إعدادات العرض
لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ، وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ، وَفِرَّ مِنَ المَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الأَسَدِ : “কোন সংক্রামণ নেই, কোন পাখির গণনা…
لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ، وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ، وَفِرَّ مِنَ المَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الأَسَدِ : “কোন সংক্রামণ নেই, কোন পাখির গণনা নেই, কোন পেঁচার কুলক্ষণ নেই, সফর মাসের কোন অকল্যাণ নেই। আর কুষ্ঠ রোগী থেকে পালিয়ে যাও, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে পালিয়ে যাও।”
আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ، وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ، وَفِرَّ مِنَ المَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الأَسَدِ : “কোন সংক্রামণ নেই, কোন পাখির গণনা নেই, কোন পেঁচার কুলক্ষণ নেই, সফর মাসের কোন অকল্যাণ নেই। আর কুষ্ঠ রোগী থেকে পালিয়ে যাও, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে পালিয়ে যাও।”
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी ئۇيغۇرچە Hausa Kurdî Kiswahili Português සිංහල دری অসমীয়া ไทย Tiếng Việt Svenska Кыргызча Yorùbá ગુજરાતી नेपाली Oromoo മലയാളം Română Nederlands Soomaali پښتو తెలుగు Kinyarwanda ಕನ್ನಡ Српски Moore ქართული Čeština Magyar Українська Македонски Lietuvių Azərbaycan Wolofالشرح
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতিপয় জাহেলী যুগের কাজের বর্ণনা করেছেন এগুলো থেকে সতর্ক করার জন্য এবং এটা জানানোর জন্য যে, সব কিছুই আল্লাহর হাতে আর আল্লাহর আদেশ এবং তাকদীর ছাড়া কোন কিছুই হয় না, আর এগুলো হচ্ছে: প্রথমত: জাহেলী যুগের লোকেরা ধারণা করত যে, রোগ নিজ থেকেই অন্যের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়, এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম তাদেরকে এ বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন যে, রোগ এক রোগী থেকে অন্য রোগীর মধ্যে নিজে থেকেই স্থানান্তর হয়, বরং আল্লাহ তা‘আলাই হচ্ছেন সমগ্র জগতের মহাপরিচালক; আর তিনিই রোগ দিয়ে থাকেন এবং তিনি এটাকে তুলে নেন, তাঁর লেখা এবং ইচ্ছা ব্যতীত কোন কিছুই ঘটে না। দ্বিতীয়ত: জাহেলী যুগের মানুষেরা যখন কোন সফর অথবা ব্যবসার উদ্দেশ্যে বের হত তখন তারা পাখি উড়িয়ে দিত, যদি সেটি ডানে উড়ে যেত, তাহলে তারা সুসংবাদ মনে করত, আর যদি সেটি বামে উড়ে যেত, তাহলে তারা তাকে কুলক্ষণ মনে করত এবং ফিরে যেত, এ কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাখির মাধ্যমে কুলক্ষণ বিচার করা থেকে নিষেধ করেছেন এবং বর্ণনা করেছেন যে, এটি একটি বাতিল বিশ্বাস। তৃতীয়ত: জাহেলী যুগের লোকেরা বলত: যখন কোন পেঁচা কারো বাড়িতে উড়ে আসে, তখন তা ঐ বাড়ির জন্য মুসীবত নিয়ে আসে। এ কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেঁচার মাধ্যমে অমঙ্গল নির্ণয় নিষিদ্ধ করেছেন। চতুর্থত: সফর মাসে অকল্যাণ রয়েছে এমন বিশ্বাস থেকে তিনি নিষেধ করেছেন, সফর হচ্ছে চন্দ্র মাসের দ্বিতীয় মাস। বলা হত যে, সফর হচ্ছে পেটে থাকা এক ধরণের সাপ, যা মানুষ ও গবাদি পশুকে আক্রান্ত করে, তারা ধারণা করত যে, এটি খোস-পাঁচড়া থেকেও অধিক সংক্রামক; এ কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বিশ্বাসকে নাকচ করেছেন। পঞ্চমত: তিনি কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন যেভাবে একজন ব্যক্তি সিংহ থেকে নিজেকে দূরে রাখে। আর এটি হচ্ছে মানুষের জন্য সতর্কতা অবলম্বন, উক্ত রোগ থেকে রক্ষা চাওয়া এবং আল্লাহ উপকরণগত যেসব বিষয়ের আদেশ দিয়েছেন, সেই কাজ সম্পাদন করা। কুষ্ঠ রোগ হচ্ছে: এমন একটি রোগ যাতে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে যায়।فوائد الحديث
আল্লাহর উপরে তওয়াক্কুল ও নির্ভর করা এবং বৈধ উপকরণসমূহ গ্রহণ করা।
আল্লাহর ফয়সালা এবং তাকদীরের উপরে ঈমান রাখা আবশ্যক। আর উপকরণের বিষয়ও আল্লাহর হাতে, তিনিই এটির কার্যকারিতা বহাল রাখেন অথবা এর প্রভাবকে নষ্ট করে দেন।
কতিপয় মানুষ কিছু রঙ যেমন কালো এবং লাল, অথবা কতিপয় সংখ্যা, নাম বা বিকলাঙ্গ ব্যক্তির মাধ্যমে যে অশুভ বা কুলক্ষণ নির্ণয় করে থাকে, তা বাতিল করা হয়েছে।
হাদীসটিতে কুষ্ঠরোগী এবং অনুরূপ ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্তদের নিকটে যাওয়া থেকে নিষেধ করা হয়েছে। এটি এমন একটি কারণ বা উপকরণ যা আল্লাহ তা‘আলা স্বাভাবিকভাবে চালু রেখেছেন যে, এটি কারণসমূহের দিকে মানুষকে পৌছে দেয়, সুতরাং উপকরণগুলি নিজে থেকে স্বয়ং সম্পন্ন নয়, বরং আল্লাহই সেই সত্তা যিনি ইচ্ছা করলে তার শক্তি নষ্ট করে দিতে পারেন ফলে তার প্রভাব অকার্যকর হয়ে পড়ে আর যদি তিনি ইচ্ছা করেন তা বহাল রাখেন ফলে তার প্রভাব কার্যকর হয়।