1- “ব্যক্তির ইসলামের সৌন্দর্য হল: অনর্থক কথা-কাজ ত্যাগ করা।”

2- “যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় তিন প্রকার আমল ছাড়া। সাদাকা জারিয়াহ্(চালু থাকে এমন) অথবা এমন ইলম যার দ্বারা উপকার হয় অথবা পুণ্যবান সন্তান যে তার জন্যে দু’আ করতে থাকে”।

3- “মুমীন দোষারোপকারী , অভিশাপ-কারী, নির্লজ্জ ও অশ্লীল-ভাষী হয় না।”

4- “যে ব্যক্তি لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك، وله الحمد، وهو على كل شيء قدير দিনে একশত বার বলবে

5- একজন বৃদ্ধ ব্যক্তির হৃদয় দুটি জিনিসে তরুণ থাকে: দুনিয়ার মহব্বত এবং আশার দৈর্ঘ্য।

6- আনন্দ বিনাশকারীকে বেশি বেশি স্মরণ করো," অর্থাৎ মৃত্যু।

7- “তোমরা ক্রন্দনরত অবস্থা ছাড়া এমন লোকদের আবাস স্থলে প্রবেশ করো না যারা নিজেরাই নিজেদের উপর জুলুম করেছে

8- “চাটাই বুননের মত এক এক করে ফিতনা মানুষের অন্তরে আসতে থাকে

9- যখন তোমাদের কেউ খাবার খায় তখন সে তার হাত নিজে চাটা অথবা চাটানো ছাড়া হাত মুছবে না।

10- যখন আল্লাহ কিয়ামতের দিন প্রথম ও শেষ সকলকে একত্রিত করবেন, তখন প্রতিটি বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং বলা হবে: 'এটি অমুকের পুত্র অমুকের বিশ্বাসঘাতকতা।'

11- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাতটি জিনিসের আদেশ করেছেন এবং সাতটি জিনিস হতে বারণ করেছেন

12- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের একটি আংটি বানালেন।

13- যে সকল পানীয় নেশা সৃষ্টি করে, তা হারাম।

14- মদ হারাম হওয়ার বিধান নাযির হয়েছে। আর তা পাঁচটি জিনিষ থেকে হয়ে থাকে। আঙ্গুর, খেজুর, মধু, গম ও জব থেকে।

15- আল্লাহর পথে একদিন পাহারা দেওয়া পৃথিবী এবং এর মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম

16- যদি কোনো পুরুষ অথবা বলেছেন কোনো ব্যক্তি তোমার অনুমতি ব্যতীরেকে তোমার দিকে উঁকি মারে আর তুমি তার প্রতি কঙ্কর নিক্ষেপ করে তার চক্ষু উপড়ে ফেলো, এতে তোমার কোন অপরাধ হবে না।

17- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন; তবে দুই, তিন কিংবা চার অঙ্গুলি পরিমাণ ছাড়া।

18- আমি কি তোমাদেরকে তিন ব্যক্তি সম্পর্কে সংবাদ দেব ? তাদের একজন আল্লাহর দিকে এগিয়ে এসেছে, তাই আল্লাহ তাকে স্থান দিয়েছেন। অন্যজন (ভীড় ঠেলে অগ্রসর হতে অথবা ফিরে যেতে) লজ্জাবোধ করেছেন। তাই আল্লাহও তার থেকে লজ্জাবোধ করেছেন অর্থাৎ আল্লাহ তাকে রহমত থেকে বঞ্চিত করতে লজ্জাবোধ করেছেন। আর অপরজন (মজলিসে হাজির হওয়া থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই আল্লাহও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

19- তিনি বলেন, “বল, হে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকর্তা, উপস্থিত ও অনুপস্থিত পরিজ্ঞাতা, প্রত্যেক বস্তুর প্রতিপালক ও অধিপতি আল্লাহ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি আমার আত্মার মন্দ হতে এবং শয়তানের মন্দ ও শির্ক হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

20- আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভ্যাস ছিল: সন্ধ্যায় উপনীত হলে বলতেন: (অর্থ) আমরা ও সারা রাজ্য আল্লাহর জন্য সন্ধ্যায় উপনীত হলাম। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই।

