নফল সালাত

নফল সালাত

22- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যাবতীয় কাজের জন্য ইস্তেখারা শিখাতেন। যেভাবে কুরআনের সূরা শেখাতেন। (আর) বলতেন, ‘যখন তোমাদের কারো কোন বিশেষ কাজ করার ইচ্ছা হয়, তখন সে যেন দু’ রাকআত প’ড়ে এই দুআ বলে। অর্থ, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট তোমার ইলমের উসিলায় মঙ্গল প্রার্থনা করছি। তোমার কুদরতের উসিলায় শক্তি প্রার্থনা করছি এবং তোমার বিরাট অনুগ্রহ থেকে ভিক্ষা যাচনা করছি। কেননা, তুমি শক্তি রাখ, আমি শক্তি রাখি না। তুমি জান, আমি জানি না এবং তুমি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। হে আল্লাহ! যদি তুমি জান এই কাজটি আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের শেষ পরিণামে ভালো, তাহলে তা আমার জন্য নির্ধারিত ও সহজ করে দাও। অতঃপর তাতে আমার জন্য বরকত দান কর। আর যদি তুমি জান এই কাজ আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের শেষ পরিণামে মন্দ, তাহলে তা আমার নিকট থেকে ফিরিয়ে নাও এবং আমাকে ওর নিকট থেকে সরিয়ে দাও। আর যেখানেই হোক মঙ্গল আমার জন্য বাস্তবায়িত কর, অতঃপর তাতে আমার মনকে পরিতুষ্ট করে দাও। তিনি বলেন, “সে তার প্রয়োজনের বিষয়টি উল্লেখ করবে।”

48- আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ যখন ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত পড়বে, তখন সে যেন তার ডান পার্শ্বে শুয়ে যায়।” মারওয়ান ইবন হাকাম তাকে বলল, আমাদের কারো মসজিদের দিকে গমন করা ডান পার্শ্বে শুয়ার জন্য যথেষ্ট হবে না। উবাউদুল্লাহ স্বীয় হাদীসে বলেন: তিনি বললেন, না, তিনি বলেন: বিষয়টি ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন, আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তার ওপর বাড়াবাড়ি করল। তখন ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হলো, তিনি যা বলেন তার কোন কিছু কি আপনি অস্বকীর করেন। সে বলল, “না, তবে সে সাহস দেখিয়েছে আর আমরা ভীরুতা প্রদর্শন করেছি।” তিনি বলেন, বিষয়টি আবূ হুরায়রার নিকট পৌঁছলে তিনি বললেন, আমার কি অপরাধ যদি আমি স্মরণ রাখি এবং তারা ভুলে যায়। সুনানে আবূ দাউদ।