إعدادات العرض
1- মুনাফিকদের ওপর সবচেয়ে কঠিন সালাত হলো, ইশা ও ফজরের সালাত। তারা যদি এ দুই সালাতের ফযিলত সম্পর্কে জানতো তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হতো। আর আমি ইচ্ছা করেছি যে, সালাত আদায় করার আদেশ দিব ও ইকামাত দেয়া হবে তারপর একজনকে বলব যেন সে মানুষদের নিয়ে সালাত আদায় করে। অতঃপর আমি কতক মানুষ যাদের সাথে থাকবে লাকড়ির বোঝা তাদেরকে নিয়ে সেসব লোকদের কাছে যাবো যারা সালাতে উপস্থিত হয় না এবং তাদের ওপর তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিব।
2- আমাদের রব স্বীয় নলা/পায়ের গোছা উন্মুক্ত করবেন। তখন প্রত্যেক মুমিন নারী ও পুরুষ তাকে সেজদা করবে। তবে তারা বাকী থাকবে যারা দুনিয়াতে লোক দেখানো ও সুনামের জন্য সাজদাহ করত। তারা সাজদাহ করতে চেষ্টা করবে কিন্তু তাদের পিঠ একটি কাটের তখতের মতো হয়ে ফিরে আসবে।
3- “মুনাফিকের উদাহরণ হচ্ছে বিচরণকারী সেই ছাগীর মত, যে দুটি ছাগলের পালের মধ্যে ঘুরতে থাকে, একবার একটির কাছে আসে আবার অন্যটির কাছে যায়।”
4- যখন সাদকা করার আয়াত নাযিল হল তখন আমরা (পারিশ্রমিকের বিনিময়ে) নিজের পিঠে বোঝা বহন করতাম (অর্থাৎ মুটে-মজুরের কাজ করতাম)। অতঃপর এক ব্যক্তি এল এবং প্রচুর জিনিস সাদকাহ করল। মুনাফিকরা বলল, ‘এই ব্যক্তি রিয়াকার। আর এক ব্যক্তি এল এবং সে এক সা’ (আড়াই কিলো) জিনিস দান করল। তারা বলল, ‘এ এক সা’ দানের আল্লাহ মুখাপেক্ষী নন।’ অতঃপর এই আয়াত অবতীর্ণ হল, (যার অর্থ) “বিশ্বসীদের মধ্যে স্বতস্ফূর্তভাবে যারা সাদকা করে তাদেরকে যারা দোষারোপ কর”।
5- মুহাম্মাদ ইবন যায়েদ হতে বর্ণিত, কতিপয় লোক তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার নিকট নিবেদন করল যে, ‘আমরা আমাদের শাসকদের নিকট যাই এবং তাদেরকে ঐ সব কথা বলি, যার বিপরীত বলি তাদের নিকট থেকে বাইরে আসার পর। (সে সম্বন্ধে আপনার অভিমত কী?)’ তিনি উত্তর দিলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় এরূপ আচরণকে আমরা ‘মুনাফিককী’ আচরণ বলে গণ্য করতাম।”
6- আমরা এমন এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বের হলাম, যাতে লোকজন খুব সংকটে পড়েছিল।
7- আমি মনে করি না যে, অমুক ও অমুক আমাদের দীন সম্পর্কে কিছু জানে।