1- হে আনসারগণ! আমি কি তোমাদেরকে গুমরাহীর মধ্যে লিপ্ত পাইনি, পরে আল্লাহ আমার দ্বারা তোমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন? তোমরা ছিলে পরস্পর বিচ্ছিন্ন, অতঃপর আল্লাহ আমার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরকে জুড়ে দিয়েছেন। তোমরা ছিলে অভাবগ্রস্ত, অতঃপর আল্লাহ আমার মাধ্যমে তোমাদেরকে অভাবমুক্ত করেছেন।

2- নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জিবরীল এসে বললেন, ‘বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদেরকে আপনারা আপনাদের মাঝে কিরূপ গণ্য করেন?’ তিনি বললেন, “সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত গণ্য করি।”

3- একটি খেজুর গাছের গুঁড়ি (খুঁটি) ছিল। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুৎবা দানকালে দাঁড়িয়ে তাতে হেলান দিতেন। তারপর যখন (কাঠের) মিম্বর (তৈরি করে) রাখা হলো, তখন আমরা দশ মাসের গর্ভবতী উষ্ট্রীর শব্দের ন্যায় গুঁড়িটির (কান্নার) শব্দ শুনতে পেলাম। পরিশেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মিম্বর হতে) নেমে নিজ হাত তার উপর রাখলে সে শান্ত হলো।

4- আল্লাহর সন্তুষ্টি মাতা-পিতার সন্তুষ্টির মধ্যে, আর আল্লাহর অসন্তুষ্টি মাতা-পিতার অসন্তুষ্টিতে।

5- স্থায়ী সৎকর্মসমূহ হল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সুবাহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবর, আল-হামদু লিল্লাহ আর লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

6- আল্লাহর আযাব থেকে অধিক মুক্তিদানকারী আল্লাহর যিকিরের মতো অধিক কার্যকর আর কোনো আমল আদম সন্তান করে নি।

7- দান-সদকার কারণে কোনো বান্দার সম্পদ হ্রাস পায় না। কোনো বান্দা যদি কোনো বিষয়ে অত্যাচারিত হয় আর তাতে সে ধৈর্য ধারণ করে তবে এতে আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তার ইজ্জত-সম্মান বাড়িয়ে দেন। আর কোনো বান্দা যখন ভিক্ষার দরজা খুলে দেয় তখন আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তার ওপর অভাবের দরজাও খুলে দেন।

8- “তোমাদের সাধারণ ব্যক্তির উপর আমার যতখানি মর্যাদা, ঠিক তেমনি একজন আলিমের মর্যাদা একজন আবিদের উপর”

9- কোনো মুসলিম যদি অপর কোনো মুসলিম রোগীকে সকাল বেলায় দেখতে যায় তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা দো‘আ করতে থাকেন।

10- বান্দা যখন আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে একহাত এগিয়ে যাই, আর সে যখন আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে দুই বাহু পরিমাণ এগিয়ে যাই, আর যদি সে আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে যাই দৌঁড়ে।

11- “এক ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে চলার সময় রাস্তায় একটি কাঁটাযুক্ত ডাল দেখতে পেয়ে তা সরিয়ে ফেলল। আল্লাহ তা’আলা তার এ কাজ সাদরে কবুল করে তার গুনাহ মাফ করে দিলেন”।

12- যে ব্যক্তি প্রথম আঘাতেই টিকটিকি হত্যা করে, তার জন্য একশত নেকী, দ্বিতীয় আঘাতে তার চাইতে কম (নেকী) এবং তৃতীয় আঘাতে তার চাইতে কম (নেকী) হয়।

13- আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন এক মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! কেবলমাত্র পুরুষেরাই আপনার হাদীস শোনার সৌভাগ্য লাভ করছে। সুতরাং আপনি আমাদের জন্যও একটি দিন নির্ধারিত করুন। আমরা সে দিন আপনার নিকট আসব, আপনি আমাদেরকে তা শিক্ষা দেবেন, যা আল্লাহ আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন।’ তিনি বললেন, “তোমরা অমুক অমুক দিন একত্রিত হও।” অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট এসে সে শিক্ষা দিলেন, যা আল্লাহ তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন। তারপর তিনি বললেন, “তোমাদের মধ্যে যে কোন মহিলার তিনটি সন্তান মারা যাবে, তারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে আড় হয়ে যাবে।” এক মহিলা বলল, ‘আর দু’টি সন্তান মারা গেলে?’ তিনি বললেন, “দু’টি মারা গেলেও (তাই হবে)। মুত্তাফাকুন আলাইহি।

14- যে কোনো মুসলিমের তিনটি (নাবালক) সন্তান মারা যাবে, তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। কিন্তু (আল্লাহ) তাঁর কসম পূরা করার জন্যে (যা ঘটার তা ঘটবে) ।

15- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো, সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার কী অভিমত, যে নেক আমল করে এবং লোকেরা তার প্রশংসা করে? তিনি বললেন, “এতো মুমিন ব্যক্তির জন্য অগ্রিম সুসংবাদ।”

16- “তোমরা কুরআন পাঠ কর। কারণ কিয়ামতের দিন তার পাঠকারীর জন্য সে শাফা’আতকারী হিসেবে আসবে

17- ফাতিমা আমার অংশ। যে তাকে কষ্ট দেবে সে যেনো আমাকে কষ্ট দিল।

18- প্রত্যেক উম্মতের একজন আমানতদার আছে। আর এ উম্মতের আমানতদার হলো আবূ উবাইদাহ ইবনুর জাররাহ।

19- প্রত্যেক নাবীর হাওয়ারী (জানবাজ সাথী) ছিল, আমার হাওয়ারী হলো যুবায়র।

20- যুবাইর আমার চাচাত ভাই এবং আমার উম্মাত থেকে আমার সাহায্যকারী।

21- আমি এ জন্য কান্না করছি না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য আল্লাহর নিকট যা রয়েছে, তা অধিকতর উত্তম সে কথা আমি জানি না। কিন্তু আমি এজন্য কাঁদছি যে, আসমান হতে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেল।’ উম্মে আইমান (তাঁর এ দুঃখজনক কথা দ্বারা) ঐ দুইজনকে কাঁদতে বাধ্য করলেন। ফলে তাঁরাও তাঁর সাথে কাঁদতে লাগলেন।

22- আজ আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের দ্বার রক্ষক হব।’ সুতরাং আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এসে দরজায় ধাক্কা দিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনি কে?’ তিনি উত্তরে বললেন, ‘আবূ বাকর।’ আমি বললাম, ‘একটু থামুন।’ তারপর আমি আল্লাহর রসূল-এর নিকট গিয়ে নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহ রসূল! উনি আবূ বাকর, প্রবেশ করার অনুমতি চাচ্ছেন।’ তিনি বললেন, “তাকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদও দাও।

23- উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর নিকট যখন ইয়ামান থেকে সহযোগী যোদ্ধারা আসতেন, তখনই তিনি তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করতেন, ‘তোমাদের মধ্যে কি উয়াইস ইবনে আমের আছে?’ শেষ পর্যন্ত (এক দলের সঙ্গে) উয়াইস (কারনী) (মদীনা) এলেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি উয়াইস ইবনে আমের?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘মুরাদ (পরিবারের) এবং কর্ন (গোত্রের)?’ উয়াইস বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার শরীরে শ্বেত রোগ ছিল, তা এক দিরহাম সম জায়গা ব্যতীত (সবই) দূর হয়ে গেছে?’ উয়াইস বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘তোমার মা আছে?’ উয়াইস বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “মুরাদ (পরিবারের) এবং কর্ন (গোত্রের) উয়াইস ইবনে আমের ইয়ামানের সহযোগী ফৌজের সঙ্গে তোমাদের কাছে আসবে। তার দেহে ধবল দাগ আছে, যা এক দিরহাম সম স্থান ছাড়া সবই ভাল হয়ে গেছে। সে তার মায়ের সাথে সদাচারী হবে। সে যদি আল্লাহর প্রতি কসম খায়, তবে আল্লাহ তা পূরণ ক’রে দেবেন। সুতরাং (হে উমার!) তুমি যদি নিজের জন্য তাকে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনার দুআ করাতে পার, তাহলে অবশ্যই করায়ো।” অতএব তুমি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থন কর। উওয়াইস তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। উমার তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি তোথায় যেতে চাও ? সে বলল, কূফা।

