إعدادات العرض
1- দুনিয়া হচ্ছে উপভোগের উপকরণ (ভোগ্যপণ্য) এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরণ পুণ্যবতী নারী।
2- দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন যেন তিনি দেখেন তোমরা কিভাবে আমল কর। অতএব তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে। কারণ বুন ইসরাইলের প্রথম ফিতনা ছিল নারীদের ভেতর।
3- কোন ঈমানদার পুরুষ কোন ঈমানদার নারী (স্ত্রীকে) ঘৃণা করবে না, যদি সে তার একটি আচরণে অসন্তুষ্ট হয়, তবে অন্য আচরণে সন্তুষ্ট হবে।
4- তোমরা স্ত্রীলোকদের কাছে প্রবেশ করা থেকে দূরে থাক। এক আনসারী সাহাবী জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! দেবর সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন, দেবর তো মৃত্যু সমতুল্য।
5- হে মহিলা সমাজ! তোমরা সাদকাহ করতে থাক। কারণ, আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তারা জিজ্ঞেস করলেন, কী কারণে, হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাক, আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। বুদ্ধি ও দীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চেয়ে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখি নি।
6- ঈদুল ফিতর এবং ‘ঈদুল আযহা- এ দুই দিন কেউ সাওম পালন করবে না। তিন—‘আসরের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের পর সূর্য উদয় পর্যন্ত কেউ কোন সালাত আদায় করবে না। চার—আর মাসজিদে হারাম (কা‘বা), আমার মাসজিদ (মাসজিদে নাববী) এবং মাসজিদে আকসা (বাইতুল মাকদিস)- এ তিন মাসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মাসজিদের জন্য সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে না।
7- পুরুষদের বেলায় তাসবীহ্ (সুবহানাল্লাহ্) বলা, তবে মহিলাদের বেলায় ‘তাসফীক’ (এক হাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের তালুতে মারা)।
8- “তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও। কারণ নারীকে পাঁজরের (বাঁকা) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের সবচেয়ে বেশী বাঁকা হল তার উপরের অংশ। যদি তুমি এটাকে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে তো বাঁকাই থাকবে। তাই তোমরা নারীদের জন্য মঙ্গলকামী হও।”
9- তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীকে দাসদের মত প্রহার করে। অতঃপর সম্ভবতঃ দিনের শেষে তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হবে।
10- তুমি যদি চাও সবর কর, তোমার জন্যে জান্নাত রয়েছে। আর যদি চাও তাহলে আমি তোমার রোগ নিরাময়ের জন্য আল্লাহ তা‘আলার নিকটে দু‘আ করব।
11- যখন কোন নারী মসজিদে যাওয়ার জন্য অনুমতি চায় তাকে যেন বাধা না দেয়। তিনি বলেন, এ কথা শোনে বিলাল ইবন আব্দুল্লাহ বলল, আল্লাহর কসম আমি তাদের বারণ করব। তিনি বলেন, তারপর আব্দুল্লাহ তার সামনে আসলেন এবং তাকে খুব খারাপ ভাষায় গালি দিলেন। আমি তাকে আর কখনো এ ধরনের গাল দিতে শুনিনি। তিনি বললেন, আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে সংবাদ দিচ্ছি আর তুমি বলছো আল্লাহর কসম আমি তাদের বারণ করব।
12- হে আল্লাহ! আমি দু’দুর্বলের অর্থাৎ ইয়াতীম ও নারীর অধিকার (নষ্ট করা) নিষিদ্ধ করছি ।
13- আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তির ওপর রহম করুন যে রাত্রের কিছু অংশ জেগে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে এবং তার স্ত্রীকেও জাগিয়ে দেয়। তার স্ত্রী যদি জাগ্রত হতে না চায় তবে তার মুখমণ্ডলে পানির ছিটা দেয়। সে মহিলার ওপরও আল্লাহ তা‘আলা রহম করুন, যে রাত্রের কিছু অংশ জেগে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে। অতঃপর তার স্বামীকেও জাগিয়ে দেয়, সে যদি জাগ্রত হতে না চায় তবে তার মুখে পানির ছিটা দেওয়া।
14- ঐ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মধ্যে সংশোধন করার জন্যে ভালো কথা পৌঁছায় অথবা ভালো কথা বলে।
15- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে তার স্ত্রীদের সাথে কী কী করতেন? আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, “তিনি পারিবারিক পেশায় নিয়োজিত থাকতেন অর্থাৎ স্ত্রীদের কাজে সহযোগিতা করতেন অতঃপর যখনই সালাতের সময় হতো তখনই তিনি সালাতের জন্য বের যেতেন”।
16- আসমা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, একজন মহিলা বলল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার এক সতীন আছে, সুতরাং স্বামী আমাকে যা দেয় না, তা নিয়ে যদি পরিতৃপ্তি প্রকাশ করি, তাতে আমার কোন ক্ষতি হবে কি?’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যা দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে পরিতৃপ্তি প্রকাশকারী মিথ্যা দুই বস্ত্র পরিধানকারীর ন্যায়।”
17- আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন এক মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! কেবলমাত্র পুরুষেরাই আপনার হাদীস শোনার সৌভাগ্য লাভ করছে। সুতরাং আপনি আমাদের জন্যও একটি দিন নির্ধারিত করুন। আমরা সে দিন আপনার নিকট আসব, আপনি আমাদেরকে তা শিক্ষা দেবেন, যা আল্লাহ আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন।’ তিনি বললেন, “তোমরা অমুক অমুক দিন একত্রিত হও।” অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট এসে সে শিক্ষা দিলেন, যা আল্লাহ তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন। তারপর তিনি বললেন, “তোমাদের মধ্যে যে কোন মহিলার তিনটি সন্তান মারা যাবে, তারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে আড় হয়ে যাবে।” এক মহিলা বলল, ‘আর দু’টি সন্তান মারা গেলে?’ তিনি বললেন, “দু’টি মারা গেলেও (তাই হবে)। মুত্তাফাকুন আলাইহি।
18- বারীরাহ ও তার স্বামীর ঘটনার হাদীস