إعدادات العرض
1- এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের পাঁচটি অধিকার: সালামের জবাব দেওয়া, রুগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচী দাতার জবাব দেওয়া।
2- কোন মুসলিমের জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে তার ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি কথাবার্তা বলা বন্ধ রাখে। যখন তারা পরস্পর সাক্ষাৎ করে, তখন এ এদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং ও ওদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর তাদের দু’জনের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সেই হবে, যে সাক্ষাৎকালে প্রথমে সালাম পেশ করবে।
3- আরোহী পায়ে হাঁটা ব্যক্তিকে, পায়ে হাঁটা ব্যক্তি বসে থাকা ব্যক্তিকে এবং অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোককে সালাম দিবে।
4- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণের মাঝে কি মুসাফাহার প্রচলন ছিলো? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
5- জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওসাল্লামকে জিজ্ঞেস করল, ‘ইসলামের কোন কাজটি উত্তম?’ তিনি বললেন, “খানা খাওয়াবে এবং পরিচিত ও অপরিচিত সবাইকে সালাম দেবে।”
6- একটা লোক বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্য থেকে কোন লোক তার ভাইয়ের সাথে কিম্বা তার বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করলে তার সামনে কি মাথা নত করবে?’
7- দু’জন মুসলিম পরস্পর সাক্ষাৎ করার পর যখন মুসাফাহা করে, তখন তাদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই তাদের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
8- যদি কোনো পুরুষ অথবা বলেছেন কোনো ব্যক্তি তোমার অনুমতি ব্যতীরেকে তোমার দিকে উঁকি মারে আর তুমি তার প্রতি কঙ্কর নিক্ষেপ করে তার চক্ষু উপড়ে ফেলো, এতে তোমার কোন অপরাধ হবে না।
9- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন কথা বলতেন তখন তা বুঝে নেয়ার জন্য তিনবার বলতেন। আর যখন তিনি কোন গোত্রের নিকট এসে সালাম দিতেন, তাদের প্রতি তিনবার সালাম দিতেন।
10- আল্লাহ আদাম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করে বললেন: তুমি যাও। বসে থাকা ফিরিশতাদের ঐ দলটিকে সালাম দাও এবং তারা সালামের কী জবাব দেয় তা মনোযোগ সহকারে শোন? কারণ এটাই তোমার ও তোমার বংশধরের সম্ভাষণ। তাই তিনি বললেন: ‘আস্সালামু আলাইকুম’। তারা জবাবে বললেন: ‘আস্সালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ। তারা তাঁর জবাবে ‘ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বাক্যটি বাড়িয়ে বললেন।
11- একটি লোক নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে এভাবে সালাম করল ‘আসসালামু আলাইকুম’ আর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জবাব দিলেন। অতঃপর লোকটি বসে গেলে তিনি বললেন, “ওর জন্য দশটি নেকী।” তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি এসে ‘আসসালামু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম পেশ করল। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের উত্তর দিলেন এবং লোকটি বসলে তিনি বললেন, “ওর জন্য বিশটি নেকী।
12- নিশ্চয় আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী মানুষ সেই, যে প্রথমে সালাম দেয়।
13- একবার এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসার জন্য অনুমতি চাইল, তিনি বললেন, “তাকে অনুমতি দাও, সে উক্ত বংশের কতই না খারাপ লোক।”
14- আর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য তার দুধের অংশ তুলে রাখতাম। তিনি রাতে আসতেন এবং এমনভাবে সালাম দিতেন যাতে ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত না হয় আর জাগ্রত ব্যক্তি শুনতে পায়।
15- ছোট বড়কে, চলমান বসে থাকা ব্যক্তিকে এবং অল্প সংখ্যক অধিক সংখ্যককে সালাম দিবে।
16- যখন তারা অতিক্রম করে তখন জামা‘আতের পক্ষ থেকে তাদের একজনের সালাম অন্যদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে এবং জামা‘আতের পক্ষ থেকে একজনের উত্তর দেওয়া অন্যদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে।
17- আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু একবার বাচ্চাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি তাদেরকে সালাম দিলেন এবং তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে করতেন (অর্থাৎ তিনিও বাচ্চাদেরকে সালাম দিতেন)।
18- ‘হে হাসানের পিতা! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী অবস্থায় সকাল করলেন?’ তিনি বললেন, ‘আলহামদু লিল্লাহ, তিনি ভাল অবস্থায় সকাল করলেন।
19- আজ আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের দ্বার রক্ষক হব।’ সুতরাং আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এসে দরজায় ধাক্কা দিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনি কে?’ তিনি উত্তরে বললেন, ‘আবূ বাকর।’ আমি বললাম, ‘একটু থামুন।’ তারপর আমি আল্লাহর রসূল-এর নিকট গিয়ে নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহ রসূল! উনি আবূ বাকর, প্রবেশ করার অনুমতি চাচ্ছেন।’ তিনি বললেন, “তাকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদও দাও।
20- হে পেটওয়ালা, আমরা তো প্রত্যুষে বাজারে যাই কেবল সালাম করার উদ্দেশ্যে; যার সাথে সাক্ষাত হবে তাকেই সালাম দিব।
21- তুমি ‘আলাইকাস সালাম’ বলো না; কারণ, ‘আলাইকাস সালাম’ মৃতদের সম্ভাষণ