إعدادات العرض
1- নিশ্চয় আমি আগামীকাল যুদ্ধের পতাকা এমন এক ব্যক্তিকে দিব, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলও তাকে ভালোবাসেন। তার হাতেই আল্লাহ বিজয় দান করবেন।
2- এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সফরে সাওম পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, “যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম রাখ, আর যদি তোমার ইচ্ছা হয় তবে সাওম ভঙ্গ কর।”
3- আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানায় যেতেন তখন আমি ও আমার একটি ছেলে পানির পাত্র এবং ‘আনাযা’ (এমন লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে) নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা শৌচকার্য করতেন।
4- আমি তো আপনাকে দেখলাম কিবলাহ বিহীন দিকে সালাত আদায় করছেন? তিনি বললেন, যদি আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমন করতে না দেখতাম, তবে আমিও তা করতাম না।
5- আমি আনসারগণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (অনেক) কিছু করতে দেখেছি। তাই আমি শপথ করেছি যে, তাঁদের মধ্যে যাঁরই সঙ্গী হব, তাঁরই খিদমত করব।
6- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যেভাবে সলাত আদায় করতেন তোমাদের নিয়ে সেভাবে সালাত আদায় করতে আমি ত্রুটি করবো না।
7- তোমরা বহু এমন (পাপ) কাজ করছ, সেগুলো তোমাদের দৃষ্টিতে চুল থেকেও সূক্ষ্ম (নগণ্য)। কিন্তু আমরা সেগুলোকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে বিনাশকারী মহাপাপ বলে গণ্য করতাম।
8- তোমরা আমার (মৃত্যুর) পর অগ্রাধিকার দেখবে! সুতরাং ধৈর্য ধারণ করবে; যে অবধি তোমরা হাওযের কাছে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করবে।
9- নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু’জন সাহাবী অন্ধকার রাতে তাঁর নিকট থেকে বাইরে গমন করেন। আর তাদের সম্মুখভাগে দু’টো প্রদীপের ন্যায় আলো বিদ্যমান ছিল।
10- তিনি (আমার মা) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের গোপন তথ্য কখনো কাউকে বলবে না। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, আল্লাহর কসম, হে সাবিত! যদি তা কাউকে বলতাম, তাহলে অবশ্যই তোমাকে বলতাম।
11- সে অল্প আমল করে বেশি পুরস্কার পেলো।
12- হে আনসারগণ! আমি কি তোমাদেরকে গুমরাহীর মধ্যে লিপ্ত পাইনি, পরে আল্লাহ আমার দ্বারা তোমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন? তোমরা ছিলে পরস্পর বিচ্ছিন্ন, অতঃপর আল্লাহ আমার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরকে জুড়ে দিয়েছেন। তোমরা ছিলে অভাবগ্রস্ত, অতঃপর আল্লাহ আমার মাধ্যমে তোমাদেরকে অভাবমুক্ত করেছেন।
13- নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জিবরীল এসে বললেন, ‘বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদেরকে আপনারা আপনাদের মাঝে কিরূপ গণ্য করেন?’ তিনি বললেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত গণ্য করি।”
14- প্রত্যেক উম্মতের একজন আমানতদার আছে। আর এ উম্মতের আমানতদার হলো আবূ উবাইদাহ ইবনুর জাররাহ।
15- প্রত্যেক নাবীর হাওয়ারী (জানবাজ সাথী) ছিল, আমার হাওয়ারী হলো যুবায়র।
16- যুবাইর আমার চাচাত ভাই এবং আমার উম্মাত থেকে আমার সাহায্যকারী।
17- আমি এ জন্য কান্না করছি না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য আল্লাহর নিকট যা রয়েছে, তা অধিকতর উত্তম সে কথা আমি জানি না। কিন্তু আমি এজন্য কাঁদছি যে, আসমান হতে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেল।’ উম্মে আইমান (তাঁর এ দুঃখজনক কথা দ্বারা) ঐ দুইজনকে কাঁদতে বাধ্য করলেন। ফলে তাঁরাও তাঁর সাথে কাঁদতে লাগলেন।
18- আজ আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের দ্বার রক্ষক হব।’ সুতরাং আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এসে দরজায় ধাক্কা দিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনি কে?’ তিনি উত্তরে বললেন, ‘আবূ বাকর।’ আমি বললাম, ‘একটু থামুন।’ তারপর আমি আল্লাহর রসূল-এর নিকট গিয়ে নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহ রসূল! উনি আবূ বাকর, প্রবেশ করার অনুমতি চাচ্ছেন।’ তিনি বললেন, “তাকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদও দাও।
19- যখনই কোনো বিষয়ে আমি উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলতে শুনতাম, ‘আমার মনে হয়, এটা এই হবে’ তখনই (দেখতাম) বাস্তবে তাই হত; যা তিনি ধারণা করতেন।
20- কতিপয় লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললো, আমাদের সঙ্গে এমন কিছু লোক দিন যারা আমাদেরকে কুরআন এবং সুন্নাহ শিক্ষা দিবেন। তখন তিনি আনসারদের সত্তর ব্যক্তিকে তাদের সাথে প্রেরণ করলেন। তাদেরকে কুররা (ক্বারী সমাজ) বলা হতো। তাদের মধ্যে আমার মামা হারাম (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুও) ছিলেন।
21- আল্লাহ -আয্যা ওয়া জাল্লা- আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন তোমাকে (لم يكن الذين كفروا) (সূরা আল-বাইয়্যেনাহ) পড়ে শোনাই।
22- হে সা‘দ ইবন মু‘আয! কা‘বার রবের কসম, উহুদের দিক থেকে আমি নিশ্চিতভাবে জান্নাতের সুগন্ধ পাচ্ছি।
23- সাবাস! সেটা তো খুব লাভজনক সম্পদ, সেটা তো খুব লাভজনক সম্পদ। তোমার কথা আমি শুনেছি। তবে আমি ভাল মনে করছি সেটা তুমি নিকট আত্মীয়দের মধ্যেই বণ্টন কর।
24- উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু প্রথম স্তরের মুহাজিরদের জন্য বাৎসরিক চার হাজার দিরহাম ধার্য করলেন।
25- যুবাইর ইবনুল ‘আওয়াম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর মৃত্যু ও তার ঋণ পরিশোধের ঘটনা।
26- যখন ইয়ামানের লোকেরা আসলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কাছে ইয়ামানের লোকেরা এসেছে।
27- তাকে ফিরিশতাগণ নিজেদের ডানা দিয়ে সর্বদা ছায়া দান করছিল।
28- উহুদের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট দুটি বল্লম ছিল। তিনি পাথরে উঠতে চাইলেন কিন্তু পারলেন না। ফলে তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে তার নিচে বসালেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উপর ভর করে পাথরের উপর উঠে সোজা হয়ে দাঁড়ালেন। তারপর তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, তালহার ওপর ওয়াজিব করে দিন।