“হে আল্লাহ! আমার কবরকে পূজনীয় মূর্তি বানিয়ে দিওনা।

“হে আল্লাহ! আমার কবরকে পূজনীয় মূর্তি বানিয়ে দিওনা।

আবূ হুরায়রা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “হে আল্লাহ! আমার কবরকে পূজনীয় মূর্তি বানিয়ে দিওনা। সেই সম্প্রদায়ের উপর আল্লাহ লা‘নত বর্ষণ করেছেন, যে সম্প্রদায় তাদের নবীগণের কবরকে মসজিদ তথা সিজদার জায়গায় পরিণত করেছে।”

[সহীহ] [এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রবের কাছে দু‘আ করেছেন , তিনি যেন তার কবরকে মূর্তির মত না বানান, যাকে সম্মান করে মানুষ ইবাদাত করে এবং একে কিবলা বানিয়ে সিজদা করে। অতপর তিনি (নবী) সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রহমত থেকে তাদেরকে বিতাড়িত ও দূরে সরিয়ে দিয়েছেন যারা তাদের নবীদের কবরসমূহকে মসজিদ তথা সিজদার জায়গা বানিয়েছে। কেননা নবীদের কবরসমূহকে মসজিদ বানানো এগুলোর ইবাদাত করা ও তাতে দৃঢ় বিশ্বাস রাখার প্রতি ধাবিত করে।

فوائد الحديث

নবী ও সালেহীনদের কবরের ব্যাপারে শরী‘আতের সীমা অতিক্রম করলে, তা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদাতে পরিণত হয়। সুতরাং শিরকের এসব উপায় থেকে মানুষকে সতর্ক করা ওয়াজিব।

কবরকে সম্মান ও এর নিকটে ইবাদাত করার উদ্দেশ্যে কবর যিয়ারত করা জায়েয নেই; কবরবাসী যতই আল্লাহ তা‘আলার নিকটবর্তী হোক না কেন।

কবরের উপরে মসজিদ বানানো হারাম।

কবরের কাছে সালাত আদায় করা হারাম; যদিও সেখানে মসজিদ না বানায়; তবে সালাতুল জানাযার ব্যাপার ভিন্ন, যদি আগে সালাতুল জানাযা পড়া না হয় তবে কবরের পাশে তা আদায় করা যাবে।

التصنيفات

আশ-শির্ক, মসজিদের বিধানসমূহ