“জুমু‘আর দিন ইমামের খুতবাহ দেওয়ার সময় যখন তুমি তোমার পাশের মুসল্লীকে বললে, ‘চুপ করো’, তখন তুমি অনর্থক কাজ করলে।”

“জুমু‘আর দিন ইমামের খুতবাহ দেওয়ার সময় যখন তুমি তোমার পাশের মুসল্লীকে বললে, ‘চুপ করো’, তখন তুমি অনর্থক কাজ করলে।”

আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জুমু‘আর দিন ইমামের খুতবাহ দেওয়ার সময় যখন তুমি তোমার পাশের মুসল্লীকে বললে, ‘চুপ করো’, তখন তুমি অনর্থক কাজ করলে।”

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করছেন যে, যিনি জুমা‘আর খুতবাতে হাজির হবেন তার অবশ্য পালনীয় (ওয়াজিব) আদব হলো: (জুমআর) উপদেশসমূহে মনোযোগ দিয়ে খতীবের জন্যে চুপ করা; আর যে ব্যক্তি ইমামের খুতবাহ দেওয়ার সময়—অল্প কথাতেও বলল, ‘চুপ করো’ ও ‘শ্রবণ করো’, তার থেকে জুমআর সালাতের ফজিলত ছুটে গেল।

فوائد الحديث

খুতবাহ শোনার সময় কথা বলা হারাম, যদিও তা হয় অন্যায় থেকে নিষেধ করা অথবা সালামের উত্তর দেওয়া ও হাঁচি দাতাকে يرحمك الله (আল্লাহ তোমাকে রহম করুন) বলা।

তবে যিনি ইমামকে সম্বোধন করে কথা বলবেন অথবা ইমাম যাকে সম্বোধন করে কথা বলবেন তিনি এই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত থাকবেন।

প্রয়োজন হলে দুই খুতবার মাঝে কথা বলা বৈধ।

ইমামের খুতবাহ দেওয়ার সময় যখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম উল্লেখ করা হবে তখন আপনি নিরবে তার ওপর সালাত দরূদ ও সালাম পাঠ করবেন, অনুরূপভাবে দোয়ার সময় আমীন বলবেন।

التصنيفات

জুম‘আর সালাত