কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার কাছে ঐ সকল লোক কঠিন আযাব ভোগ করবে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির সাদৃশ্য প্রদর্শনে লিপ্ত হয়।”

কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার কাছে ঐ সকল লোক কঠিন আযাব ভোগ করবে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির সাদৃশ্য প্রদর্শনে লিপ্ত হয়।”

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এলেন, তখন আমি আমার একটি তাক পর্দা দিয়ে আবৃত করে রেখেছিলাম, যাতে জীবের ছবি ছিল। তিনি তা দেখতে পেয়ে ছিঁড়ে ফেললেন এবং তার চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তিনি বললেন: হে আয়িশা! কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার কাছে ঐ সকল লোক কঠিন আযাব ভোগ করবে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির সাদৃশ্য প্রদর্শনে লিপ্ত হয়।” আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন: আমরা তখন সেটি কেটে ফেললাম এবং তা দিয়ে একটা বা দুটো বালিশ বনালাম।

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘরে প্রবেশ করলেন এবং দেখলেন যে, তিনি একটি ছোট আলমারি, যেখানে জিনিসপত্র রাখা হত, একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। সেই কাপড়ে প্রাণীর ছবি ছিল। তা দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেহারা ক্রোধে পরিবর্তিত হয়ে গেল এবং তিনি তা সরিয়ে ফেললেন। আর তিনি বললেন: "কিয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন শাস্তি পাবে তারা, যারা আল্লাহর সৃষ্টির অনুকরণ করে ছবি তৈরি করে।" আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন: "আমরা তখন সেই কাপড়টি দিয়ে একটি বা দুইটি বালিশ বানিয়ে নিলাম।"

فوائد الحديث

অন্যায় দেখামাত্রই তার প্রতিবাদ করা এবং এতে দেরি না করা, যদি না এর ফলে আরও বড় কোনো ক্ষতি হয়।

কিয়ামতের দিন শাস্তি গুনাহের ভয়াবহতার ভিত্তিতে ভিন্ন হবে।

প্রাণীর ছবি তৈরি করা বড় গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।

ছবি নিষিদ্ধ করার হিকমতগুলোর মধ্যে একটি হলো, আল্লাহর সৃষ্টির সাথে সমকক্ষতা করা, তা ছবি তৈরি করার সময় ছবির নির্মতা তা উদ্দেশ্য করুক বা না করুক।

শরীয়ত সম্পদ সংরক্ষণের প্রতি গুরুত্ব দেয় এবং হারাম থেকে বেঁচে থেকে তা ব্যবহারের নির্দেশ দেয়।

যেকোনো ধরনের প্রাণীর ছবি তৈরি করা নিষিদ্ধ, তা যতই ছোট বা তুচ্ছ হোক না কেন।

التصنيفات

তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