إعدادات العرض
1- যে ব্যক্তি কোখাও অবতরণ করে এ দু`আ (أعوذ بكلمات الله التَّامَّات من شرِّ ما خلَق) পাঠ করে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে জায়গা থেকে ফিরে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন কিছুই তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
2- নিশ্চয় আমি এমন এক বাক্য জানি, যদি সে তা পড়ে, তাহলে তার ক্রোধ দূরীভূত হবে। যদি সে বলে ‘আউযু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজীম’ (অর্থাৎ আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাইছি), তাহলে তার উত্তেজনা ও ক্রোধ সমাপ্ত হবে।
3- প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তি, যার কাছে আমি উল্লিখিত হলাম [আমার নাম উচ্চারিত হল], অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করল না।
4- যে ব্যক্তি আহার শেষে এই দো‘আ পড়বে-‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব্আমানী হা-যা অরাযাক্বানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী অলা ক্বুউওয়াহ।’ (অর্থাৎ সেই আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা যিনি আমাকে এ খাওয়ালেন এবং জীবিকা দান করলেন, আমার কোন চেষ্টা ও সামর্থ্য ছাড়াই) সে ব্যক্তির পূর্বের সমস্ত পাপ মোচন করে দেওয়া হবে।
5- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শয্যা-গ্রহণ করতেন, তখন নিজ হাত দু’টিতে সূরা নাস ও ফালাক পড়ে ফুঁ দিতেন এবং তার দ্বারা নিজ সমগ্র শরীরে বুলাতেন।
6- সেই আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাদেরকে পানাহার করিয়েছেন, তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়েছেন এবং আশ্রয় দিয়েছেন। অথচ কত এমন লোক আছে যাদের যথেষ্ট-কারী ও আশ্রয়দাতা নেই।
7- তোমরা বাতাসকে গালি দিও না, যখন তোমরা অপছন্দ কিছু দেখ, তখন বলো: হে আল্লাহ, তোমার নিকট এই বাতাস ও তার ভেতরে থাকা কল্যাণ প্রার্থনা করি এবং তোমার নিকট এই বাতাস ও তার ভেতরে থাকা অনিষ্ট এবং তাকে যে অনিষ্টের নির্দেশ করা হয়েছে, তার থেকে পানাহ চাই।
8- সেই ব্যক্তির নাক ধূলা-ধূসরিত হোক, যার কাছে আমার নাম উল্লেখ করা হল, অথচ সে [আমার নাম শুনে] আমার প্রতি দরূদ পড়ল না।
9- “যখন তোমরা বিছানায় যাবে, তখন ৩৩ বার ‘আল্লাহ আকবার’, ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ এবং ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পাঠ করবে।”
10- হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এ মেঘের কল্যাণ কামনা করছি এবং এর মধ্যে যে সব কল্যাণ রয়েছে এবং যে কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রেরিত হয়েছে তাও এবং আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এর ক্ষতি ও ধ্বংস থেকে এবং যে মন্দের জন্য একে পাঠানো হয়েছে তা থেকেও।
11- বায়ু আল্লাহর আশীষ, যা রহমত আনে এবং আযাবও আনে। কাজেই তোমরা যখন তা প্রবাহিত হতে দেখবে, তখন তাকে গালি দিও না; বরং আল্লাহর নিকট তার কল্যাণ প্রার্থনা কর এবং তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাও।”
12- এটা এক (প্রকারের) শয়তান— যার নাম ’খিনযিব’। যে সময় তুমি তার উপস্থিতি বুঝতে পারবে তখন (আউয়ুবিল্লাহ পড়ে) তার অনিষ্ট হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে তিনবার তোমার বাম পাশে থুথু ফেলবে
13- একটি লোক নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে নিবেদন করল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি সফরে যাব, সুতরাং আমাকে পাথেয় দিন।’ তিনি উত্তরে এই দু‘আ দিলেন, আল্লাহ তোমাকে তাকওয়া অবলম্বনের পাথেয় দান করুন।
14- নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দস্তরখানা গুটাতেন, তখন এই দো‘আ পড়তেন: আল্লাহর জন্য অগণিত পবিত্র ও বরকতপূর্ণ প্রশংসা। এ প্রশংসাই যথেষ্ট নয় এবং এটাই শেষ নয়। হে আমাদের রব! তার থেকে আমরা অমুখাপেক্ষী নয়।
15- আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর নিকট যখন আরোহণ করার উদ্দেশ্যে বাহন আনা হলো তখন তিনি বাহনের পাদানীতে স্বীয় পা রেখে ‘বিসমিল্লাহ’ বললেন।
16- “যখন তোমাদের কেউ শয্যা গ্রহণ করবে, তখন সে যেন নিজ লুঙ্গির একাংশ দ্বারা তার বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ, সে জানে না যে, তার অনুপস্থিতিতে কী কী জিনিস সেখানে এসেছে।
17- আমরা উপরে উঠলে বলতাম, আল্লাহু আকবর। আর নিচে নামলে বলতাম সুবহানাল্লাহ।
18- আমাদের কেউ যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করত তখন আবূ সালেহ আমাদের নির্দেশ দিতেন যে, সে যেন তার ডান কাতের উপর শয়ন করে।
19- একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইইহ ওয়াসাল্লামের যুগে র্সূযগ্রহণ হল, তখন তিনি ভীত অবস্থায় উঠলনে ও কিয়ামত সংঘটিত হবার ভয় করতে লাগলেন, অবশেষে তিনি মাসজিদে আসেন ও দাঁড়িয়ে যান এবং সবচেয়ে দীর্ঘ কিয়াম ও সাজদা দ্বারা সালাত আদায় করেন। আমি কখনো তাকে তার সালাতে এরূপ করতে দেখেনি। অতঃপর তিনি বললেন, এগুলো হল নিদর্শন যা আল্লাহ্ পাঠিয়ে থাকেন, তা কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। বরং আল্লাহ্ তা‘আলা এর মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন। কাজেই যখন তোমরা এর কিছু দেখতে পাবে, তখন ভীত অবস্থায় আল্লাহর যিকির, দু‘আ ও ইস্তিগ্ফারের দিকে ধাবিত হবে।