হজ ও ‘উমরাহ

হজ ও ‘উমরাহ

2- “এমন কোন দিন নাই যাতে নেক আমল করা আল্লাহর নিকট এ দিনগুলো অর্থাৎ যিলহজ্জ মাসের দশ দিনের নেক আমল অপেক্ষা অধিক প্রিয় হবে।* সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহর পথে জিহাদও কি তদপেক্ষা প্রিয় হবে না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: না; আল্লাহর পথে জিহাদও তদপেক্ষা অধিক প্রিয় নয়। তবে কোন ব্যক্তি যদি জান-মাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হয়ে যায় এবং দুটির কিছু নিয়ে আর ফিরে না আসতে পারে তবে তার কথা স্বতন্ত্র।”

10- “(এক) স্বামী কিংবা মাহরাম(যার সাথে কখনো বিবাহ জায়েয নেই) ব্যতীত কোন মহিলা দু’দিনের পথ সফর করবে না।* (দুই)‘ঈদুল ফিতর এবং ‘ঈদুল আযহা- এ দুই দিন কেউ সাওম পালন করবে না। (তিন)‘আসরের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের পর সূর্য উদয় পর্যন্ত কেউ কোন সালাত আদায় করবে না। (চার)আর মাসজিদে হারাম,মাসজিদে আকসা এবং আমার এই মাসজিদ (মাসজিদে নাববী) এ তিন মাসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মাসজিদের জন্য সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে না।”

12- আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন একজন আনসারী মহিলাকে জিজ্ঞাসা করলেন - (বর্ণনাকারী বলেন:) ইবনু ‘আব্বাস তার নাম বলেছিলেন, তবে আমি তার নাম ভুলে গিয়েছি-: “তোমাকে কিসে আমাদের সাথে হজ করতে বাধা দিল?” মহিলা জবাব দিলেন: আমাদের মাত্র দুটি পানি সিঞ্চনের কাজে ব্যবহৃত উট রয়েছে, সেখান থেকে একটি তার সন্তানের পিতা ও সন্তান হজ করতে নিয়ে গেছেন আর অপরটি আমাদের পানি সিঞ্চনের কাজে রেখে গেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন @“যখন রমাদান আসবে তখন তুমি উমরাহ করবে; কেননা রমাদানে উমরাহ পালন করা হজের সমতুল্য।”