إعدادات العرض
1- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন মানত কোনো কল্যাণ নিয়ে আসে না, তবে তা দ্বারা কৃপণ থেকে বের করা হয় মাত্র।
2- আল্লাহর শপথ! ইন শাআল্লাহ, আমি যখনই কিছুর ব্যাপারে হলফ করব, তারপর তার চেয়ে উত্তম কিছু দেখতে পাব, তখন আমার কসম ভঙ্গের কাফ্ফারা দিয়ে যেটি উত্তম সেটিই করব।
3- যে ব্যক্তি কসম খেয়ে বলল যে, ‘আমি ইসলাম হতে (দায়) মুক্ত।’ অতঃপর যদি (তাতে) সে মিথ্যাবাদী হয়, তাহলে তেমনি হবে, যেমন সে বলেছে। আর যদি সে (তাতে) সত্যবাদী হয়, তাহলে নিখুঁতভাবে ইসলামে কখনোই ফিরতে পারবে না।
4- সা‘দ ইবনু উবাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তার মায়ের একটি মান্নত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, যা পূর্ণ করার আগেই তার মা মারা যান। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি তার পক্ষ থেকে তা পূর্ণ করো।
5- যে ব্যক্তি কোন মুসলমান ব্যক্তির মাল নাহক আত্মসাৎ করার জন্য মিথ্যা কসম খাবে, সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে, যখন তিনি তার উপর ক্রোধান্বিত থাকবেন।
6- আমার বোন পায়ে হেঁটে হাজ্জ করার মানত করেছিল। আমাকে এ বিষয়ে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে ফাতাওয়া আনার নির্দেশ করলে আমি নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, পায়ে হেঁটেও চলুক, সাওয়ারও হোক।
7- হে আব্দুর রহমান ইবন সামুরাহ! তুমি সরকারী পদ চেয়ো না। কারণ যদি তুমি তা চাওয়ার কারণে পাও, তাহলে তার প্রতি তোমাকে সঁপে দেওয়া হবে।
8- যে ব্যক্তি কোন বিষয়ের উপর কসম খেল অতঃপর তার চেয়ে বেশী তাকওয়ার বিষয় দেখল (কসম ভঙ্গ করাতে), তার উচিত তাকওয়ার বিষয় গ্রহণ করা।”
9- লোকটিকে বলে দাও সে যেন কথা বলে, ছায়াতে যায়, বসে এবং তার সাওম সমাপ্ত করে।
10- আল্লাহর কসম! তোমাদের মধ্যে কেউ আপন পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে শপথকারী হয়ে তাতে সুদৃঢ়ভাবে অবস্থানকারী হয়ে থেকে গেলে সে আল্লাহর নিকট অধিক গুনাহগার বিবেচিত হবে, উক্ত শপথ ভঙ্গ করে আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর যে কাফফারা আদায় করা অপরিহার্য করে দিয়েছেন তা প্রদান করে শপথকৃত কাজে ফিরে যাওয়ার চেয়ে।
11- সাবালক হওয়ার পর ইয়াতীম বলা যাবে না এবং কোনো দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাক বন্ধ রাখা যাবে না।
12- কায়েস ইবন আবূ হাযেম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ বাকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আহমাস গোত্রের যয়নাব নামক এক মহিলার নিকট এসে দেখলেন যে, সে কথা বলে না। তিনি বললেন, ‘ওর কী হয়েছে যে, কথা বলে না?’ তারা বলল, ‘ও নীরব থেকে হজ্জ করার সংকল্প করেছে।’ তিনি বললেন, ‘কথা বল। কারণ, এ (নীরবতা) বৈধ নয়। এ হল জাহেলী যুগের কাজ।’ সুতরাং সে কথা বলল।” এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।