إعدادات العرض
1- এই কুরআনের প্রতি যত্ন নাও। সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে, উট যেমন তার রশি থেকে অতর্কিতে বের হয়ে যায়, তার চেয়ে অধিক অতর্কিতে কুরআন [স্মৃতি থেকে] বের হয়ে যায়।
2- তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিখে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।
3- তোমরা তোমাদের ঘরসমূহকে কবর বানাবে না। নিশ্চয় যে ঘরে সূরা বাকারাহ তিলাওয়াত করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান পলায়ন করে।
4- “যে ব্যক্তি সূরা বাকারার শেষ থেকে দুটি আয়াত তিলাওয়াত করল, সে দুটি আয়াত তার জন্য যথেষ্ট হল।”
5- যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের একটি হরফ তিলাওয়াত করে তার জন্য রয়েছে সাওয়াব। আর সাওয়াব দশগুণ বৃদ্ধি করে প্রদান করা হয়।
6- “মহান আল্লাহ বলেছেনঃ আমার এবং আমার বান্দার মাঝে সালাতকে অর্ধেক করে ভাগ করেছি। আমার বান্দার জন্য রয়েছে সে যা চায়
7- আমি কি তোমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরা শিক্ষা দিব না?
8- কুরআন তিলাওয়াতকারী এবং এতে দক্ষ ব্যক্তি সম্মানিত পূণ্যবানদের সাথে থাকবেন (জান্নাতে)। আর যে ব্যক্তি ভেঙ্গে ভেঙ্গে অতি কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কুরআন তিলাওয়াত করে, সে দ্বিগুণ পুরস্কার পাবে।
9- তুমি কি দেখনি যে, আজ রাতে আমার ওপর যে কয়েকটি আয়াত নাযিল হয়েছে তার ন্যায় মর্যাদাময় আর কোনো আয়াতই দেখা যায়নি? তা হলো সূরা ফালাক এবং সূরা নাস।
10- “কুরআনের ধারককে বলা হবে: তুমি পাঠ কর এবং উপরে উঠতে থাক। তারতীল সহকারে সুন্দর করে পাঠ করবে যেভাবে তুমি দুনিয়াতে তারতীল সহকারে সুন্দর করে পাঠ করতে। নিশ্চয় তোমার সর্বশেষ পাঠকৃত আয়াতের স্থানেই তোমার আবাসস্থল।”
11- হে আবুল মুনযির! তুমি কি জান, তোমার সাথে থাকা আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ? তখন আমি বললাম: اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ [আল-বাকারা:২৫৫]। এ কথা শুনে তিনি আমার বুকের উপর হাত মেরে বললেন: হে আবুল মুনযির! তোমার ইলমকে স্বাগত।”
12- নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিদিন রাতে যখন বিছানায় যেতেন, তখন তিনি তার দু হাতের তালু একত্রিত করে সূরা ইখ্লাস {قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ}, সূরা ফালাক {قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ} ও সূরা নাস {قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ}
13- কেবল দু’টি বিষয়ে ইর্ষা করা যায়: (১) যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দিয়েছেন এবং তাকে বৈধ পন্থায় অকাতরে ব্যয় করার ক্ষমতাও দিয়েছেন।(২) যাকে আল্লাহ তাআলা প্রজ্ঞা দান করেছেন। সে তার মাধ্যমে বিচার ফয়সালা করে ও তা অন্যকে শিক্ষা দেয়।
14- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন লোককে সৈন্যদলের আমীর বানিয়ে পাঠান। সে সাথীদের নিয়ে পড়ত, তবে সূরা ইখলাস দ্বারা কিরাত শেষ করতেন।
15- একদা একটি লোক সূরা কাহাফ পাঠ করছিল। তার পাশেই দুটো রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল।
16- তোমাকে দাউদের সুললিত কণ্ঠের মত মধুর কণ্ঠ দান করা হয়েছে।
17- কিয়ামতের দিন কুরআন ও কুরআনের ধারকদ- যারা তার ওপর দুনিয়াতে আমল করত. তাদের উপস্থিত করা হবে।
18- নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা এই কিতাব দ্বারা কতক লোককে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন এবং কতককে অবনমিত করেন।
19- তোমরা কুরআন মাজীদ পাঠ কর। কেননা কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে।