إعدادات العرض
তোমরা আহলুল কিতবাদের বিশ্বাস করবে না আবার অস্বীকারও করবে না। বরং তোমরা বলবে: آمَنَّا بِاللهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا যার…
তোমরা আহলুল কিতবাদের বিশ্বাস করবে না আবার অস্বীকারও করবে না। বরং তোমরা বলবে: آمَنَّا بِاللهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا যার অর্থ: আমরা আল্লাহর উপরে এবং আমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার উপরে ঈমান এনেছি।
আবূ হুরাইরাহ রদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আহলুল কিতাব হিব্রু ভাষাতে তাওরাত পাঠ করত, মুসলিমদের জন্য তারা তা আরবী ভাষাতে ব্যাখ্যা করত। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তোমরা আহলুল কিতবাদের বিশ্বাস করবে না আবার অস্বীকারও করবে না। বরং তোমরা বলবে: آمَنَّا بِاللهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا যার অর্থ: আমরা আল্লাহর উপরে এবং আমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার উপরে ঈমান এনেছি। [সূরা আল-বাকারাহ: ১৩৬]।”
الترجمة
العربية English မြန်မာ Svenska Čeština ગુજરાતી አማርኛ Yorùbá Nederlands اردو Español Bahasa Indonesia ئۇيغۇرچە Türkçe Bosanski සිංහල हिन्दी Tiếng Việt Hausa മലയാളം తెలుగు Kiswahili ไทย پښتو অসমীয়া Shqip دری Ελληνικά Български Fulfulde Italiano ಕನ್ನಡ Кыргызча Lietuvių Malagasy Română Kinyarwanda Српски тоҷикӣ O‘zbek नेपाली Moore Kurdî Wolof Soomaali Français Oromoo Azərbaycan Tagalog Українська தமிழ் bm Deutsch ქართული Português mk Magyar ln Русскийالشرح
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মাতকে আহলে কিতাবগণ তাদের কিতাবসমূহ থেকে যা বর্ণনা করে, তা দ্বারা ধোকায় নিমজ্জিত হওয়া থেকে সতর্ক করেছেন। ইহুদীরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে হিব্রু ভাষাতে তাওরাত পাঠ করত; যা ছিল ইহুদীদের ভাষা। আর তারা তাওরাতকে আরবী ভাষায় ব্যাখ্যা করত। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমরা আহলে কিতাবদের বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনটাই করবে না। এটা এমন বিষয়ে যার সত্য বা মিথ্যা হওয়া অজানা। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের যে অংশ আমাদের কাছে ও কিতাবের যে অংশ তাদের ওপর নাযিল করা হয়েছে, সেগুলোর প্রতি ঈমান আনার আদেশ করেছেন। তবে সেগুলো ব্যতীত, তারা তাদের ঐ সমস্ত কিতাবসমূহ থেকে যা বর্ণনা করে থাকে, সেগুলোর বিশুদ্ধ বর্ণনাকে অশুদ্ধ বর্ণনা থেকে আলাদা করার কোন পন্থা আমাদের কাছে নেই, যদি না আমাদের শারী‘আতে এমন কিছু থাকে, যা এর মিথ্যা থেকে সত্যকে স্পষ্ট করে দেয়। তাই আমাদের উচিৎ এ ব্যাপারে চুপ থাকা, সুতরাং আমরা তাদেরকে সত্যায়ন করব না; যাতে তারা কিতাব থেকে যা বিকৃত করে ফেলেছে আমরা সেক্ষেত্রে তাদের সহযোগী না হয়ে যাই। আবার তাদেরকে মিথ্যাবাদীও বলব না; কারণ হতে পারে বিষয়টি সঠিক, আর তাতে আমরা যেন এমন বিষয়কে অস্বীকারকারী না হয়ে যাই, যে ব্যাপারে আমাদেরকে ঈমান আনার আদেশ দেওয়া হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এ কথা বলার আদেশ করেছেন: آمنا بالله وما أنزل إلينا وما أنزل إلى إبراهيم وإسماعيل وإسحاق ويعقوب والأسباط وما أوتي موسى وعيسى وما أوتي النبيون من ربهم لا نفرق بين أحد منهم ونحن له مسلمون যার অর্থ: “আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহ্র প্রতি, যা আমাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে, এবং যা ইবরাহীম, ইসমা’ঈল, ইসহাক, ইয়া’কূব ও তার বংশধরদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে, এবং যা মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীগণকে তাদের রব-এর নিকট হতে দেওয়া হয়েছে তার প্রতি। আমরা তাদের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। আর আমরা তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণকারী।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৩৬]فوائد الحديث
আহলে কিতাবদের সংবাদগুলো তিন ধরণের: প্রথমত: যা কুরআন ও সুন্নাহর সাথে মিলে যায়, এগুলো বিশ্বাস করা যাবে। দ্বিতীয়ত: যা কুরআন ও সুন্নাহর বিরোধী, সেগুলো বাতিল ও প্রত্যাখ্যাত আর তৃতীয়ত: যেগুলোর সত্য বা মিথ্যা হওয়ার ব্যাপারে কুরআন অথবা সুন্নাহতে কোন কিছু বলা হয়নি, এ ধরণের বিষয়গুলো বর্ণনা করা যাবে, তবে তা বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনোটাই করা যাবে না।