24- যখনই কোনো বিষয়ে আমি উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলতে শুনতাম, ‘আমার মনে হয়, এটা এই হবে’ তখনই (দেখতাম) বাস্তবে তাই হত; যা তিনি ধারণা করতেন।

25- ব্যক্তির পিতার মহব্বতের লোকদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা তার জন্যে সবচেয়ে বড় নেকি।

26- কতিপয় লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললো, আমাদের সঙ্গে এমন কিছু লোক দিন যারা আমাদেরকে কুরআন এবং সুন্নাহ শিক্ষা দিবেন। তখন তিনি আনসারদের সত্তর ব্যক্তিকে তাদের সাথে প্রেরণ করলেন। তাদেরকে কুররা (ক্বারী সমাজ) বলা হতো। তাদের মধ্যে আমার মামা হারাম (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুও) ছিলেন।

27- আল্লাহ -আয্যা ওয়া জাল্লা- আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন তোমাকে (لم يكن الذين كفروا) (সূরা আল-বাইয়্যেনাহ) পড়ে শোনাই।

28- ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিঃসন্দেহে কোন গোলাম যখন তার মনিবের কল্যাণকামী হয় ও আল্লাহর বন্দেগী (যথারীতি) করে, তখন তার দ্বিগুণ সওয়াব অর্জিত হয়।” বুখারী ও মুসলিম। আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে অধীনস্থ গোলাম তার রবের ইবাদত সুন্দরভাবে করে এবং তার ওপর থাকা মালিকের হক, হিতকামনা ও আনুগত্য যথরীতি আদায় করে, তার জন্য দ্বিগুণ সওয়াব রয়েছে।” বুখারী

29- কোনো সন্তান তার পিতার প্রতিদান দিতে পারে না। তবে হ্যাঁ, সে যদি তার পিতাকে ক্রীতদাস হিসেবে দেখতে পায় এবং তাকে ক্রয় করে নিয়ে স্বাধীন করে দেয়।

30- হে সা‘দ ইবন মু‘আয! কা‘বার রবের কসম, উহুদের দিক থেকে আমি নিশ্চিতভাবে জান্নাতের সুগন্ধ পাচ্ছি।

31- সাবাস! সেটা তো খুব লাভজনক সম্পদ, সেটা তো খুব লাভজনক সম্পদ। তোমার কথা আমি শুনেছি। তবে আমি ভাল মনে করছি সেটা তুমি নিকট আত্মীয়দের মধ্যেই বণ্টন কর।

32- উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু প্রথম স্তরের মুহাজিরদের জন্য বাৎসরিক চার হাজার দিরহাম ধার্য করলেন।

33- সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! যদি তোমরা সর্বদা এ অবস্থায় থাকতে, যে অবস্থাতে তোমরা আমার নিকটে থাক এবং সর্বদা আল্লাহর স্মরণে মগ্ন থাকতে, তাহলে ফিরিশতাগণ তোমাদের বিছানায় ও তোমাদের পথে তোমাদের সঙ্গে মুসাফাহা করতেন। কিন্তু হে হানযালাহ! (সর্বদা মানুষের এক অবস্থা থাকে না।) কিছু সময় (ইবাদতের জন্য) ও কিছু সময় (সাংসারিক কাজের জন্য)।

34- যুবাইর ইবনুল ‘আওয়াম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর মৃত্যু ও তার ঋণ পরিশোধের ঘটনা।

35- যখন ইয়ামানের লোকেরা আসলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কাছে ইয়ামানের লোকেরা এসেছে।

