إعدادات العرض
“আমি যে ব্যাপারে তোমাদেরকে (বর্ণনা না দিয়ে) ছেড়ে দিয়েছি, সে ব্যাপারে তোমরা আমাকে ছেড়ে দাও (অর্থাৎ সে ব্যাপারে…
“আমি যে ব্যাপারে তোমাদেরকে (বর্ণনা না দিয়ে) ছেড়ে দিয়েছি, সে ব্যাপারে তোমরা আমাকে ছেড়ে দাও (অর্থাৎ সে ব্যাপারে আমাকে প্রশ্ন করো না)। কারণ, তোমাদের পূর্ববর্তীরা তাদের অধিক প্রশ্ন করার এবং তাদের নবীদের সঙ্গে মতভেদ করার ফলে ধ্বংস হয়ে গেছে।
আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি যে ব্যাপারে তোমাদেরকে (বর্ণনা না দিয়ে) ছেড়ে দিয়েছি, সে ব্যাপারে তোমরা আমাকে ছেড়ে দাও (অর্থাৎ সে ব্যাপারে আমাকে প্রশ্ন করো না)। কারণ, তোমাদের পূর্ববর্তীরা তাদের অধিক প্রশ্ন করার এবং তাদের নবীদের সঙ্গে মতভেদ করার ফলে ধ্বংস হয়ে গেছে। সুতরাং আমি যখন তোমাদেরকে কোনো জিনিস থেকে নিষেধ করব, তখন তোমরা তা থেকে দূরে থাক। আর যখন আমি তোমাদেরকে কোনো কাজের আদেশ দেব, তখন তোমরা তা সাধ্যমত পালন কর।”
الترجمة
العربية Bosanski English Español فارسی Français Bahasa Indonesia Русский Tagalog Türkçe اردو 中文 हिन्दी Hausa Kurdî Português සිංහල دری অসমীয়া Tiếng Việt Svenska Yorùbá Кыргызча Kiswahili ગુજરાતી नेपाली Română മലയാളം Nederlands తెలుగు پښتو Soomaali Kinyarwanda ಕನ್ನಡ Српски Moore ქართული Čeština Magyar Українська Македонски Lietuvių Azərbaycan தமிழ் Wolof አማርኛ Malagasy Oromooالشرح
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, শরী‘আতের আহকাম তিন ধরণের: কিছু বিষয়ে চুপ, কিছু বিষয়ে নিষেধ এবং কিছু বিষয়ে আদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথমত: যে বিষয়ে শরী‘আহ নীরব রয়েছে: যেখানে কোন বিধান নেই, এ বিষয়গুলির ক্ষেত্রে মূলনীতি হল, সেগুলি বাধ্যতামূলক নয়; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে এমন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন না করা আবশ্যক ছিল, এ ভয়ে যেন আল্লাহর পক্ষ থেকে আবশ্যক অথবা হারামের বিধান নাযিল না হয়ে যায়; কেননা আল্লাহ তা‘আলা সেগুলিকে বান্দাদের উপরে রহমত হিসেবে ছাড় দিয়েছিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পরে, যদি মুফতির কাছে প্রশ্ন করা হয় অথবা দীনের প্রয়োজনে এমন বিষয়সমূহ শেখার প্রয়োজন হয়, তাহলে তা জায়িয, বরং সেটি আদিষ্ট বিষয়ও বটে। পক্ষান্তরে যদি তা কৃত্রিমতা অথবা সমস্যা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে, তাহলে সেটি হচ্ছে এ হাদীসের মধ্যে আগত প্রশ্নের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য; কেননা এটি কখনো কখনো বনী ইসরাঈলের সাথে যা ঘটেছিল সেদিকে ধাবিত করতে পারে, যখন তাদেরকে একটি গরু যবাই করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তারা যদি তখন যে কোন একটি গরু যবাই করত, তাহলে তা তাদের জন্য যথেষ্ট হত, কিন্তু তারা কঠিন করার কারণে তাদের উপর কঠিন করে দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয়: নিষেধাজ্ঞা: এগুলো হচ্ছে এমন বিষয়, যেগুলো ছেড়ে দিলে সওয়াব হবে আর করলে তার কর্তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। সুতরাং এগুলোর প্রত্যেকটি বিষয় থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। তৃতীয়: আদেশ: এগুলো হচ্ছে এমন বিষয়, যেগুলো করলে সওয়াব আর ছেড়ে দিলে শাস্তি দেওয়া হবে। সুতরাং এগুলোকে সাধ্য অনুযায়ী পালন করতে হবে।فوائد الحديث
কোনটি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সে গুলো নিয়ে আমাদের ব্যস্ত থাকা উচিত, যা প্রয়োজন নেই তা অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া উচিত এবং যা ঘটেনি তা জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে ব্যস্ত না হওয়া উচিত।
এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা নিষিদ্ধ যা সমস্যাগুলিকে জটিল করে তুলতে পারে এবং এমন সন্দেহের দরজা খুলে দিতে পারে যা অনেক মতবিরোধের দিকে ধাবিত করে।
নিষিদ্ধ কাজ পূর্ণভাবে পরিত্যাগের জন্য আদেশ করা হয়েছে; কেননা এতে কোন সমস্যা নেই, আর এ কারণে এগুলো থেকে নিষেধাজ্ঞাটি ‘আম বা সার্বিকভাবে প্রযোজ্য হবে।
আদিষ্ট বিষয়ে সাধ্যমত আমল করার আদেশ করা হয়েছে; কেননা হতে পারে ব্যক্তির উপরে কখনো তা কঠিন হয়ে যাবে অথবা সেগুলো করতে অক্ষম হবে। আর এ কারণে সাধ্য মোতাবেক পালন করার আদেশ করা হয়েছে।
অধিক হারে প্রশ্ন করা হতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আলেমগণ প্রশ্নকে দুইভাগে ভাগ করেছেন। প্রথমত: দীনের প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহ শেখার জন্য প্রশ্ন করা। সাহাবীদের প্রশ্ন এ জাতীয় ছিল। আর দ্বিতীয় প্রকার প্রশ্ন হলো, কৃত্রিম ও অহংকার বশত। এ ধরনের প্রশ্ন করা নিষিদ্ধ।
এ উম্মতকে তাদের নবীর বিরোধিতা করতে নিষেধ করা যেমনটি আগেকার উম্মতদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল।
অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশী বেশী প্রশ্ন করা এবং নবীদের সাথে মতবিরোধ করা ধংসের কারণ, বিশেষভাবে এমন বিষয়ে যেখানে পৌঁছা সম্ভব নয়, যেমন: গায়েবের বিষয়সমূহ, যে বিষয় আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না এবং কিয়ামাতের দিনের ভয়াবহ পরিস্থিতি ইত্যাদি।
কঠিন বিষয়ে প্রশ্ন করতে নিষেধ করে বলেছেন: আল্লাহ যদি তাঁর বান্দাকে জ্ঞানের বরকত থেকে বঞ্চিত করতে চান, তবে তিনি তাদের মুখে কুটিল প্রশ্ন দিয়ে দেন, তাতে করে তাদেরকেই তুমি সবচেয়ে কম জ্ঞানী দেখতে পাবে। ইবনু ওয়াহব বলেছেন, আমি মালিক-কে বলতে শুনেছি: ইলম নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করা ব্যক্তির অন্তর থেকে জ্ঞানের আলো দূর করে দেয়।