21- মানুষ এক ঘুম ঘুমাবে আর তার অন্তর থেকে আমানত তুলে নেওয়া হবে। তখন একটি বিন্দুর মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। পুনরায় এক ঘুম ঘুমাবে। আবারো তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেওয়া হবে। তখন আগুনের আঙ্গারার মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে।

22- হে আল্লাহর রসূল! নিঃসন্দেহে আমি একে ভালবাসি।’ (এ কথা শুনে) নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, “তুমি কি (এ কথা) তাকে জানিয়েছ?” সে বলল, ‘না।’ তিনি বললেন, “তাকে জানিয়ে দাও।” সুতরাং সে (দ্রুত) তার পিছনে গিয়ে (তাকে) বলল, ‘আমি আল্লাহর ওয়াস্তে তোমাকে ভালবাসি।’ সে বলল, ‘যাঁর ওয়াস্তে তুমি আমাকে ভালবাস, তিনি তোমাকে ভালবাসুন।’

23- আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানায় প্রবেশ করতেন তখন আমি ও আমার মত একটি ছেলে পানির পাত্র এবং ‘আনাযা’ (এমন লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে) নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা শৌচকার্য করতেন।

24- আল্লাহ তাআলাকে সম্মান করার এক প্রকার হচ্ছে: পাকা চুলওয়ালা বয়স্ক মুসলিম, সীমালঙ্ঘন ও অতিরঞ্জন পরিহারকারী কুরআনের বাহক (হাফেয ও আলেম) এবং ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর সম্মান করা।

25- আমি তো আপনাকে দেখলাম কিবলাহ বিহীন দিকে সালাত আদায় করছেন? তিনি বললেন, যদি আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমন করতে না দেখতাম, তবে আমিও তা করতাম না।

26- যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই মেহমানের পারিতোষিকসহ তার সম্মান করে। লোকেরা বলল, ‘তার পারিতোষিক কী? হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, “একদিন ও একরাত (উত্তমভাবে পানাহারের ব্যবস্থা করা)। আর সাধারণতঃ মেহমানের খাতির তিন দিন পর্যন্ত। তিনদিনের অতিরিক্ত হবে মেহমানের ওপর সাদকাহ স্ব¦রূপ।

27- আমি আনসারগণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (অনেক) কিছু করতে দেখেছি। তাই আমি শপথ করেছি যে, তাঁদের মধ্যে যাঁরই সঙ্গী হব, তাঁরই খিদমত করব।

28- তোমার দীন, তোমার সততা এবং তোমার আমলের পরিণাম আল্লাহকে সঁপে দিলাম।

29- মানুষ (দুনিয়াতে) যাকে ভালবাসে (কিয়ামতে) সে তারই সাথী হবে।

30- যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান জানে না সে আমার দলভুক্ত নয়।

31- যে মুসলমান আমানাতদার কোষাধ্যক্ষ মালিকের আদেশ অনুযায়ী কাজ করে এবং সে ভালো মনে তাকে পূর্ণ মাল দেয়, যাকে মালিক দেওয়ার আদেশ করেন, সেও সাদকাহকারীদের মধ্যে একজন গণ্য হয়।

32- নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে দুই ভাই ছিল। তাদের মধ্যে একজন নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে (দ্বীন শিক্ষার জন্য) আসত আরেকজন কোনো পেশায় নিয়োজিত ছিল। অতঃপর উপার্জনশীল (ভাইটা) নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তার (শিক্ষার্থী) ভাইয়ের (কাজ না করার) অভিযোগ করল। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সম্ভবতঃ তোমাকে তার কারণেই রুযী দেওয়া হচ্ছে।”

33- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বাহনের পিঠে সালাত আদায় করতেন। যেদিকেই তার মুখ হতো সেদিকেই মুখ করতেন। তিনি মাথা দ্বারা ইশারা করতেন। আর ইবন উমার এ কাজটি করতেন।

34- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে কিশোর ছিলাম। আমি তাঁর কথাগুলি মুখস্থ ক’রে নিতাম। কিন্তু আমাকে কথা বলতে একটাই জিনিস বাধা সৃষ্টি করত যে, সেখানে আমার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ উপস্থিত থাকত।

35- “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য তার এ কাজের বিনিময়ে জান্নাত ওয়াজেব ক’রে দিয়েছেন অথবা তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত ক’রে দিয়েছেন।”

36- আমি তোমার নিকট আল্লাহর সংবাদ বাহক যে, তুমি যেরূপ তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাস সেরূপই আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে ভালবাসেন।

37- মিসকীন সে নয়, যাকে একটি খেজুর এবং দু’টি খেজুর এবং এক গ্রাস বা’ দুই গ্রাস (অন্ন) দেওয়া হয়, বরং মিসকীনতো ঐ ব্যক্তি(অভাব থাকা সত্বেও) চাওয়া থেকে দূরে থাক।

38- যে ব্যক্তি প্লেগ রোগে আক্রান্ত হবে এবং সে নিজ দেশে ধৈর্য সহকারে নেকীর নিয়তে অবস্থান করবে, সে জানবে যে, তাকে তাই স্পর্শ করবে যা আল্লাহ তাআলা তার জন্য লিখে দিয়েছেন, তাহলে সে ব্যক্তির জন্য শহীদের মত পুরস্কার রয়েছে।

39- আমার উম্মতের ভেতর মুফলিস/গরীব হচ্ছে ওই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন উঠবে অনেক সালাত, সিয়াম ও যাকাত নিয়ে, সে আসবে ঠিকই, অথচ একে গালি দিয়েছে, একে অপবাদ দিয়েছে, এর মাল খেয়েছে, এর রক্ত প্রবাহিত করেছে, একে প্রহার করেছে, ফলে একে তার সাওয়াব থেকে দেওয়া হবে, এবং একে তার সাওয়াব থেকে দেওয়া হবে।

40- তোমরা ‘ইয়া যাল জালালি ওয়াল-ইকরাম’ বাক্যটিকে সর্বদা অধিক হারে বলো।

41- যখন তোমাদের কেউ কোন মজলিসে আসে, তখন সে যেন সালাম দেয়। যখন সে দাঁড়াতে চায়, তখন যেন সালাম দেয়। প্রথমটি শেষটির চেয়ে বেশি যোগ্য নয়।

42- “একজন মুসলিম বান্দা তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দুআ করলে তা কবুল হয়

43- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যেভাবে সলাত আদায় করতেন তোমাদের নিয়ে সেভাবে সালাত আদায় করতে আমি ত্রুটি করবো না।

44- জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যে তর্ক-বির্তক হলো। জাহান্নাম বললো, যতো স্বৈরাচারী যালিম ও অহংকারীরা আমার মধ্যে প্রবেশ করবে। জান্নাত বলল, ফকীর-মিসকীন ও দুর্বল ব্যক্তিরা আমার মধ্যে প্রবেশ করবে।

45- যে ব্যক্তি ক্রোধ সংবরণ করবে অথচ সে তা বাস্তবায়িত করার ক্ষমতা রাখে। আল্লাহ তা‘আলা তাকে কিয়ামতের দিন সমস্ত সৃষ্টির সামনে ডেকে হুর থেকে যত ইচ্ছা গ্রহণ করার এখতিয়ার দিবেন।

46- তোমরা বহু এমন (পাপ) কাজ করছ, সেগুলো তোমাদের দৃষ্টিতে চুল থেকেও সূক্ষ্ম (নগণ্য)। কিন্তু আমরা সেগুলোকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে বিনাশকারী মহাপাপ বলে গণ্য করতাম।

47- তোমরা আমার (মৃত্যুর) পর অগ্রাধিকার দেখবে! সুতরাং ধৈর্য ধারণ করবে; যে অবধি তোমরা হাওযের কাছে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করবে।

48- আল্লাহ তা‘আলা যখন তার কোনো বান্দার কল্যাণ চান তখন তাড়াতাড়ি দুনিয়াতে তাকে শাস্তি প্রদান করেন। আর যখন তিনি তার কোনো বান্দার অকল্যাণ চান তখন তাকে তার অপরাধের শাস্তি প্রদান থেকে বিরত থাকেন। যাতে কিয়ামতের দিন তিনি তাকে পুরাপুরি শাস্তি দেন।

