“তোমাদের কেউ যখন তার পেটে কোন কিছু অনুভব করে, তারপর তার সন্দেহ হয় যে, পেট থেকে কিছু বের হল কি না। তখন সে মসজিদ থেকে…

“তোমাদের কেউ যখন তার পেটে কোন কিছু অনুভব করে, তারপর তার সন্দেহ হয় যে, পেট থেকে কিছু বের হল কি না। তখন সে মসজিদ থেকে বের হবে না যতক্ষণ না শব্দ শোনে অথবা গন্ধ পায়”। (অর্থাৎ ওযু ভঙ্গের পূর্ণ বিশ্বাস না হওয়া পর্যন্ত যেন বের না হয়।)

আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ যখন তার পেটে কোন কিছু অনুভব করে, তারপর তার সন্দেহ হয় যে, পেট থেকে কিছু বের হল কি না। তখন সে মসজিদ থেকে বের হবে না যতক্ষণ না শব্দ শোনে অথবা গন্ধ পায়”। (অর্থাৎ ওযু ভঙ্গের পূর্ণ বিশ্বাস না হওয়া পর্যন্ত যেন বের না হয়।)

[সহীহ] [এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন, যখন মুসল্লির পেটে কোনো জিনিস দ্বিধাগ্রস্ত হয় এবং সেখান থেকে কোনো জিনিস বের হলো কি হলো না সন্দেহ হয়, তখন যতক্ষণ না বাতাসের আওয়াজ শোনে অথবা গন্ধ শোকে সালাত ভঙ্গকারী হাদাস (নাপাক) সম্পর্কে নিশ্চিত না হবে, সালাত থেকে বের হবে না এবং পুনরায় উযূ করার জন্যে সালাত ভঙ্গ করবে না, কেননা সন্দেহ নিশ্চিত বস্তুকে বাতিল করতে পারে না, ইতোপূর্বে সে পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল, এখানেে উযুভঙ্গ হলো সন্দেহযুক্ত।

فوائد الحديث

এই হাদীস ইসলামের নীতিসমূহের একটি নীতি এবং ফিকহের কায়দাসমূহের একটি কায়দা, তা হলো নিশ্চিত বিষয় সন্দেহ দ্বারা দূর হয় না এবং পূর্বে যে অবস্থার ওপর ছিল তার ওপর থাকাই হলো নীতি, যতক্ষণ না তার বিপরীত অবস্থা নিশ্চিত হবে।

সন্দেহ পবিত্রতার ক্ষেত্রে প্রভাব সৃষ্টিকারী নয়, কাজেই নাপাক হওয়া নিশ্চিত না হলে মুসল্লি তার পাক (উযূর) হালতে বহাল থাকবেন।

التصنيفات

ফিকহী ও উসূলী কাওয়ায়িদ/প্রবচনসমূহ, অযু ভঙ্গের কারণসমূহ