36- তাকে ফিরিশতাগণ নিজেদের ডানা দিয়ে সর্বদা ছায়া দান করছিল।

37- জিবরীল রেশমের সবুজ একটি কাপড়ের টুকরায় আয়েশার ছবি নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসলেন এবং বললেন, এ তোমার দুনিয়া ও আখিরাতে স্ত্রী।

38- নিশ্চয় ইব্রাহীম আমার ছেলে, সে দুধপান অবস্থায় মারা গিয়েছে। তার জন্য জান্নাতে দুইজন দূধ পানকারিনী রয়েছে যারা তার দুধ পান করার (অসম্পন্ন) সময়কে সম্পন্ন করবে।

39- উহুদের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট দুটি বল্লম ছিল। তিনি পাথরে উঠতে চাইলেন কিন্তু পারলেন না। ফলে তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে তার নিচে বসালেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উপর ভর করে পাথরের উপর উঠে সোজা হয়ে দাঁড়ালেন। তারপর তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, তালহার ওপর ওয়াজিব করে দিন।

40- হানাহানির সময় ইবাদত করা আমার দিকে হিজরত করার সমতুল্য।

41- তোমরা কুরআন মাজীদ পাঠ কর। কেননা কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে।

42- “যখন কোনো মুসলিম কিংবা কোনো মুমিন বান্দা অযু করে অতঃপর সে তার চেহারা ধৌত করে, তখন তার চেহারা হতে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সকল গুনাহ বের হয়ে যায় যার দিকে তার দু’চোখের দৃষ্টি পড়েছিল।

43- “আল্লাহ কি তোমাদের জন্য সাদকাহ করার মত জিনিস দান করেননি? নিঃসন্দেহে প্রত্যেক তাসবীহ সাদকাহ, প্রত্যেক তাকবীর সাদকাহ, প্রত্যেক তাহলীল সাদকাহ, ভাল কাজের নির্দেশ দেওয়া সাদকাহ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকাহ এবং তোমাদের স্ত্রী-মিলন করাও সাদকাহ।”

44- “যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের কোনো পার্থিব দুর্ভোগ দূরীভূত করবে, আল্লাহ তার থেকে কিয়ামতের দিনের দুর্ভোগসমূহের মধ্যে কোনো একটি দুর্ভোগ দূর করবেন

45- “হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর সমীপে তাওবা কর ও তাঁর নিকট ক্ষমা চাও! কেননা, আমি প্রতিদিন এক শো বার তাওবা করি”।

46- “ব্যাপক গণহত্যা চলাকালিন সময়ে ইবাদাত করা আমার কাছে হিজরতের সমতুল্য”।

47- “দু’জন মুসলিম পরস্পর সাক্ষাৎ করার পর যখন মুসাফাহা করে, তখন তাদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই তাদের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়”।

48- “যে ব্যক্তি আমাদের কাছ থেকে কিছু শোনে এবং যেমন শুনেছে তেমনভাবে তা পৌঁছে দেয়, আল্লাহ তাকে তরতাজা করুন, কারণ অনেক বাহক শ্রোতার চেয়ে বেশি জ্ঞানী”।

49- আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! কার সঙ্গে আমি অধিক সদ্ব্যবহার করব? তিনি বললেন: “তোমার মায়ের সঙ্গে।” আমি বললাম: এরপর কার সঙ্গে? তিনি বললেন: “তোমার মায়ের সঙ্গে।” আমি বললাম: এরপর কার সঙ্গে? তিনি বললেন: “তোমার মায়ের সঙ্গে।” আমি বললাম: পরে কার সঙ্গে? তিনি বললেন: “তারপর পিতার সঙ্গে, এরপর নিকটতম আত্মীয়কে ক্রমান্বয়ে।”

50- “লোকেরা যদি আযান দেয়া ও সালাতের প্রথম কাতারে কী (ফযীলত) রয়েছে জানত, অতঃপর তা অর্জন করতে লটারির বিকল্প না পেত, তাহলে অবশ্যই তারা লটারি করত।”