“যারা (মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশে) গন্ডে চপেটাঘাত করে, জামার বক্ষ ছিন্ন করে এবং জাহিলী যুগের মত চিৎকার দেয়, তারা…

“যারা (মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশে) গন্ডে চপেটাঘাত করে, জামার বক্ষ ছিন্ন করে এবং জাহিলী যুগের মত চিৎকার দেয়, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়”।

‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যারা (মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশে) গন্ডে চপেটাঘাত করে, জামার বক্ষ ছিন্ন করে এবং জাহিলী যুগের মত চিৎকার দেয়, তারা আমাদের দলভুক্ত নয়”।

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাক-ইসলামী (জাহেলি) যুগের লোকদের কিছু কর্ম থেকে নিষেধ ও সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন: আমাদের দল ভুক্ত নয়: প্রথমটি: যে গালে আঘাত করল, গালকে বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন; কারণ এটিই বেশী হয়। অন্যথায় মুখের বাকি অংশে আঘাত করাও নিষেধের অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয়টি: চরম অস্থিরতার কারণে কাপড়ে মাথা প্রবেশ করানোর জায়গা থেকে ছিড়ে ফেলা। তৃতীয়টি: প্রাক-ইসলামী যুগের লোকদের মত চিৎকার করা, যেমন হায়, ধ্বংস, বিলাপ, ডাকা এবং অন্যান্য কথাবার্তা।

فوائد الحديث

হাদীসের এই সতর্কবাণী ইঙ্গিত করে যে এই কাজগুলো বড় গুনাহ।

বিপদের মুখে ধৈর্য ধারণ করা ওয়াজিব এবং আল্লাহর বেদনাদায়ক তাকদীরে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা হারাম। এটি প্রকাশ পায়: বিলাপ, চিৎকার, চুল উপড়ে ফেলা, জামা ছিড়ে ফেলা বা অন্যান্য কর্মের মাধ্যমে।

যেসব বিষয়ে শরীয়ত অনুমোদন করেনি সেসব বিষয়ে প্রাক-ইসলামী যুগের অনুকরণ করা হারাম।

দুঃখ এবং কান্নার মধ্যে কোন সমস্যা নেই, কারণ এটি আল্লাহর তাকদীরের ওপর সবর করার বিপরীত নয়; বরং এটি একটি রহমত যা আল্লাহ আত্মীয় ও প্রিয়জনদের হৃদয়ে রেখেছেন।

একজন মুসলিমের ওপর ওয়াজিব হল আল্লাহর তাকদীরে সন্তুষ্ট থাকা; যদি সে সন্তুষ্ট থাকতে না পারে, তবে ধৈর্য ধরা তার ওপর ওয়াজিব।

التصنيفات

জাহেলী যুগের বিষয়াদি