إعدادات العرض
1- তোমাদের কারো সালাতে যদি সন্দেহ হয়—কত রাকা‘আত পড়ছে তিনি না চার তা জানে না, সে যেন সন্দেহ পরিহার করে প্রবল ধারণার উপর ভিত্তি করে। তারপর সালাত শেষ করার পর সালামের পূর্বে দু’টি (সাহু) সাজদাহ করবে। যদি সে পাঁচ রাকা‘আত পড়ে থাকে তাহলে তা তার সালাতকে জোড় করবে। আর যদি সালাত চার রাকা‘আত পূর্ণ করার জন্য আদায় করে থাকে, তাহলে সাজদাহ দু’টি হবে শয়তানের জন্য নাকে খত দেয়ার মত অপ্রীতিকর।
2- যিয়াদ বিন আলাকাহ বলেন, মুগীরাহ বিন শু‘বা একদা আমাদের সালাতে ইমামতি করলেন। তিনি দুই রাকআতের পর দাঁড়িয়ে গেলে আমরা বললাম সুবহানাল্লাহ। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ এবং সালাত চালিয়ে গেলেন। যখন সালাত শেষ করলেন এবং সালাম ফিরালেন এবং দুটি সেজদা সাহু করলেন। তারপর যখন তিনি সালাত শেষ করে ঘুরে বসলেন, তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমি এমনটি করতে দেখেছি।
3- আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাদের কাছে সূরা ইনশিকাক তিলাওয়াত করলেন। তিনি এতে সিজদা দিলেন। অতপর সিজদা শেষে তিনি বললেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সূরা তিলাওয়াত করে সিজদা দিয়েছেন।
4- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট সূরাহ্ ওয়ান্ন নাজ্ম তিলাওয়াত করা হল কিন্তু তাতে তিনি সাজদাহ্ করেননি।
5- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম, সূরা হজে কি দুটি সেজদাহ রয়েছে? সে বলল, হ্যাঁ। আর যে ব্যক্তি সেজদাহ দুইটি না করবে সে যেন সে দুটি তিলাওয়া না করে।
6- যখন কোন খুশীর খবর আসতো বা তাঁকে কোন সুসংবাদ দেওয়া হতো, তখনই তিনি আল্লাহর উদ্দেশ্যে শোকর-সূচক সিজদা আদায় করতেন।
7- সাজদা সাহু বিষয়ে যুল ইয়াদাইনের হাদীস
8- আবূ হুরাইরাহ্ রাদয়িাল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বিকালের এক সfলাত দু’রাকাত আদায় করলেন। মুহাম্মাদ বলেন, আমার অধিক ধারণা আসরের সালাত। অতঃপর সালাম ফিরালেন। অতঃপর মাসজিদে অগ্রাভাগে রাখা এক টুকরা কাঠের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ালেন এবং তার ওপর তার হাত রাখলেন। উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আবূ বকর ও ‘উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা-ও ছিলেন। কিন্তু তাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের-এর সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেলেন। যাদের তাড়া ছিল তারা বের হয়ে পড়ল। তারা বলল, সালাত কি সংক্ষেপ করা হয়েছে? একজন লোককে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘যুল-ইয়াদাইন’ বলে ডাকতেন। সে বলল, আপনি কি ভুলে গেছেন, নাকি সালাত সংক্ষেপ করা হয়েছে? তিনি বললেন, আমি ভুলিনি এবং সালাত সংক্ষেপও করা হয়নি। সে বলল, অবশ্যই, আপনি ভুলে গিয়েছেন। তারপর তিনি দু্ই রাকা‘আত সালাত আদায় করলেন, সালাম ফিরালেন ও তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সাজদাহ’র মতো বা একটু দীর্ঘ সাজদাহ করলেন। অতঃপর তার মাথা তুললেন ও তাকবীর বললেন। অতঃপর তার মাথা রাখলেন ও তাকবীর বললেন এবং স্বাভাবিকভাবে সাজদাহ’র মত বা একটু দীর্ঘ সাজদাহ করলেন। অতঃপর তার মাথা তুললেন ও তাকবীর বললেন।” সহীহ বুখারী।
9- যদি সালাত সম্পর্কে নতুন কিছু হতো, তবে অবশ্যই তোমাদের তা জানিয়ে দিতাম। কিন্তু আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষ। তোমরা যেমন ভুল করে থাক, আমিও ভুলে যাই। আমি কোন সময় ভুলে গেলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবে। তোমাদের কেউ সালাত সম্বন্ধে সন্দেহে পতিত হলে সে যেন নিঃসন্দেহ হবার চেষ্টা করে এবং সে অনুযায়ী সালাত পূর্ণ করে। অতঃপর যেন সালাম ফিরিয়ে দু’টি সাজদাহ দেয়।
10- প্রত্যেক ভুলের জন্য সালামের পর দুই সেজদা।
11- সূরাহ্ সা-দ এর সাজদাহ্ অত্যাবশ্যক সাজদাহ্সমূহের মধ্যে গণ্য নয়, তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি তা তিলাওয়াতের পর সাজদাহ্ করতে দেখেছি।
12- জিবরীল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসে সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেছেন যে, যে ব্যক্তি আপনার প্রতি দরুদ পাঠ করবে আমি (আল্লাহ) তার প্রতি দরুদ (রহমত বর্ষণ) পাঠ করব। আর যে ব্যক্তি আপনার প্রতি সালাম পেশ করবে আমি (আল্লাহ) তার প্রতি সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তা) পেশ করব। ফলে আমি মহান আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করে সিজদা দিয়েছিলাম।
13- বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খালিদ ইবন ওয়ালিদকে ইয়ামনের দিকে প্রেরণ করেন যাতে তিনি তাদের ইসলামের দিকে দাওয়াত দেয়। কিন্তু তারা তাকে সাড়া দেয়নি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী ইবন আবী তালেব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে পাঠালেন এবং তাকে নির্দেশ দিলেন যে, খালিদ এবং তার সাথে আরও যারা আছে তাদের ফেরত পাঠাতে। তবে যদি খালিদের সাথে থাকা কোন লোক আলীর সাথে থাকতে চায় সে যেন তার সাথে থাকে। বারা বলেন, আমি তাদের মধ্যে একজন ছিলাম সে তার সাথে রয়ে গেল। তারপর যখন আমরা সম্প্রদায়ের লোকদের কাছাকাছি গেলাম, তারা আমাদের কাছে বের হয়ে আসল। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাদের সালাত পড়ালেন এবং এক কাতার করে দাড়ালাম। তারপর তিনি আমাদের সামনে অগ্রসর হলেন। তারপর তাদেরকে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চিঠি পড়ে শুনালেন, ফলে হামদান গোত্রের সব লোক ইসলাম গ্রহণ করে ফেলল। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট তাদের ইসলাম গ্রহণের সংবাদ জানিয়ে চিঠি লিখলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন চিঠিটি পড়লো সেজদায় লুটে পড়ল। তারপর তিনি তার মাথা তুললেন এবং বললেন, হামদান সম্প্রদায়ে ওপর শান্তি। হামদান সম্প্রদায়ে ওপর শান্তি। সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী।