“যে ব্যক্তি চায় যে, তার রিযক প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বর্ধিত হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখে।”

“যে ব্যক্তি চায় যে, তার রিযক প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বর্ধিত হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখে।”

আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি চায় যে, তার রিযক প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বর্ধিত হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখে।”

[সহীহ] [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

الشرح

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা ও সম্মান করা, ইত্যাদি মাধ্যমে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে অত্র হাদীসে উৎসাহ প্রদান করেছেন। আর এটি রিযিক প্রশস্ত হওয়া ও আয়ু বর্ধিত হওয়ার কারণ।

فوائد الحديث

আত্মীয় বলতে পিতা ও মাতার দিক থেকে নিকটাত্মীয়গণ। তারা যত কাছের হবে তাদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করাও ততবেশি অগ্রাধিকার পাবে।

সমজাতীয় কাজের বিনিময় সমজাতীয় হয়ে থাকে। সুতরাং যে ব্যক্তি আত্মীয়-স্বজনের সাথে সৎ ব্যবহার ও অনুগ্রহ করার মাধ্যমে তাদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করবে, আল্লাহ তা‘আলাও তার হায়াত ও রিযিক বৃদ্ধি করবেন।

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা রিযিক বৃদ্ধি ও প্রশস্ত হওয়া এবং আয়ু দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণ। যদিও রিযিক ও বয়স আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত, তবে কখনও কখনও তিনি রিযিক ও বয়সে বরকত দিয়ে দেন। ফলে সে তার উক্ত নির্ধারিত বয়সে এতো বেশি ও উপকারী কাজ করে যা অন্যদের দ্বারা সম্ভব হয় না। কেউ কেউ বলেন, আয়ু ও রিযিক বৃদ্ধি প্রকৃত অর্থেই হয়ে থাকে। আল্লাহই ভালো জানেন।

التصنيفات

সৎকাজের ফযীলত