إعدادات العرض
1- ওহে কিশোর! আমি তোমাকে কয়েকটি (গুরুত্বপূর্ণ) কথা শিক্ষা দিব (তুমি সেগুলো স্মরণ রেখো)। তুমি আল্লাহর বিধানসমূহকে রক্ষা কর তাহলে আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন। তুমি আল্লাহর হকসমূহ রক্ষা কর, তাহলে তুমি তাঁকে তোমার সম্মুখে পাবে। যখন তুমি চাইবে, তখন আল্লাহর কাছেই চাইবে। আর যখন তুমি প্রার্থনা করবে, তখন একমাত্র আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করবে।
2- “আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টিজগতের তাকদীর আসমান-যমীন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর আগেই লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন।
3- প্রথম যেটি আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, সেটি হচ্ছে কলম। অতঃপর তাকে বললেন, লেখ! সে বলল, হে রব, কী লিখব? তিনি বললেন, কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক বস্তুর তাকদীর লিখ।
4- আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক জানাযায় বাকীউল গারকাদ (কবর স্থানে) ছিলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট এসে বসলেন এবং আমরাও তাঁর আশপাশে বসে গেলাম। তাঁর সাথে একটি ছড়ি ছিল, তিনি মাথা নীচু করে তা দিয়ে (চিন্তাগ্রস্তের মত) মাটিতে আঁক কাটতে লাগলেন। তারপর তিনি বললেন, “তোমাদের প্রত্যেকের জাহান্নামে ও জান্নাতে ঠিকানা লিখে দেওয়া হয়েছে।” সাহাবীরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! তাহলে আমরা কি আমাদের (ভাগ্য) লিপির উপর ভরসা করব না?’ তিনি বললেন, “(না, বরং) তোমরা কর্ম করতে থাক। কেননা, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য সে কাজ সহজ হয়, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।” এবং পুরো হাদীস উল্লেখ করেন। মুত্তাফাকুন আলাইহি
5- আমাকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীস বর্ণনা করেছেন আর তিনি হচ্ছেন সত্যবাদী এবং সত্যবাদী হিসেবে প্রত্যায়িত: “নিশ্চয় তোমাদের যে কোন ব্যক্তি তার মায়ের পেটে চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত অবস্থান করে
6- “প্রতিটি বিষয় তাকদীর অনুসারেই হয়, এমনকি অপারগতা এবং যোগ্যতা। অথবা (তিনি বলেছেন:) যোগ্যতা এবং অপারগতা।”
7- আদম ও মূসা আলাইহিমাস সালাম বিতর্ক করেন। মূসা আলাইহিস সালাম আদম আলাইহিস সালামকে বললেন, হে আদম! আপনি আমাদের পিতা। আপনি আমাদের হতাশ করেছেন এবং আপনার ভুলের মাশুলস্বরূপ আমাদেরকে জান্নাত থেকে বহিস্কার করেছেন। আদম আলাইহিস সালাম তাকে বলেন, হে মূসা! আল্লাহ তোমাকে তাঁর প্রত্যক্ষ কালামের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি স্বহস্তে তোমাকে তাওরাত কিতাব লিখে দিয়েছেন। তুমি কি আমাকে এমন একটি ব্যাপারে দোষারোপ করছো, যা আল্লাহ তা‘আলা আমাকে সৃষ্টি করার চল্লিশ বছর পূর্বে আমার জন্য নির্ধারিত করেছেন? অতএব, আদম আলাইহিস সালাম বিতর্কে মূসা আলাইহিস সালামের ওপর বিজয়ী হলেন।
8- আজকের পরে তোমরা আমার ভাইয়ের জন্য কাঁদবে না।
9- নু’মান ইবন বাশীর —রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা— কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু (একবার) অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁর বোন কান্না করতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন, ‘ও (আমার) পাহাড় গো! ও আমার এই গো! ও আমার ওই গো!’ এভাবে তাঁর একাধিক গুণ বর্ণনা করতে লাগলেন। সুতরাং যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন, তখন বললেন, ‘তুমি যা কিছু বলেছ, সে সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছিল যে, তুমি ঐরূপ ছিলে নাকি?’ (বুখারী)
10- আল্লাহর তা‘আলা তার সৃষ্টিকে অন্ধকারে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তার নূর থেকে তাদের ওপর নিক্ষেপ করলেন। যে তার সে নূর থেকে পেল, সে হিদায়াত প্রাপ্ত হলো আর যে পেল না গোমরাহ হলো। এ কারণেই আমি বলি, আল্লাহর ইলমের ওপর কলম শুকিয়ে গিয়েছে।