রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট (বাইআত করার উদ্দেশ্যে) (১০ জনের) একটি দল উপস্থিত হলেন। তিনি…

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট (বাইআত করার উদ্দেশ্যে) (১০ জনের) একটি দল উপস্থিত হলেন। তিনি নয়জনের নিকট থেকে বাইয়াত নিলেন। আর মাত্র একজন লোকের নিকট হতে বাইআত নিলেন না। সকলে বললেন: ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি নয় জনের বাইআত গ্রহণ করলেন; কিন্তু এর করলেন না কেন?’ উত্তরে তিনি বললেন: “ওর দেহে কবচ-তাবীয রয়েছে তাই।” অতঃপর সে নিজ হাতে তা ছিঁড়ে ফেলল। সুতরাং তার নিকট থেকেও বাইআত নিলেন এবং বললেন:@ “যে ব্যক্তি কবচ-তাবীয লটকালো, সে শিরক করল।”

‘উকবা ইবন ‘আমের আল জুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট (বাইআত করার উদ্দেশ্যে) (১০ জনের) একটি দল উপস্থিত হলেন। তিনি নয়জনের নিকট থেকে বাইয়াত নিলেন। আর মাত্র একজন লোকের নিকট হতে বাইআত নিলেন না। সকলে বললেন: ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি নয় জনের বাইআত গ্রহণ করলেন; কিন্তু এর করলেন না কেন?’ উত্তরে তিনি বললেন: “ওর দেহে কবচ-তাবীয রয়েছে তাই।” অতঃপর সে নিজ হাতে তা ছিঁড়ে ফেলল। সুতরাং তার নিকট থেকেও বাইআত নিলেন এবং বললেন: “যে ব্যক্তি কবচ-তাবীয লটকালো, সে শিরক করল।”

[হাসান] [এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]

الشرح

একদল লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এলেন। তাদের সংখ্যা ছিল দশ জন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মধ্যে নয় জনের সাথে ইসলাম ও অনুসরণের উপর বাইয়াত (শপথ) নিলেন, কিন্তু দশম ব্যক্তির সাথে বাইয়াত নিলেন না। যখন তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলো, তখন তিনি বললেন: তার গলায় তাবীয রয়েছে। তাবীয হলো সেই জিনিস যা চোখের দৃষ্টি বা ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য পুঁতি বা অন্যান্য জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয় এবং গলায় বা শরীরের অন্য কোনো স্থানে বেঁধে রাখা হয়। তারপর সেই ব্যক্তি তার হাত তাবীযের স্থানে নিল এবং তা কেটে ফেলে দিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে বাইয়াত নিলেন এবং তাবীয সম্পর্কে সতর্ক করে এর বিধান ব্যাখ্যা করে বললেন: "যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলিয়ে রাখে, সে শির্ক করে।"

فوائد الحديث

যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর উপর নির্ভর করে, আল্লাহ তার ইচ্ছার বিপরীতভাবে তার সাথে আচরণ করেন।

তাবীয বেঁধে রাখাকে ক্ষতি বা বদনযর থেকে রক্ষার কারণ মনে করা ছোট শির্ক। তবে যদি কেউ বিশ্বাস করে যে, তাবীয নিজেই উপকার করে, তাহলে তা বড় শির্ক।

التصنيفات

তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