إعدادات العرض
1- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিচারে ঘুষ দাতা ও ঘুষ গ্রহীতা উভয়কে অভিশাপ দিয়েছেন।
2- যদি মানুষকে কেবল তাদের দাবী অনুযায়ী দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কতক লোক অন্যের সম্পদ ও জীবন দাবী করবে। সুতরাং, দাবীদারের দায়িত্ব প্রমাণ পেশ করা আর যে অস্বীকারীর কাজ হলো শপথ করা।
3- একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরের দরজায় বাদী-বিবাদীর তর্কাতর্কি শুনতে পেলেন।
4- “(প্রাচীনকালে) একটি লোক অন্য লোক হতে একটি জায়গা ক্রয় করল। ক্রেতা ঐ জায়গায় (প্রোথিত) একটি কলসী পেল, যাতে স্বর্ণ ছিল। জায়গার ক্রেতা বিক্রেতাকে বলল, ‘তোমার স্বর্ণ নিয়ে নাও। আমি তো তোমার জায়গা খরিদ করেছি, স্বর্ণ খরিদ করিনি।’ জায়গার বিক্রেতা বলল, ‘আমি তোমাকে জায়গা এবং তাতে যা কিছু আছে সবই বিক্রি করেছি।’ অতঃপর তারা উভয়েই এক ব্যক্তির নিকট বিচার প্রার্থী হল। বিচারক ব্যক্তি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাদের সন্তান আছে কি?’ তাদের একজন বলল, ‘আমার একটি ছেলে আছে।’ অপরজন বলল, ‘আমার একটি মেয়ে আছে।’ বিচারক বললেন, ‘তোমরা ছেলেটির সাথে তার মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দাও এবং ঐ স্বর্ণ থেকে তাদের জন্য খরচ কর এবং দান কর।”
5- দু’জন মহিলার সাথে তাদের দু’টি ছেলে ছিল। একদা একটি নেকড়ে বাঘ এসে তাদের মধ্যে একজনের ছেলেকে নিয়ে গেল। একজন মহিলা তার সঙ্গিনীকে বলল, ‘বাঘে তোমার ছেলেকেই নিয়ে গেছে।’ অপরজন বলল, ‘তোমার ছেলেকেই বাঘে নিয়ে গেছে।’ সুতরাং তারা দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর নিকট বিচারপ্রার্থিনী হল। তিনি (অবশিষ্ট ছেলেটি) বড় মহিলাটির ছেলে বলে ফায়সালা ক’রে দিলেন।