আমরা আমাদের অন্তরে এমন অনেক কিছুর উদ্রেক লক্ষ করি, যা মুখে আনা আমাদের যে কারো জন্যই প্রায় অসম্ভব। তিনি বললেন:…

আমরা আমাদের অন্তরে এমন অনেক কিছুর উদ্রেক লক্ষ করি, যা মুখে আনা আমাদের যে কারো জন্যই প্রায় অসম্ভব। তিনি বললেন: “তোমরা এমনটি বোধ কর?” তারা বললেন: হ্যাঁ, তিনি বললেন: “তা হচ্ছে সুস্পষ্ট ঈমান।”

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের মধ্য হতে একদল মানুষ এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন: আমরা আমাদের অন্তরে এমন অনেক কিছুর উদ্রেক লক্ষ করি, যা মুখে আনা আমাদের যে কারো জন্যই প্রায় অসম্ভব। তিনি বললেন: “তোমরা এমনটি বোধ কর?” তারা বললেন: হ্যাঁ, তিনি বললেন: “তা হচ্ছে সুস্পষ্ট ঈমান।”

[সহীহ] [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল সাহাবী এসে তাকে তাদের অন্তরে জাগ্রত হওয়া ব্যাপারগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, যেগুলো অত্যন্ত জঘন্য বা খারাপ হওয়া এবং তার প্রতি ঘৃণা থাকার কারণে তা মুখে আনাও তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমাদের এ অনুভূতি হচ্ছে সুস্পষ্ট ঈমান এবং এটা এমন দৃঢ়-বিশ্বাস যে, শয়তান তোমাদের অন্তরে যা নিক্ষেপ করে এবং তা তোমাদের মুখে উচ্চারণ করা ও তোমাদের অন্তরে খারাপ লাগার মাধ্যমে সেগুলোকে প্রতিহত করে। শয়তান তোমাদের অন্তরকে তাদের মত করে পরাভূত করতে পারেনি, এটি যাদের অন্তর শয়তান পরাভূত করেছে আর তাদের এগুলোকে প্রতিহত করার অনুভূতিও জাগ্রত হয় না তার বিপরিত।

فوائد الحديث

হাদীসটিতে মুমিনদের কাছে শয়তানের দুর্বলতার কথা বর্ণনা করা হয়েছে; যেহেতু শয়তান শুধুমাত্র ওয়াসওয়াসা দেওয়া ছাড়া তাদের অন্য কোন কিছুই করতে পারে না।

অন্তরে যা কিছু ওয়াসওয়াসার উদ্রেক হয়, তা বিশ্বাস অথবা গ্রহণ করা যাবে না; কেননা তা শয়তানের পক্ষ থেকে আসে।

শয়তানের ওয়াসওয়াসা মুমিনের কোন ক্ষতি করতে পারে না। তবে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে মুমিন আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং তাতে সুযোগ দেওয়া থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

মুমিনের জন্য তার দীনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে কোন সংশয় তৈরি হলে, সে ব্যাপারে নিরব থাকা উচিত নয়; বরং সে ব্যাপারে তার জিজ্ঞাসা করা উচিত।

التصنيفات

প্রতাপ ও সম্মানের অধিকারী আল্লাহর ওপর ঈমান, ঈমানের বৃদ্ধি ও হ্রাস