إعدادات العرض
“দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন। অত:পর তিনি দেখবেন তোমরা…
“দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন। অত:পর তিনি দেখবেন তোমরা কিভাবে আমল করো? সুতরাং তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে।
আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন। অত:পর তিনি দেখবেন তোমরা কিভাবে আমল করো? সুতরাং তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে। কারণ বনী ইসরাইলের প্রথম ফিতনা ছিল নারীদের মাধ্যমে।”
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Tiếng Việt Hausa Kurdî Kiswahili Português සිංහල Svenska Čeština ગુજરાતી Yorùbá ئۇيغۇرچە پښتو অসমীয়া دری Кыргызча or नेपाली Kinyarwanda Română తెలుగు Lietuvių മലയാളം Nederlands Soomaali Shqip Српски Deutsch Українська ಕನ್ನಡ Wolof Moore ქართული Azərbaycan Magyar தமிழ் Македонски မြန်မာ አማርኛ Malagasyالشرح
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, নিশ্চয়ই দুনিয়ার স্বাদ হচ্ছে সুমিষ্ট এবং দেখতে সবুজ-শ্যামল। ফলে মানুষ এর ধোঁকায় পড়ে যায়, এটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে এবং এটিকে তার সবচেয়ে বড় অভিপ্রায় বানিয়ে দেয়। আর আল্লাহ তা‘আলা আমাদের পরস্পরকে এ দুনিয়াতে প্রতিনিধি বানিয়েছেন,যাতে তিনি দেখে নিতে পারেন যে, আমরা কিভাবে আমল করি? আমরা কী তাঁর আনুগত্য করি, নাকি তাঁর অবাধ্য হই? অতএব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও এর সৌন্দর্য তোমাদের কে ধোকায় ফেলা থেকে সতর্ক হও, অন্যথায় আল্লাহ যা আদেশ করেছন তা পরিত্যাগ করা এবং যা নিষেধ করেছেন তাতে পতিত হওয়ার প্রতি তোমাদেরকে তা উৎসাহী করে তুলবে। আর দুনিয়াতে সবচেয়ে গুরুতর সাবধানতার বিষয় হলো নারী জাতির ফিতনা। কারণ, এটি প্রথম ফিতনা যাতে বনী ইসরাইল লিপ্ত হয়েছিল।فوائد الحديث
হাদীসে সর্বদা তাকওয়া অবলম্বনের ব্যাপারে এবং দুনিয়ার বাহ্যিক রূপ-সৌন্দর্যের মধ্যে ব্যস্ত না হতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
নারী জাতির ফিতনা যেমন, তাদের দিকে তাকানো, পর নারী-পুরুষের একত্রে মেলামেশা অথবা এরূপ অন্যান্য ফিতনা থেকে সাবধান করা হয়েছে।
দুনিয়াতে নারী জাতির ফিতনা হচ্ছে সবচেয়ে মারাত্মক ফিতনা।
পূর্ববর্তী উম্মতের দ্বারা ওয়াজ ও নসীহাহ গ্রহণ করা। সুতরাং যে ফিতনা বনী ইসরাঈলদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল, সে ফিতনা অন্যদের মধ্যেও সংঘটিত হতে পারে।
স্বামীর জন্যে নারীর ফিতনা হলো সে স্বামীকে তার সাধ্যের বাইরে ভরণপোষণে বাধ্য করে। ফলে তাকে দ্বীনের কাজকর্ম পালন করা থেকে বিরত রাখে এবং তাকে দুনিয়ার সাধনা হাসিলে ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যস্ত রাখে। আর পরনারীর ফিতনা বলতে সে পুরুষদের প্রলোভনে ফেলে এবং তাকে সত্য থেকে তাদেরকে বিচ্যুতিতে প্রলুব্ধ করে, যদি নারীরা ঘরের বাইরে যায় এবং পুরুষদের সাথে মিশে, বিশেষ করে যখন তারা খোলামেলা পোষাকে নিজেকে সুশোভিত করে বাহিরে যায়। এগুলো কখনো কখনো যিনায় পতিত করে। সুতরাং মুমিনদের উচিত আল্লাহকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরা এবং নারীর ফিতনা থেকে নাজাত পেতে তাঁর কাছে আশ্রয় চাওয়া।