ্য ছাড়াই) সে ব্যক্তির পূর্বের সমস্ত পাপ মোচন করে দেওয়া হবে।”

[হাসান] [এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

মানুষের উচিৎ, যখন সে খানা খায় তখন সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে এবং বলে ‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব্আমানী হা-যা অরাযাক্বানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী অলা ক্বুউওয়াহ।’ (অর্থাৎ সেই আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা যিনি আমাকে এ খাওয়ালেন এবং জীবিকা দান করলেন, আমার কোন শক্তি ও চেষ্টা ছাড়াই)। এর মাধ্যমে তিনি খাদ্যসংগ্রহের দুটি পন্থার দিকে ইশারা করলেন, কেননা শক্তিশালী ব্যক্তি তার শক্তি দিয়ে খাদ্য উপার্জন করে, আর দুর্বল ব্যক্তি তার খাদ্য উপার্জনের জন্য তদবীর করে। এই হাদীসের দ্বারা ইশারা করা হয়েছে যে, এই খাদ্য উপার্জন শুধু আল্লাহর অনুগ্রহে হয়েছে; এতে অন্য কারও হাত নেই।

التصنيفات

আকস্মিক বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট যিকিরসমূহ