“আমাকে লোকেদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে; যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো…

“আমাকে লোকেদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে; যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। আর তারা সালাত প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত প্রদান করবে। যখন তারা এ কাজগুলো সম্পাদন করবে, তখন তারা আমার নিকট থেকে তাদের রক্ত (জান) এবং মাল বাঁচিয়ে নেবে; কিন্তু ইসলামের হক ব্যতীত। আর তাদের হিসাব আল্লাহর ওপর ন্যস্ত হবে।”

উমার ইবনুল খাত্তাব, তার ছেলে আব্দুল্লাহ ও আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “আমাকে লোকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে; যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। আর তারা সালাত প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত প্রদান করবে। যখন তারা এ কাজগুলো সম্পাদন করবে, তখন তারা আমার নিকট থেকে তাদের রক্ত (জান) এবং মাল বাঁচিয়ে নিবে; কিন্তু ইসলামের হক ব্যতীত। আর তাদের হিসাব আল্লাহর ওপর ন্যস্ত হবে।”

[সহীহ] [তার সকল বর্ণনা মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি।]

الشرح

আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন, যতক্ষণ না তারা এ সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরীক নেই এবং যতক্ষণ না তারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের সাক্ষ্য দেয় এবং শাহাদাতের দাবি অনুযায়ী আমল করে। যেমন, সালাত আদায় করে, ওয়াজিব হলে যাকাত প্রদান করে ইত্যাদি। যখন তারা এসব রোকনসমূহ এবং আল্লাহ তাদের ওপর যা ওয়াজিব করেছেন তা পালন করবেন, তখন ইসলামে তাদের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তবে ইসলামের কারণে তাদের হত্যা করা যাবে। যেমন, কারো কাছ থেকে এমন কোনো কর্ম প্রকাশ পেল যার কারণে তার ওপর ইসলাম কাসাস বা হদ্দ বাস্তবায়নের বিধান রেখেছে। আর যে যে আমল করার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে সেগুলো যে পালন করবে, সে অবশ্যই মুমিন। আর যে ব্যক্তি জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে ইসলাম গ্রহণ করবে সে মুনাফিক। আর সে যা গোপন করে আল্লাহ তা‘আলা সে সম্পর্কে অবশ্যই জানেন এবং সে জন্য তিনি তাকে পাকড়াও করবেন।

التصنيفات

আল-ইসলাম