“হে মানুষের রব! কষ্ট দূর করে দিন। আরোগ্যতা দান করুন, আপনিই একমাত্র আরোগ্য দানকারী। আপনার আরোগ্য ব্যতীত অন্য কোন…

“হে মানুষের রব! কষ্ট দূর করে দিন। আরোগ্যতা দান করুন, আপনিই একমাত্র আরোগ্য দানকারী। আপনার আরোগ্য ব্যতীত অন্য কোন আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্যতা দান করুন যা সামান্য রোগকেও অবশিষ্ট না রাখে।”

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে যখন কোন অসুস্থ ব্যক্তি আসতো, তখন তিনি বলতেন: “হে মানুষের রব! কষ্ট দূর করে দিন। আরোগ্যতা দান করুন, আপনিই একমাত্র আরোগ্য দানকারী। আপনার আরোগ্য ব্যতীত অন্য কোন আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্যতা দান করুন যা সামান্য রোগকেও অবশিষ্ট না রাখে।”

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো রোগীকে দেখতে যেতেন, তখন তিনি তার জন্য দোয়া করতেন এবং বলতেন: হে আল্লাহ, রোগের কষ্ট ও তীব্রতা দূর করুন। হে মানুষের রব, তাদের সৃষ্টিকর্তা ও প্রতিপালক, এই রোগীকে সুস্থ করুন।, আপনিই একমাত্র নিরাময়কারী, আমি আপনার 'আশ-শাফী' (নিরাময়কারী) নামের উসীলায় আপনার কাছে শিফা প্রার্থনা করি। রোগীর আরোগ্য কেবল আপনার আরোগ্য ও সুস্থতার মাধ্যমেই সম্ভব। এমন আরোগ্য দিন যা কোনো রোগ বা অসুস্থতা অবশিষ্ট রাখে না।

فوائد الحديث

নিরাময়কারী হলেন আল্লাহ তাআলা, আর চিকিৎসক ও ওষুধ হল মাধ্যম, যা আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোনো উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না।

রোগীর সেবা ও খোঁজখবর নেওয়া মুসলিমদের মধ্যে পারস্পরিক অধিকারগুলোর একটি এবং আত্মীয়দের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

রোগী দেখতে গেলে তার জন্য এই বরকতময় ও প্রমাণিত দোয়া পড়ার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা অনুযায়ী, কুরআন ও উত্তম দোয়ার মাধ্যমে রুকইয়াহ (শরঈ চিকিৎসা) করা একটি বৈধ ও উত্তম পদ্ধতি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে যখন অসুস্থ হতেন, তখন তিনি নিজেকে রুকইয়াহ করতেন। এছাড়াও, তিনি তার পরিবারের সদস্যদের এবং অন্যান্য অসুস্থ ব্যক্তিদেরও রুকইয়াহ করতেন।

ইবনে হাজার (রহ.) বলেছেন: ‘রোগীর জন্য সুস্থতার দোয়া করার বিষয়টি কিছু লোকের কাছে জটিল মনে হয়েছে, যেহেতু রোগে গুনাহ মোচন ও সওয়াব লাভের বিষয়টি হাদীসে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। এর জবাব হলো: দোয়া একটি ইবাদত, এবং এটি সওয়াব ও গুনাহ মোচনের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কারণ, সওয়াব ও গুনাহ মোচন রোগের শুরুতে এবং এর উপর ধৈর্য ধারণের মাধ্যমেই অর্জিত হয়। দোয়া কারীর জন্য দুটি কল্যাণ রয়েছে: হয় তার দোয়া কবুল হবে এবং সে তার কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করবে, অথবা তার দোয়ার বদলে তাকে অন্য কোনো উপকার দেওয়া হবে বা কোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা করা হবে। আর এ সবই আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ।’

التصنيفات

শর‘ঈ ঝাঁড়-ফুক, রোগী দেখার আদব