إعدادات العرض
1- দীন হচ্ছে কল্যাণ কামনা করা।
2- “তাদের কথা শোন এবং তাদের আনুগত্য কর। কারণ, তাদের উপর আপতিত দায়িত্বের দায়ভার তাদের উপর, আর তোমাদের ওপর আপতিত দায়িত্বের দায়ভার তোমাদের উপর।”
3- “আর যে কেউ রাষ্ট্রপ্রধানের নিকট আনুগত্যের বাই‘আত করলো এবং তার হাতে হাত রাখলো ও নিজের অন্তরের একনিষ্ঠতা তাকে দিয়ে দিল, তার উচিত হবে যথাসম্ভব রাষ্ট্রপ্রধানের আনুগত্য করা। অতঃপর অন্য কোনো ব্যক্তি যদি তার কাছ থেকে তা কেড়ে নিতে আসে, তবে তোমরা দ্বিতীয় সে ব্যক্তির গর্দান উড়িয়ে দিবে।”
4- আমরা তোমাদের মধ্যে যাকে কোনো কাজে নিয়োগ করি, সে আমাদের কাছে একটি সুই অথবা তার চেয়ে বেশি কিছু লুকালে, তা খিয়ানত হবে। কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে হাযির হবে।
5- সুখে-দুঃখে, হর্ষে-বিষাদে এবং তোমার ওপর অন্যদেরকে প্রাধান্য দেওয়ার সময়ও তোমার ওপর কর্তব্য হচ্ছে, (শাসকের) কথা শোনা ও আনুগত্য করা।
6- আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট তাঁর কথা শোনা ও আনুগত্য করার উপর বায়‘আত করতাম তখন তিনি আমাদের বলতেন, “যতটুকু তোমরা পার।”
7- মুসলিমের জন্য (তার শাসকদের) কথা শোনা ও মানা ফরয, সে যা পছন্দ করে বা যা পছন্দ করে না উভয় ক্ষেত্রে যতক্ষণ না পাপ কাজের নির্দেশ দেয়, যখন পাপকাজের আদেশ দেয়, তখন তার কথা শোনা ও মানা ফরয নয়।
8- যে ব্যক্তি বাদশাহকে অপমান করল, আল্লাহ তাকে অপমান করবেন।
9- (শাসকদের) কথা শোনো এবং (তাদের) আনুগত্য কর; যদিও তোমাদের ওপর কোনো নিগ্রো ক্রীতদাসকে (শাসক) নিযুক্ত করা হয়; তার মাথা যেন কিশমিশ।”
10- যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে তো আল্লাহর আনুগত্য করল এবং যে আমার অবাধ্যতা করল, সে তো আল্লাহর অবাধ্যতা করল। আর যে ব্যক্তি নেতার আনুগত্য করবে, সে তো আমার আনুগত্য করল এবং যে নেতার অবাধ্যতা করবে, সে তো আমার অবাধ্যতা করল।
11- তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ভালোবাস এবং তারাও তোমাদেরকে ভালোবাসে, তোমরা তাদের জন্য দো‘আ কর এবং তারাও তোমাদের জন্য দো‘আ করে। আর তোমাদের নিকৃষ্টতম শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ঘৃণা কর এবং তারাও তোমাদেরকে ঘৃণা করে, তোমরা তাদেরকে অভিশাপ প্রদান কর, তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ প্রদান করে।
12- যখন আল্লাহ কোন শাসকের মঙ্গল চান, তখন তিনি তার জন্য সত্যনিষ্ঠ (শুভাকাঙ্খী) একজন মন্ত্রী নিযুক্ত ক’রে দেন। শাসক (কোন কথা) ভুলে গেলে সে তাকে তা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে। আর যখন আল্লাহ তার অন্য কিছু (অমঙ্গল) চান, তখন তার জন্য মন্দ মন্ত্রী নিযুক্ত ক’রে দেন। শাসক বিস্মৃত হলে সে তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় না এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে না।
13- আল্লাহ যখনই কোন নবী প্রেরণ করেন এবং কোন খলীফা নির্বাচিত করেন, তখনই তাঁর জন্য দু’জন সঙ্গী নিযুক্ত করে দেন। একজন সঙ্গী তাঁকে ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর দ্বিতীয়জন সঙ্গী তাঁকে মন্দ কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর রক্ষা পান কেবলমাত্র তিনিই, যাকে আল্লাহ রক্ষা করেন।
14- তোমরা নাছোড় বান্দা হয়ে চেয়ো না। আল্লাহর কসম! তোমাদের মধ্যে যে কেউ আমার নিকট কোনো কিছু চায়, অতঃপর তার চাওয়া আমার অপছন্দ সত্ত্বেও আমার কাছ থেকে কিছু বের করে নেয়, তাহলে যা তাকে দিয়েছি তাতে বরকত হবে না।
15- মুহাম্মাদ ইবন যায়েদ হতে বর্ণিত, কতিপয় লোক তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার নিকট নিবেদন করল যে, ‘আমরা আমাদের শাসকদের নিকট যাই এবং তাদেরকে ঐ সব কথা বলি, যার বিপরীত বলি তাদের নিকট থেকে বাইরে আসার পর। (সে সম্বন্ধে আপনার অভিমত কী?)’ তিনি উত্তর দিলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় এরূপ আচরণকে আমরা ‘মুনাফিককী’ আচরণ বলে গণ্য করতাম।”