إعدادات العرض
“আল্লাহ কি তোমাদের জন্য সাদকাহ করার মত জিনিস দান করেননি? নিঃসন্দেহে প্রত্যেক তাসবীহ সাদকাহ, প্রত্যেক তাকবীর…
“আল্লাহ কি তোমাদের জন্য সাদকাহ করার মত জিনিস দান করেননি? নিঃসন্দেহে প্রত্যেক তাসবীহ সাদকাহ, প্রত্যেক তাকবীর সাদকাহ, প্রত্যেক তাহলীল সাদকাহ, ভাল কাজের নির্দেশ দেওয়া সাদকাহ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকাহ এবং তোমাদের স্ত্রী-মিলন করাও সাদকাহ।”
আবু যার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কতিপয় সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! ধনীরাই তো বেশী নেকীর অধিকারী হয়ে গেল। তারা সালাত পড়ছে যেমন আমরা সালাত পড়ছি, তারা সিয়াম রাখছে যেমন আমরা রাখছি এবং (আমাদের চেয়ে তারা অতিরিক্ত কাজ এই করছে যে,) নিজেদের প্রয়োজন-অতিরিক্ত মাল থেকে তারা সাদকাহ করছে।’ তিনি বললেন, “আল্লাহ কি তোমাদের জন্য সাদকাহ করার মত জিনিস দান করেননি? নিঃসন্দেহে প্রত্যেক তাসবীহ সাদকাহ, প্রত্যেক তাকবীর সাদকাহ, প্রত্যেক তাহলীল সাদকাহ, ভাল কাজের নির্দেশ দেওয়া সাদকাহ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকাহ এবং তোমাদের স্ত্রী-মিলন করাও সাদকাহ।” সাহাবাগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কেউ স্ত্রী-মিলন ক’রে নিজের যৌন ক্ষুধা নিবারণ করে, তবে এতেও কি তার পুণ্য হবে?’ তিনি বললেন, “কি রায় তোমাদের, যদি কেউ অবৈধভাবে যৌন-মিলন করে, তাহলে কি তার পাপ হবে? অনুরূপ সে যদি বৈধভাবে (স্ত্রী-মিলন করে) নিজের কাম-ক্ষুধা নিবারণ করে, তাহলে তাতে তার পুণ্য হবে”।
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Hausa Kurdî Português සිංහල Kiswahili Tiếng Việt অসমীয়া ગુજરાતી Nederlands മലയാളം Română Magyar ქართული ಕನ್ನಡ Moore Svenska Македонски ไทย Українська తెలుగు मराठी ਪੰਜਾਬੀ دری አማርኛ Malagasy پښتو ភាសាខ្មែរ Lietuvių O‘zbekالشرح
কিছু দরিদ্র সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাদের অবস্থা, দারিদ্র্য এবং তাদের ধনী ভাইদের প্রাপ্ত মহান সওয়াব অর্জন এবং তাদের মতো সৎকর্ম করার জন্য দান-খয়রাত করতে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছিলেন। কারণ তারা আমাদের মতোই সালাত পড়ে, আমাদের মতোই সিয়াম রাখে এবং তাদের অতিরিক্ত অর্থ দান করে, কিন্তু আমরা তা করতে পারি না! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে তারা যা দান-সদকা করতে পারে তা দেখিয়েছেন এবং তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তোমরা নিজেদের জন্য যা দান করতে পারো, আল্লাহ কি তোমাদের তা দেননি? কারণ তোমাদের কথা: (সুবহানাল্লাহ ) "আল্লাহ পূত-পবিত্র ” তেমাদের জন্য সদকার সাওয়াব হবে। অনুরূপ (আল্লাহু আকবার) “আল্লাহ সবচেয়ে বড়” একটি সদকা। (আল হামদু লিল্লাহ) "আল্লাহর জন্যই সকাল প্রশংসা" বলা একটি সদকা, (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) "আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই" বলা একটি সদকা। (ভালো কাজের আদেশ দেওয়া) হলো একটি সদকা আর (মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা) হলো একটি সদকা, বরং তোমাদের কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে, তবুও তা একটি সদকা। তারা অবাক হয়ে বলল: হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের কেউ তার ইচ্ছা পূরণ করবে এবং এর জন্য তার সাওয়াব হবে?! তিনি বললেন: তুমি কি মনে করো যদি সে এটিকে নিষিদ্ধ কাজে, যেমন ব্যভিচার বা অন্য কিছুতে রাখে, তাহলে কি সে এর জন্য গুনাহগার হবে? একইভাবে, যদি সে তা হালাল জায়গায় রাখে তার জন্য সাওয়াব হবে।فوائد الحديث
সাহাবীগণ নেক আমল করার জন্য প্রতিযোগিতা করতেন এবং আল্লাহ তা‘আলার কাছ থেকে মহান প্রতিদান ও অনুগ্রহ অর্জনের জন্য আগ্রহী ছিলেন।
সৎকর্মের অনেক ধরন রয়েছে এবং এর মধ্যে প্রতিটি কাজ অন্তর্ভুক্ত যা একজন মুসলিম ভালো নিয়ত এবং ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে করে।
ইসলাম সহজ এবং সরল, তাই প্রতিটি মুসলিম আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য কিছু না কিছু করার সুযোগ পায়।
আল-নওয়াবী বলেন: এটি প্রমাণ করে যে বৈধ কাজগুলি আন্তরিক নিয়তের কারণে ইবাদতের কাজ হয়ে ওঠে। স্ত্রীর অধিকার পূরণ করা, আল্লাহর আদেশ অনুসারে তার সাথে ভাল আচরণ করা, অথবা একটি নেক সন্তান কামনা করা, অথবা নিজেকে বা তার স্ত্রীকে রক্ষা করা এবং তাদের উভয়কে নিষিদ্ধ জিনিসের দিকে তাকানো থেকে বিরত রাখা, অথবা এটি সম্পর্কে চিন্তা করা, বা এটি সম্পর্কে ইচ্ছা করা, অথবা অন্যান্য সৎ উদ্দেশ্যে সহবাস একটি করে ইবাদত হয়ে ওঠে।
প্রবাদ এবং উপমা বয়ান করা; যেন শ্রোতার মনে আরও স্পষ্ট এবং আরও কার্যকরী হয়।