إعدادات العرض
“আমাকে লোকেদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে; যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো মাবূদ…
“আমাকে লোকেদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে; যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো মাবূদ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। আর তাঁরা সালাত প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত প্রদান করবে।
ইবনু ‘উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমাকে লোকেদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে; যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো মাবূদ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। আর তাঁরা সালাত প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত প্রদান করবে। যখন তারা এ কাজগুলো সম্পাদন করবে, তখন আমার পক্ষ থেকে তাদের রক্ত (জান) ও মালের ব্যাপারে নিরাপত্তা লাভ করবে; কিন্তু ইসলামের হক ব্যতীত। আর তাদের হিসাব আল্লাহর ওপর ন্যস্ত হবে।”
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Hausa Kurdî Kiswahili Português සිංහල Svenska ગુજરાતી Yorùbá ئۇيغۇرچە Tiếng Việt پښتو অসমীয়া دری Кыргызча or नेपाली Čeština Română Nederlands Soomaali తెలుగు മലയാളം Српски Kinyarwanda ಕನ್ನಡ Lietuvių Shqip Wolof Українська ქართული Moore Magyar Македонски Azərbaycan Malagasy Oromooالشرح
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে সংবাদ দিয়েছেন যে, আল্লাহ তাঁকে মুশরিকদের বিরুদ্ধে ততক্ষণ জিহাদ করতে নির্দেশ দিয়েছেন যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দিবে যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মাবূদ নেই, তাঁর কোন শরীক নেই এবং তারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের সাক্ষ্য দিবে। আর এ সাক্ষ্যদানের দাবি হলো দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ে যত্নবান হবে, তারা যাকাতের হকদারকে তাদের প্রাপ্য ফরয যাকাত প্রদান করবে। তারা যখন এ কাজগুলো সম্পাদন করবে, তখন ইসলাম তাদের রক্ত (জান) ও মালের ব্যাপারে নিরাপত্তা প্রদান করবে। ফলে তাদেরকে হত্যা করা বৈধ হবে না; তবে তারা যদি কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে অথবা এমন কোন জঘন্য শাস্তিযোগ্য কাজে লিপ্ত হয়, ইসলামী বিধানে যার শাস্তি হলো হত্যা, তখন সেটি ভিন্ন কথা।(১) অতপর কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের হিসাব গ্রহণ করবেন, যেহেতু তিনি তাদের গোপনীয় সকল কিছু অবগত।فوائد الحديث
দুনিয়াবি বিধি-বিধান প্রয়োগ হয় বাহ্যিক অবস্থার উপর বিবেচনা করে। আর আল্লাহ অপ্রকাশ্য ও পোগনীয় বিষয়ের দায়িত্ব নেন।
হাদীসে তাওহীদের দিকে দাওয়াতের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে এবং দাওয়াতের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম তাওহীদের দাওয়াত দিয়ে শুরু করতে হবে।
এ হাদীসের অর্থ এ নয় যে, মুশরিকদেরকে জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা হবে; বরং তারা ইসলাম গ্রহণ অথবা জিযিয়া কর প্রদানের ক্ষেত্রে ইচ্ছাধীন। যদি তারা ইসলামের এ দাওয়াত (ইসলাম গ্রহণ অথবা জিযিয়া কর প্রদান) অস্বীকার করে, তবেই ইসলামের বিধান মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে।
التصنيفات
আল-ইসলাম