49- “যাকে এ সব কন্যা সন্তান দিয়ে কোন পরীক্ষা করা হয়, অতঃপর সে তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করে, এ কন্যারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে প্রতিবন্ধক হবে”।

50- “তোমরা দুর্বলদের (দু‘আয়) ওয়াসীলায়ই সাহায্য প্রাপ্ত ও রিয্ক প্রাপ্ত হচ্ছ”।

51- আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন বলবেন, ‘আমার মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরস্পরকে যারা ভালবেসেছিল তারা কোথায়? আজকের দিন আমি তাদেরকে আমার ছায়ায় আশ্রয় দেব, যেদিন আমার (আরশের) ছায়া ছাড়া অন্য কোন ছায়া নেই।

52- যে ব্যক্তি কোন রোগীকে দেখতে যায় অথবা তার কোন ভাইকে আল্লাহর ওয়াস্তে দেখতে যায়, সে ব্যক্তিকে এক (গায়বী) আহবানকারী আহবান ক’রে বলে, ‘সুখী হও তুমি, সুখকর হোক তোমার যাত্রা আর জান্নাতে তোমার একটি প্রাসাদ হোক।

53- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন কথা বলতেন তখন তা বুঝে নেয়ার জন্য তিনবার বলতেন। আর যখন তিনি কোন গোত্রের নিকট এসে সালাম দিতেন, তাদের প্রতি তিনবার সালাম দিতেন।

54- নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু’জন সাহাবী অন্ধকার রাতে তাঁর নিকট থেকে বাইরে গমন করেন। আর তাদের সম্মুখভাগে দু’টো প্রদীপের ন্যায় আলো বিদ্যমান ছিল।

55- মু’মিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সাথী হবে না । আর মুত্তাকী ব্যতীত অন্য কেউ যেন তোমার খাবার না খায়।

56- একটি লোক নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে নিবেদন করল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি সফরে যাব, সুতরাং আমাকে পাথেয় দিন।’ তিনি উত্তরে এই দু‘আ দিলেন, আল্লাহ তোমাকে তাকওয়া অবলম্বনের পাথেয় দান করুন।

57- তিনি (আমার মা) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের গোপন তথ্য কখনো কাউকে বলবে না। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, আল্লাহর কসম, হে সাবিত! যদি তা কাউকে বলতাম, তাহলে অবশ্যই তোমাকে বলতাম।

58- “যে খাবারে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়নি, শয়তান সে খাদ্যকে হালাল মনে করে

59- “আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন বলবেন, ‘আমার মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরস্পরকে যারা ভালবেসেছিল তারা কোথায়? তাদের জন্য রয়েছে নূরের মিম্বারসমূহ। যার প্রতি নবী ও শহীদগণ আগ্রহ করবে।

60- আল্লাহ আদাম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করে বললেন: তুমি যাও। বসে থাকা ফিরিশতাদের ঐ দলটিকে সালাম দাও এবং তারা সালামের কী জবাব দেয় তা মনোযোগ সহকারে শোন? কারণ এটাই তোমার ও তোমার বংশধরের সম্ভাষণ। তাই তিনি বললেন: ‘আস্সালামু আলাইকুম’। তারা জবাবে বললেন: ‘আস্সালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ। তারা তাঁর জবাবে ‘ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বাক্যটি বাড়িয়ে বললেন।

61- হে আল্লাহর রাসূল! যদি কেউ আমার সম্পদ ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয় তবে আমি কি করব?

