আত্মশুদ্ধি

আত্মশুদ্ধি

1- “নিশ্চই হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট*, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে বহু অস্পষ্ট বিষয়, অধিকাংশ লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এ সব অস্পষ্ট বিষয় থেকে দূরে থাকে, সে তার দীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে। আর যে লোক অস্পষ্ট বিষয়ে পতিত হবে, সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত (সরকারী) চারণভূমির আশ-পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে যে, পশু তার অভ্যন্তরে যেয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান! আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হল তার হারামকৃত বিষয়সমূহ। জেনে রাখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা মাংস আছে। যখন তা সুস্থ থাকে, তখন সমস্ত শরীরই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। মনে রেখো, তা হল ’ক্বলব’ (হৃদয়)।”

11- এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে বসে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কয়েকটি গোলাম রয়েছে। তারা আমাকে মিথ্যা বলে, আমার খিয়ানত করে এবং আমার অবাধ্য। আমি এদেরকে গাল-মন্দ ও মারধর করি। সুতরাং তাদের ব্যাপারে আমি কেমন? তিনি বললেন: “@তোমার সাথে তারা যে খিয়ানত করেছে, অবাধ্য হয়েছে এবং মিথ্যা বলেছে আর তুমি এ সবের জন্য তাদের যে শাস্তি দিয়েছ তা হিসাব করা হবে।* যদি তোমার শাস্তি অপরাধের সমান হয় তবে তা যথেষ্ট। এতে তোমার লাভ বা ক্ষতি কোনটিই হবে না। আর শাস্তি যদি এদের অপরাধের চেয়ে কম হয়, তবে তা তোমার অতিরিক্ত মর্যাদা। আর তোমার শাস্তি যদি অপরাধের চেয়ে বেশি হয়, তবে অতিরিক্তটির পরিমাণে তাদের পক্ষে প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে।” রাবী বলেন: লোকটি একপাশে সরে গিয়ে সজোরে কাঁদতে লাগল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তুমি কি আল্লাহর কিতাব পাঠ কর না: ونَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلاَ تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَإِنْ كَانَ مِثْقَالَ যার অর্থ: “এবং কিয়ামত দিবসে আমি স্থাপন করব মানদন্ড, সুতরাং কারো প্রতি কোন অবিচার করা হবে না, যদি তা বিন্দুমাত্রও হয়ে থাকে।” লোকটি বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর কসম! আমার এবং তাদের মধ্যে পৃথক করা ছাড়া উত্তম অন্য কিছু মনে হচ্ছে না। আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি: এরা সবাই মুক্ত।