“সাবধান! অচিরেই এমন ব্যক্তির উদ্ভব হবে যে তার আসনে হেলান দেওয়া অবস্থায় বসে থাকবে এবং তার কাছে আমার থেকে হাদীস…

“সাবধান! অচিরেই এমন ব্যক্তির উদ্ভব হবে যে তার আসনে হেলান দেওয়া অবস্থায় বসে থাকবে এবং তার কাছে আমার থেকে হাদীস পৌঁছালে সে বলবে: আমাদের ও তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাবই রয়েছে।

আল-মিকদাম ইবনু মা‘দী কারিব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “সাবধান! অচিরেই এমন ব্যক্তির উদ্ভব হবে যে তার আসনে হেলান দেওয়া অবস্থায় বসে থাকবে এবং তার কাছে আমার থেকে হাদীস পৌঁছালে সে বলবে: আমাদের ও তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাবই রয়েছে। সুতরাং আমরা তাতে যা হালাল পাবো তাকেই হালাল গণ্য করব এবং তাতে যা হারাম পাবো তাকেই হারাম গণ্য করব। জেনে রাখ, প্রকৃত অবস্থা হল এই যে, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ যা হারাম করেছেন তা আল্লাহ যা হারাম করেছেন তার মতই হারাম।”

[সহীহ] [رواه أبو داود والترمذي وابن ماجه]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, এমন একটি যামানা নিকটবর্তী হয়েছে, যে যামানাতে একদল মানুষ একত্রিত হয়ে বসে থাকবে, তাদের মধ্যে একজন তার বিছানাতে হেলান দিয়ে থাকবে, তার কাছে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস পৌঁছালে সে বলবে: আমাদের ও তোমাদের মধ্যে সকল বিষয়ে চুড়ান্ত ফয়সালা করবে আল-কুরআনুল কারীম, আর সেটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। সুতরাং আমরা সেখানে যা হালাল হিসেবে দেখতে পাব, সেগুলোর উপরেই আমল করব, আর যা সেখানে হারাম হিসেবে দেখতে পাব, (শুধু) সেগুলো থেকেই দূরে থাকব। তারপরে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি যে বস্তুগুলো হারাম করেছেন, অথবা যেগুলো থেকে নিষেধ করেছেন, সেগুলোর হুকুম ঠিক আল্লাহ যেগুলো তার কিতাবে হারাম করেছেন, সেগুলোর মতই; কেননা তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার রবের পক্ষ থেকে মুবাল্লিগ (বার্তাবাহক) মাত্র।

فوائد الحديث

হাদীসটিতে সুন্নাহকে (হুকুমগত দিক থেকে) মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যেভাবে কুরআনকে মর্যাদা দেওয়া হয়। কুরআনের মতোই সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করা হবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্যই আল্লাহর আনুগত্য এবং তার অবাধ্যতাই আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতা।

সুন্নাহর প্রামাণিকতা সাব্যস্ত এবং যারা সুন্নাহকে প্রত্যাখ্যান করে অথবা তা অস্বীকার করে তাদের জন্য এ হাদীসে রয়েছে অপনোদন ও জবাব।

যে ব্যক্তি সুন্নাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় আর কুরআনের উপরে সীমাবদ্ধ থাকার দাবী করে, সে মূলত কুরআন ও সুন্নাহ উভয় থেকেই মুখ ফিরিয়ে নেয়। বস্তুত সে কুরআন অনুসরণের দাবীর ক্ষেত্রে মিথ্যুক।

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওতের দলিলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ভবিষ্যতে ঘটিতব্য বিষয়ের বর্ণনা প্রদান করা। আর সেগুলো তিনি যে রকম বলেছেন, ঠিক অনুরূপ ঘটা।

التصنيفات

সুন্নতের গুরুত্ব ও তার মর্যাদা, নবুওয়ত, বারযাখী জীবন