إعدادات العرض
1- তোমরা রেশম বা রেশম জাত কাপড় পরিধান করো না এবং সোনা ও রূপার পাত্রে পান করো না। এগুলোর বাসনে আহার করো না। কেননা পৃথিবীতে এগুলো কাফিরদের জন্য আর পরকালে তোমাদের জন্য।
2- তোমরা রেশমী কাপড় পরিধান করো না, কারণ, যে দুনিয়াতে তা পরিধান করবে আখিরাতে সে তা পরিধান করবে না।
3- যখন তোমরা কাপড় পরিধান করবে ও ওযূ করবে তখন তোমরা তোমাদের ডান দিক থেকে আরম্ভ করবে।
4- “মুসলিমের লুঙ্গি অর্ধ গোছা পর্যন্ত ঝুলানো উচিত। গাঁটের উপর পর্যন্ত ঝুললে ক্ষতি নেই। যে অংশ লুঙ্গি পায়ের গাঁটের নীচে ঝুলবে, তা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। আর অহংকারবশতঃ যে ব্যক্তি পায়ের গাঁটের নীচে ঝুলিয়ে লুঙ্গি পরবে, তার দিকে আল্লাহ (করুণার দৃষ্টিতে) তাকিয়ে দেখবেন না।”
5- তোমাদের কেউ যখন জুতা পরবে, তখন সে ডান পা দিয়ে শুরু করবে। আর যখন খুলবে, তখন সে বাম পা দিয়ে শুরু করবে। ডান পায়ের জুতা যেন আগে পরা হয় এবং পরে খোলা হয়।
6- এক পুরুষ আরেক পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না এবং এক নারীও আরেক নারীর সতরের দিকে তাকাবে না। কোনো পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে এক কাপড়ে শোবে না এবং কোনো নারীও অন্য নারীর সাথে এক কাপড়ে শোবে না।
7- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের একটি আংটি বানালেন।
8- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন; তবে দুই, তিন কিংবা চার অঙ্গুলি পরিমাণ ছাড়া।
9- “যে ব্যক্তি মূল্যবান পোশাক পরার ক্ষমতা থাকা সত্বেও বিনয়বশতঃ তা পরিহার করল, আল্লাহ কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষের সামনে তাকে ডেকে স্বাধীনতা দেবেন, সে যেন ঈমানের (অর্থাৎ ঈমানদারদের পোশাক) জোড়াসমূহের মধ্য থেকে যে কোন জোড়া বেছে নিয়ে পরিধান করে।”
10- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাশ দিয়ে গেলাম এমতাবস্থায় যে, আমার লুঙ্গি বেশ ঝুলে ছিল। তিনি বললেন, “হে আব্দুল্লাহ! লুঙ্গি উঠিয়ে পর।” অতএব আমি লুঙ্গি তুলে পরলাম। তিনি আবার বললেন, “আরো উঁচু কর।” আমি আরো উঁচু করলাম। এরপর বরাবর আমি এর খেয়াল রাখতে থাকলাম; যেন লুঙ্গি নীচে না নামে। কিছু লোক (আব্দুল্লাহকে) জিজ্ঞাসা করল, ‘কতদূর পর্যন্ত?’ তিনি উত্তরে বললেন, ‘অর্ধ গোছা পর্যন্ত।’
11- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে দাঁড়িয়ে জুতা পরতে নিষেধ করেছেন।