إعدادات العرض
‘যে বাড়িতে কুকুর এবং প্রাণীর ছবি থাকে তাতে ফেরেশতামন্ডলী প্রবেশ করেন না।’
‘যে বাড়িতে কুকুর এবং প্রাণীর ছবি থাকে তাতে ফেরেশতামন্ডলী প্রবেশ করেন না।’
আবূ ত্বলহা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘যে বাড়িতে কুকুর এবং প্রাণীর ছবি থাকে তাতে ফেরেশতামন্ডলী প্রবেশ করেন না।’
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी ئۇيغۇرچە Kurdî Português සිංහල অসমীয়া Kiswahili ગુજરાતી Tiếng Việt Nederlands پښتو Hausa नेपाली മലയാളം Кыргызча Română Svenska Српски తెలుగు ქართული Moore Magyar Македонски Čeština Українська አማርኛ Azərbaycan Kinyarwanda Malagasy Wolof ไทย मराठी ਪੰਜਾਬੀ دریالشرح
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়েছিনে যে, রহমতের ফেরেশতারা এমন বাড়িতে প্রবেশ করে না যেখানে কুকুর বা প্রাণীর ছবি থাকে। এর কারণ হল যার রূহ রয়েছে তার ছবি একটি গুরুতর পাপ এবং তাতে রয়েছে আল্লাহর সৃষ্টির সাদৃশ্য গ্রহণ এবং এটি শিরকের উপায়সমূহ থেকে একটি উপায়। এর মধ্যে কিছু এমন ছবি রয়েছে যাদেরকে আল্লাহর পরিবর্তে ইবাদত করা হয়। যে ঘরে কুকুর রয়েছে সেখানে ফেরেশতাদের প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকার কারণ: কুকুর বেশি নাপাক খায় এবং তাদের মধ্যে কিছুকে শয়তান বলা হয় আর ফেরেশতাগণ হলেন শয়তানের বিপরীত। আরেকটি কারণ হলো কুকুরের দুর্গন্ধের কদর্যতা: ফেরেশতারা খারাপ গন্ধ ঘৃণা করেন, অধিকন্তু এদের লালন-পালন করা নিষিদ্ধ; সুতরাং এদের লালন-পালনকারীকে তার ঘরে রহমতের ফেরেশতাদের প্রবেশ করা; সেখানে তাদের প্রার্থনা করা, তার জন্য তাদের ইস্তেগফার করা এবং তার ঘরে ও তার ওপর তাদের বরকতের দোয়া করা এবং তাদের দ্বারা তার থেকে শয়তানের ক্ষতি দূর করা থেকে বঞ্চিত করে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।فوائد الحديث
শিকার, রাখাল বা কৃষি কাজের প্রয়োজন ছাড়া কুকুর লালন-পালন করা নিষিদ্ধ।
ছবি রাখা এমন একটি মন্দ কাজ যার থেকে ফেরেশতারা পলায়ন করেন এবং কোনো স্থানে তার উপস্থিতি রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ এবং কুকুরের ক্ষেত্রেও তাই।
যে ঘরে কুকুর বা ছবি থাকে সেখানে যেসব ফেরেশতা প্রবেশ করেন না তারা হলেন রহমতের ফেরেশতা, কিন্তু সংরক্ষণকারী এবং অন্যান্য ফেরেশতা যাদের নির্দিষ্ট কাজ রয়েছে, যেমন মৃত্যুর ফেরেশতা, তারা প্রত্যেক ঘরে প্রবেশ করেন।
দেয়ালে এবং অন্য কোথাও প্রাণবন্ত প্রাণীর ছবি টাঙানো হারাম।
খাত্তাবি বলেছেন: যেসব কুকুর লালন-পালন করা ও ছবি রাখা হারাম সেগুলো যে ঘরে থাকে সেখানে ফেরেশতাগণ প্রবেশ করেন না, কিন্তু যেসব হারাম নয়, যেমন শিকার করা কুকুর, ফসল ও পশুপালনের কুকুর এবং যে ছবিগুলো পাটি, বালিশ ও অন্যান্য জিনিসে লাঞ্ছিতভাবে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর কারণে ফেরেশতাদের প্রবেশ বাধাপ্রাপ্ত হয় না।
التصنيفات
তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