1- আল্লাহ যখন কোনো জাতিকে শাস্তি দিতে চান, তখন শাস্তি তাদেরকেও স্পর্শ করে যারা তাদের ভেতর থাকে (অথচ তাদের মতাবলম্বী নয়)। অতঃপর তাদের সবাইকে আমল হিসেবে উত্থিত করা হবে।

2- হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ভালো কাজ করা, খারাপ কাজ ত্যাগ করা ও মিসকিনদের ভালোবাসা প্রার্থনা করছি। আরো প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে ক্ষমা ও রহম করুন। আর যদি কোনো কওমকে ফেতনায় ফেলতে চান, আমাকে ফিতনা ছাড়াই মৃত্যু দান করুন এবং আপনার ভালোবাসা, যারা আপনাকে ভালোবাসে তাদের ভালোবাসা এবং এমন আমলের তাওফিক প্রার্থনা করছি, যা আপনার ভালোবাসার দিকে নিয়ে যায়।

3- আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে যখন আদমের আকৃতি তৈরি করেছেন, সেখানে তাকে যত দিন রাখার তিনি রাখলেন। ইত্যবসের ইবলিস তাকে ঘুরে দেখতে লাগল এটি কী? যখন তার পেট দেখল, তখন সে বুঝতে পারল তাকে এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যে, সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

4- “আল্লাহ তা’আলা যদি কোন বান্দাকে পছন্দ করেন তখন জিবরীলকে ডাক দেন এবং বলেন, নিশ্চয়ই আমি অমুক লোককে পছন্দ করি, তুমিও তাকে পছন্দ কর। তিনি বলেন, তখন জিবরীল তাকে পছন্দ করেন

5- বান্দা যখন আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে একহাত এগিয়ে যাই, আর সে যখন আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে দুই বাহু পরিমাণ এগিয়ে যাই, আর যদি সে আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে যাই দৌঁড়ে।

6- যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ পছন্দ করে, আল্লাহও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ অপছন্দ করে, আল্লাহও তার সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন।

7- নিশ্চয় আল্লাহ মূল্য নিয়ন্ত্রণকারী, সংকোচনকারী, সম্প্রসারণকারী এবং রিযিক দানকারী। আমি আমার রবের সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করতে চাই যে, কেউ যেন আমার বিরুদ্ধে রক্তের ও সম্পদের কোনোরূপ অভিযোগ উত্থাপন করতে না পারে।

8- অবশ্যই আল্লাহ আয্যা ওয়াজাল্লা লজ্জাশীল ও গোপনকারী। তিনি লজ্জা ও গোপন করাকে পছন্দ করেন। তোমাদের কেউ যখন গোসল করবে সে যেন ঢেকে নেয়।

9- আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যখন বান্দা আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, তখন আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। যখন সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয় তখন আমি তার দিকে এক বাহু অগ্রসর হই। আর যখন সে আমার দিকে এক বাহু অগ্রসর হয় তখন আমি তার দিকে আরো দ্রুত অগ্রসর হই।

10- খাওলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট তার স্বামীর ব্যাপারে অভিযোগ করতে এসেছে, তার কথাগুলো আমার নিকট অস্পষ্ট ছিল।

11- আল্লাহ সকল স্রষ্টার স্রষ্টা এবং তার সৃষ্টিরও স্রষ্টা।

12- ডাক্তার কেবল আল্লাহ, বরং তুমি একজন বন্ধু। আর এর ডাক্তার কেবল তিনিই যিনি তা সৃষ্টি করেছেন।

13- জান্নাত ও জাহান্নাম বিতর্ক করল। জাহান্নাম বলল, আমাকে অহংকারী ও প্রতাপশালীদের দ্বারা প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর জান্নাত বলল, আমার কি হলো যে, আমার মধ্যে দূর্বল, অবহেলিত ও মূল্যহীন লোক ব্যতীত কেউ প্রবেশ করবে না?

