إعدادات العرض
1- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাজর হবার পর জামা‘আত দাঁড়ানোর পূর্বে সংক্ষিপ্ত দু’রাক‘আত সলাত আদায় করতেন।
2- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের পূর্বে চার রাক‘আত এবং সকালের (ফজের পূর্বে) দু’রাক‘আত সালাত ছাড়তেন না।
3- যে ব্যক্তি যুহরের পূর্বে এবং পরে চার রাকা‘আত সালাতের হিফাযত করে তাকে আল্লাহ জাহান্নামের ওপর হারাম করে দেবেন।
4- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন নফল সলাতকে ফাজরের দু’রাক‘আত সুন্নাতের চেয়ে অধিক গুরুত্ব প্রদান করতেন না।
5- মুয়াযযিন যখন ফজরের প্রথম আযান শেষ করত তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়াতেন এবং দু’রাকাত হালকা সালাত আদায় করতেন ফজরের সালাতের পূর্বে ফজর স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর। তারপর তিনি ডান কাত হয়ে শুয়ে পড়তেন। যতক্ষণ না একামত দেওয়ার জন্যে মুয়াযযিন তার নিকট আসতেন।
6- আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ যখন ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত পড়বে, তখন সে যেন তার ডান পার্শ্বে শুয়ে যায়।” মারওয়ান ইবন হাকাম তাকে বলল, আমাদের কারো মসজিদের দিকে গমন করা ডান পার্শ্বে শুয়ার জন্য যথেষ্ট হবে না। উবাউদুল্লাহ স্বীয় হাদীসে বলেন: তিনি বললেন, না, তিনি বলেন: বিষয়টি ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন, আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তার ওপর বাড়াবাড়ি করল। তখন ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হলো, তিনি যা বলেন তার কোন কিছু কি আপনি অস্বকীর করেন। সে বলল, “না, তবে সে সাহস দেখিয়েছে আর আমরা ভীরুতা প্রদর্শন করেছি।” তিনি বলেন, বিষয়টি আবূ হুরায়রার নিকট পৌঁছলে তিনি বললেন, আমার কি অপরাধ যদি আমি স্মরণ রাখি এবং তারা ভুলে যায়। সুনানে আবূ দাউদ।