إعدادات العرض
1- আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এই মর্মে বাইয়াত করলাম যে, দুঃখে-সুখে, আরামে ও কষ্টে এবং আমাদের উপর (অন্যদেরকে) প্রাধান্য দেওয়ার অবস্থায় আমরা তাঁর পূর্ণ আনুগত্য করব। আর রাষ্ট্র নেতার বিরুদ্ধে তার নিকট থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার লড়াই করব না।
2- অদূর ভবিষ্যতে তোমাদের উপর এমন শাসকবৃন্দ নিযুক্ত করা হবে, যাদের (কিছু কাজ) তোমরা ভালো দেখবে এবং (কিছু কাজ) গর্হিত দেখবে। সুতরাং যে ব্যক্তি (তাদের গর্হিত কাজকে) ঘৃণা করবে, সে দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে এবং যে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানাবে, সেও পরিত্রাণ পেয়ে যাবে। কিন্তু যে ব্যক্তি (তাতে) সম্মত হবে এবং তাদের অনুসরণ করবে (সে ধ্বংস হয়ে যাবে)।” সাহাবীগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না?’ তিনি বললেন, “না; যে পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে সালাত কায়েম করবে।”
3- যে ব্যক্তি আনুগত্যতা থেকে বের হয়ে গেল এবং জামাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল এবং এ অবস্থায় মারা গেল সে জাহিলি মৃত্যু বরণ করল। যে ব্যক্তি কোন অন্ধ ঝান্ডার অধীনে জাতিগত কারণে যুদ্ধ অথবা জাতির দিকে আহবান করে অথবা জাতিকে সাহায্য করে নিহত হয়, তার মৃত্যু জাহিলি মৃত্যু।
4- তোমাদের যাবতীয় কর্ম এক ব্যক্তির ওপর ন্যস্ত থাকা অবস্থায় যদি কেউ এসে তোমাদের ঐক্যের লাঠি ভাঙ্গতে চায় এবং তোমাদের জামাতের মধ্যে ফাটল ধরাতে চায় তোমরা তাকে হত্যা করো।
5- তোমরা ধৈর্য ধারণ কর। কারণ, এখন যে যুগ আসবে তার পরবর্তী যুগ ওর চেয়ে খারাপ হবে, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রভূর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।