সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের ফযীলত

সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের ফযীলত

1- আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পাঁচদিন আগে তাঁকে বলতে শুনেছি, “@তোমাদের কেউ আমার খলীল (অন্তরঙ্গ বন্ধু) হওয়া থেকে আমি আল্লাহর কাছে নিষ্কৃতি চাইছি; কেননা আল্লাহ তা‘আলা আমাকে খলীলরূপে গ্রহণ করেছেন, যেমনিভাবে খলীলরূপে গ্রহণ করেছিলেন ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালামকে*। আমি যদি আমার উম্মাতের মধ্যে কাউকে খলীলরূপে গ্রহণ করতাম, তবে আবূ বকরকেই খলীলরূপে গ্রহণ করতাম। সাবধান! তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের নবী ও নেককারদের কবরগুলোকে মাসজিদ বানিয়েছিল। সাবধান! তোমরা কবরগুলোকে মাসজিদ বানিও না। আমি তোমাদের তা থেকে নিষেধ করছি।”

2- একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এমন মর্মস্পর্শী বক্তৃতা শুনালেন, তাতে অন্তর ভীত হল এবং চোখ দিয়ে অশ্রু বয়ে গেল। সুতরাং আমরা বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! মনে হচ্ছে এ যেন বিদায়ী ভাষণ। তাই আপনি আমাদেরকে অন্তিম উপদেশ দিন। তিনি বললেন: “@আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতি এবং (আমীরের) কথা শোনা ও তার আনুগত্য করার উপদেশ দিচ্ছি; যদিও তোমাদের উপর কোন নিগ্রো দাস আমীর হয়। (স্মরণ রাখ) তোমাদের মধ্যে যে আমার পর জীবিত থাকবে, সে অনেক মতভেদ বা অনৈক্য দেখবে। সুতরাং তোমরা আমার সুন্নাত ও সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের রীতিকে আঁকড়ে ধর এবং তা মাড়ির দাঁত দিয়ে মজবুত করে ধর।* আর তোমরা দ্বীনের মধ্যে নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদ‘আত) থেকে বেঁচে থাক। কারণ, প্রত্যেক বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা।”

4- নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোঁজ নিয়ে সাবিত ইবনু কায়েস-কে তাঁর মাজলিসে অনুপস্থিত পেলেন। তখন এক সাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার কাছে তার সংবাদ নিয়ে আসবো। তিনি তাঁর কাছে এসে তাকে তার ঘরে অবনত মস্তকে বসা পেলেন। তিনি বললেন, তোমার কী অবস্থা? তিনি বললেন, অত্যন্ত খারাপ। সাবিত তার গলার স্বর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গলার স্বর থেকে উঁচু করত, ফলে তার আমল নষ্ট হয়ে গেছে। সে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত।তারপর ঐ ব্যক্তি ফিরে এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালেন সাবিত এসব কথা বলেছে। ফলে দ্বিতীয়বার সে মহা সুসংবাদ নিয়ে হাযির হলেন, তিনি বললেন, “@তুমি তাঁর কাছে যাও এবং তাকে বল, তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত নও, বরং তুমি জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত”।