রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেসব পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন যারা নারীর অনুরূপ পোশাক পরিধান করে…

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেসব পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন যারা নারীর অনুরূপ পোশাক পরিধান করে এবং সেসব নারীকে অভিসম্পাত করেছেন যারা পুরুষের অনুরূপ পোশাক পরিধান করে।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেসব পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন যারা নারীর অনুরূপ পোশাক পরিধান করে এবং সেসব নারীকে অভিসম্পাত করেছেন যারা পুরুষের অনুরূপ পোশাক পরিধান করে।

[সহীহ] [এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

যে পুরুষ নারীর সাদৃশ পোশাক পরিধান করবে সে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায় অভিশপ্ত হবে। অনুরূপ যে নারী পুরুষের সাদৃশ পোশাক পরিধান করবে সেও নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের যবানে অভিশপ্ত হবে। কেননা আল্লাহ নারী ও পুরুষকে আলাদা বৈশিষ্ট্যে সৃষ্টি করেছেন। স্বভাবগত, সৃষ্টিগত, শক্তি, দীনদারী ও অন্যান্য গুণাবলীতে পুরুষগণ নারীদের থেকে ভিন্ন। এমনিভাবে নারীরাও পুরুষের থেকে আলাদা। সুতরাং যে ব্যক্তি পুরুষকে নারীর মতো অথবা নারীকে পুরুষের মতো বানাতে চেষ্টা করল সে আল্লাহর কুদরত ও শরী‘আতের বিরোধিতা করল। কেননা আল্লাহর সব ধরণের সৃষ্টি ও শরী‘আতের মধ্যে রয়েছে হিকমত। এ কারণেই পুরুষ নারীর বেশভূষা ধারণ করলে বা নারী পুরুষের বেশভূষা ধারণ করলে তাদের জন্য কুরআন ও হাদীসে রয়েছে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে তাড়িয়ে দেওয়ার মতো অভিশম্পাতের কঠোর হুমকি।

التصنيفات

নিষিদ্ধ সাদৃশ্য, পোশাক ও সাজ-সজ্জা