إعدادات العرض
1- নিশ্চয় আল্লাহ সে বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন যে কোনো খাবার গ্রহণের পরে সেটার জন্য আল্লাহর প্রশংসা তথা আল-হামদুলিল্লাহ বলে এবং কোনো পানীয় পান করার পরে সেটার জন্য আল্লাহর প্রশংসা তথা আলহামদুলিল্লাহ বলে।
2- হে বালক! আল্লাহর নাম নাও, তোমার ডান হাত দিয়ে খাও এবং তোমার সামনের থেকে খাও।
3- যখন তোমাদের কেউ খায় সে যেন তার ডান হাত দিয়ে খায় এবং যখন পান করে তখন সে যেন তার ডান হাত দিয়ে পান করে। কারণ, শয়তান তার বাম হাত দিয়ে খায় এবং পান করে।
4- যখন তোমাদের কেউ পেশাব করবে তখন সে যেন তার পুরুষাঙ্গ ডান হাত দিয়ে না ধরে, ডান হাত দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করে। আর (পান করার সময়) পানির পাত্রে যেন নিঃশ্বাস না ফেলে।
5- এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বাম হাতে আহার করছিল। তিনি বললেন, তুমি তোমার ডান হাতে আহার করো। সে বললো, আমি পারবো না । তিনি বললেন, তুমি যেন না-ই পারো। একমাত্র অহংকারই তাকে বাধা দিচ্ছে। সালামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, সে আর তার ডান হাত মুখের কাছে তুলতে পারে নি।
6- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো কোনো খাবারের দোষ-ত্রুটি বলেন নি। ভালো লাগলে তিনি খেতেন এবং খারাপ লাগলে বর্জন করতেন।
7- যখন তোমাদের কেউ খাবার খায় তখন সে তার হাত নিজে চাটা অথবা চাটানো ছাড়া হাত মুছবে না।
8- যে সকল পানীয় নেশা সৃষ্টি করে, তা হারাম।
9- মদ হারাম হওয়ার বিধান নাযির হয়েছে। আর তা পাঁচটি জিনিষ থেকে হয়ে থাকে। আঙ্গুর, খেজুর, মধু, গম ও জব থেকে।
10- যে খাবারে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়নি, শয়তান সে খাদ্যকে হালাল মনে করে। আর নিশ্চয় শয়তান এ মেয়েটিকে নিয়ে এসেছে, যাতে ওর বদৌলতে নিজের জন্য খাদ্য হালাল করতে পারে। কিন্তু আমি তার হাত ধরে ফেললাম। তারপর সে বেদুঈনকে নিয়ে এল, যাতে ওর দ্বারা খাদ্য হালাল করতে পারে। কিন্তু আমি ওর হাতও ধরে নিলাম। সেই মহান সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ আছে, শয়তানের হাত তাদের দু’জনের হাতের সঙ্গে আমার হাতে আটকা আছে।
11- শোনো! যদি এ ব্যক্তি ‘বিসমিল্লাহ’ বলত, তাহলে এ খাবারই তোমাদের সবার জন্য যথেষ্ট হত।
12- তোমরা তোমাদের খাবারে জড়ো হও এবং ‘বিসমিল্লাহ’ বলো, তাহলে তাতে তোমাদের জন্য বরকত দান করা হবে।
13- একসঙ্গে খাবার সময় তোমরা দু’টি খেজুর একসাথে খেয়ো না। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবে জোড়া করতে নিষেধ করেছেন। অতঃপর তিনি বলেন: তবে কেউ তার ভাইয়ের অনুমতি নিলে সে ভিন্ন কথা।
14- সে আমাদের অনুসরণ করে চলে এসেছে। তুমি চাইলে তাকে প্রবেশের অনুমতি দিবে, অন্যথায় সে ফিরে যাবে।
15- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তিন আঙ্গুল দিয়ে খেতে দেখেছি।খাবার শেষে তিনি সেগুলো চেখে খেতেন।
16- যে ব্যক্তি মানুষকে পান করায় সে সবার শেষে পান করবে।
17- আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যমযম পান করিয়েছি। তিনি দাঁড়িয়ে তা পান করেছেন।
18- আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে হাঁটা অবস্থায় আহার করেছি এবং দাঁড়ানো অবস্থায় পান করেছি।
19- তোমাদের কেউ দাঁড়িয়ে পান করবে না।
20- তোমাদের কেউ যেন কখনই দাঁড়িয়ে পান না করে। আর যদি ভুলে যায়, তাহলে সে যেন বমি করে দেয়।
21- নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশক অথবা পানির বড় পাত্রের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতে বারণ করেছেন।
22- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশকের মুখ বাঁকিয়ে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন।
23- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানীয় বস্তুতে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন।
24- একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে পানীয় পরিবেশন করা হলে তিনি তা থেকে পান করলেন, আর তাঁর ডান দিকে ছিল একটি বালক
25- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খাবার খেতেন, তখন তার তিন আঙ্গুলই চাটতেন।
26- দু’জনের খাবার তিনজনের জন্যে যথেষ্ট ও তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট।
27- তোমরা পাত্র ঢেকে দাও,পানির মশকের মুখ বেঁধে দাও, দরজাসমূহ বন্ধ ক’রে দাও, প্রদীপ নিভিয়ে দাও। কেননা, শয়তান মুখ বাঁধা মশক খুলে না, বন্ধ দরজাও খুলে না এবং পাত্রের ঢাকনাও উম্মুক্ত করে না।
28- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবারান্তে আঙ্গুল ও থালা চেটে খাবার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, “তোমরা জান না যে, এর কোনটিতে বরকত নিহিত আছে।”
29- ১৭৯৭- আনাস ইবনে সীরীন হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি অগ্নিপূজক সম্প্রদায়ের কিছু লোকের কাছে আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় রূপার পাত্রে ‘ফালূযাজ’ (নামক এক প্রকার মিষ্টান্ন) আনা হল। তিনি (আনাস ইবনে মালেক) তা খেলেন না। তাদেরকে বলা হল যে, ওটার পাত্র পাল্টে দাও। সুতরাং তা পাল্টে কাঠের পাত্রে রাখা হল এবং তা তাঁর নিকট হাজির করা হল। তখন তিনি তা খেলেন।” হাদীসটি বাইহাকী হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। আর খালনাজ হচ্ছে জাফনাহ (পাত্র)।