সালাতের ফযীলত

সালাতের ফযীলত

1- “মুনাফিকদের ওপর সবচেয়ে কঠিন সালাত হলো এশা ও ফজরের সালাত। তারা যদি তার ফযিলত জানতো তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত*। আর আমি ইচ্ছে করেছি, সালাতের আদেশ দিব তারপর ইকামাত দেয়া হবে তারপর একজনকে মানুষদের নিয়ে সালাত আদায় করতে বলব। অতঃপর আমি কতক মানুষ যাদের সাথে লাকড়ির বোঝা থাকবে তাদেরকে নিয়ে সেসব লোকদের কাছে যাবো যারা সালাতে উপস্থিত হয় না এবং তাদের ওপর তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিব।”

3- “যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করলো সে আল্লাহর যিম্মাদারিতে থাকলো*। অতএব আল্লাহ যেন আপন যিম্মাদারীর কোন বিষয় সম্পর্কে তোমাদের বিপক্ষে বাদী না হন। কারণ তিনি যার বিপক্ষে আপন দায়িত্বের কোন ব্যাপারে বাদী হবেন, তাকে (নিশ্চিত) ধরতে পারবেনই। অতঃপর তিনি তাকে উপুড় করে জাহান্নামের আগুনে ফেলবেন।”

4- এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন: @আপনি কী মনে করেন , যদি আমি ফরয সালাতসমূহ আদায় করি, রমাদানের সিয়াম পালন করি, হালালগুলোকে হালাল মানি এবং হারামসমূহকে হারাম মনে করি,* আর এর থেকে বেশি কিছু পালন না করি, তবুও কি আমি জান্নাতে যেতে পারব? তিনি উত্তর দিলেন: “হ্যাঁ।” তখন প্রশ্নকারী বললেন: আল্লাহর কসম! আমি এগুলোর থেকে বেশি কিছুই করব না।

6- سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: @أَيُّ العَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ؟ قَالَ: «الصَّلاَةُ عَلَى وَقْتِهَا»، قَالَ: ثُمَّ أَيٌّ؟ قَالَ: «ثُمَّ بِرُّ الوَالِدَيْنِ» قَالَ: ثُمَّ أَيٌّ؟ قَالَ: «الجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ»* قَالَ: حَدَّثَنِي بِهِنَّ، وَلَوِ اسْتَزَدْتُهُ لَزَادَنِي. ‘আমি নবী@ কে প্রশ্ন করলাম,আল্লাহর নিকট কোন আমলটি সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি বললেন, “যথা সময়ে সালাত আদায় করা।” আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ’তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, “পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।” আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ’তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, “আল্লাহর পথে জিহাদ করা।* তিনি বলেন, এতটুকু তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন। যদি আমি আরো জিজ্ঞেস করতাম তাহলে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আরো বলতেন।

9- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুক্ত গোলাম ছাউবান রদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে সাক্ষাৎ করে বললাম: আমাকে এমন একটি কাজের কথা বলে দিন, যা করলে আল্লাহ আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি বললেন: আমি জিজ্ঞাসা করলাম: আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজের ব্যাপারে, তখন তিনি চুপ থাকলেন। আমি আবার তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এবারও চুপ থাকলেন। আমি তৃতীয়বার তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন: আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন: @“তুমি আল্লাহর জন্য অবশ্যই বেশি বেশি সিজদা করবে; কেননা তুমি যখনই আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করবে, আল্লাহ তা’আলা এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা একধাপ বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তোমার একটি গুনাহও মাফ করে দিবেন।”* মা‘দান বলেন: অতপর আমি আবুদ দারদা রদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকেও এ কথা জিজ্ঞেস করলে, তিনি ছাউবান রদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে যা বলেছিলেন, তিনিও সেটাই বললেন।