14- কিয়ামাতের দিন মানুষ বা বললেন বান্দাদের বিবস্ত্র, খাতনাবিহীন ও খালি হাতে একত্র করা হবে। তিনি বলেন আমরা বললাম খালি হাত কি? তাদের হাতে কোন সম্পদ থাকবে না। অঃপর তাদের এমন আওয়াজে আহ্বান করা হবে, যারা দূরে তারা এমনই শুনতে পাবে যেমন যারা কাছে তারা শুনতে পায়। আমি বাদশাহ, আমি প্রতিদান দাতা।

15- “এ স্ত্রীলোকটি তার সন্তানের উপর যতটা দয়ালু, আল্লাহ তাঁর বান্দার উপর তার চেয়েও বেশি দয়ালু”।

16- একবার একটি কুকুর কোনো এক কূপের পাশে চক্কর দিচ্ছিল, এমতাবস্থায় যে পিপাসা তাকে মেরে ফেলার উপক্রম করছিল। ইত্যবসরে বনী ইসরাঈলের বেশ্যাদের এক বেশ্যা তাকে দেখল। ফলে সে নিজের চামড়ার মোজা খুলে তার জন্যে পানি তুলল ও তাকে পান করাল। ফলে এর বিনিময়ে তাকে ক্ষমা করা হল।

17- ঈমান ইয়ামনী, হিকমত ইয়ামনী। আর আমি রহমানের নিঃস্বাশ ইয়ামানের দিক থেকে পাচ্ছি। তবে কুফর, নাফরমানী ও অন্তরের কাঠিন্যতা চিৎকারী উট ও গরু-ছাগলের মালিকদের ভেতর বেশি।

18- “আল্লাহ তা’আলা তিনটি কাজ পছন্দ করেন এবং তিনটি কাজ অপছন্দ করেন

19- এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, ‘আমি ক্ষুধায় কাতর হয়ে আছি।’

20- নিশ্চয় আল্লাহ অনুগ্রহকারী, তিনি প্রত্যেক বস্তুতে অনুগ্রহ করাকে পছন্দ করেন। অতএব, তোমরা যখন হত্যা করবে সেটাও সুন্দরভাবে করবে, আর যখন যবেহ করবে সেটাও সুন্দরভাবে করবে, তোমাদের প্রত্যেকে তার ছুরি ধার দিয়ে নিবে এবং যবেহকৃত জন্তুকে শান্ত হতে দিবে।

21- কোনো মুসলিম যখন সালাত ও যিকিরের জন্য মসজিদে অবস্থান করে, তখন আল্লাহ তার প্রতি খুব খুশি হন, যেমন দূর থেকে কেউ বাড়ি ফিরলে বাড়ির লোকজন খুব খুশি হয়।

22- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি তা পড়তেন এবং তার দুই আঙ্গুলকে রাখতেন।

23- ‘জেনে রেখো আবূ মাসঊদ! ওর উপর তোমার যতটা ক্ষমতা আছে, তোমার উপর আল্লাহ তাআলা আরো বেশি ক্ষমতাবান।’ আমি বললাম: আমি এর পর কখনো গোলামকে প্রহার করব না।

24- হে রব! আমাকে সাহায্য করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না, আমাকে সহযোগিতা করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সহযোগিতা করো না, আমার জন্য কৌশল এঁটো, আমার বিরুদ্ধে কৌশল এঁটো না,আমাকে হেদায়াত দান করো, আমার জন্য হেদায়াতের পথ সহজতর করো এবং যে ব্যক্তি আমার উপর অত্যাচার ও সীমা লংঘন করে তার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করো।

25- এই সালাত এমন তাতে লোকেদের কোনো কথা যথাযথ নয়। (এতে যা বলতে হয়,) তা হল তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন পাঠ।”

26- “ইয়াহুদী ও খৃস্টানদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত, তারা তাদের নবীদের সমাধিসমূহকে উপাসনালয়ে পরিণত করেছে।’’