62- চল্লিশটি সৎকর্ম আছে তার মধ্যে উচ্চতম হল, দুধ পানের জন্য (কোন দরিদ্রকে) ছাগল সাময়িকভাবে দান করা। যে কোন আমলকারী এর মধ্য হতে যে কোন একটি সৎকর্মের উপর প্রতিদানের আশা করে ও তার প্রতিশ্রুত পুরস্কারকে সত্য জেনে আমল করবে, তাকে আল্লাহ তার বিনিময়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

63- তোমরা সুপারিশ কর তোমাদের সাওয়াব দেওয়া হবে, আর আল্লাহ তাঁর নবীর মুখে তাই ফায়সালা করবেন, যা তিনি পছন্দ করেন।

64- যখন কিয়ামত নিকটবর্তী হবে তখন মুমিনের স্বপ্ন খুব কমই মিথ্যা হবে। আর মুমিনের স্বপ্ন নবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।

65- সে অল্প আমল করে বেশি পুরস্কার পেলো।

66- আদম সন্তান যখন সকালে উপনীত হয় তখন তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিহ্বার কাছে মিনতি প্রকাশ করে এবং বলে, আমাদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো, আমরা তো তোমার দ্বারাই পরিচালিত হই। তুমি ঠিক থাকলে আমরাও ঠিক থাকি, আর তুমি বক্র হলে আমরাও বক্র হয়ে যাই।

67- “দুনিয়া হলো মু’মিনের জেলখানা আর কাফিরের জান্নাত”।

68- নিশ্চয় আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী মানুষ সেই, যে প্রথমে সালাম দেয়।

69- রাত্রিকালে এমন একটি সময় রয়েছে যে সময় কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কোনো কল্যাণের প্রার্থনা করলে আল্লাহ অবশ্যই তাকে তা দান করেন। আর সে সময়টি রয়েছে প্রতি রাতে।

70- সবচেয়ে বড় মিথ্যাসমূহের অন্যতম হলো, কোনো ব্যক্তি কর্তৃক এমন কাউকে পিতা বলে দাবী করা যিনি তার পিতা নয়, অথবা আপন চক্ষু দিয়ে (স্বপ্নে) এমন কিছু দেখার দাবি করা যা দেখতে পায়নি। অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর এমন কথা বলার দাবি করা যা তিনি বলেন নি।

71- আমি আসহাবে সুফ্ফার সত্তরজনকে দেখেছি, তাদের কারো গায়ে বড় চাদর ছিল না।

72- এক ব্যক্তি এক মহিলাকে চুম্বন করে ফেলল। পরে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বিষয়টি অবগত করালো। তখন আল্লাহ তা‘আলা আয়াত নাযিল করেন: “আর আপনি সালাত কায়েম করুন দিবসের দু’প্রান্তে এবং রাতের প্রথম অংশে। নিশ্চয় ভালো কাজ মন্দ কাজকে মিটিয়ে দেয়।” (সূরা হূদ, আয়াত: ১১৪)

73- এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, “হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ তথা শরী‘আত নির্ধারিত শাস্তি পাওয়ার যোগ্য কাজ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আমার ওপর তা প্রয়োগ করুন।

74- একবার এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসার জন্য অনুমতি চাইল, তিনি বললেন, “তাকে অনুমতি দাও, সে উক্ত বংশের কতই না খারাপ লোক।”

75- আমাদেরকে দুনিয়ার জীবনে যা দেওয়ার সবই দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমরা আশংকা করছি যে, আমাদের সৎকর্মগুলো (বিনিময়) আগেই (এ দুনিয়াতে) দিয়ে দেওয়া হয় নি তো?

76- “হে হাকীম, এই সম্পদ শ্যামল সুস্বাদু

77- আল্লাহ তাআলার নিকট উত্তম সঙ্গী হলো যে তার নিজ সঙ্গীর নিকট উত্তম। আল্লাহ তাআলার দৃষ্টিতে উত্তম প্রতিবেশী হলো যে তার নিজের প্রতিবেশীর নিকট উত্তম।

78- সর্বোত্তম ব্যক্তি হলো সে ব্যক্তি যে দীর্ঘায়ু পেয়েছে এবং উত্তম আমল করেছে।

79- “দরজার সামনে থেকে বের করে দেওয়া এলোমেলো চুল বিশিষ্ট বহু লোক রয়েছে যারা আল্লাহর উপর ভরসা করে কোন ব্যাপারে শপথ করলে আল্লাহ তা’আলা তা সত্যে পরিণত করে দেন”।

80- সৎকাজ করবে না বলে যে আল্লাহর নামে শক্ত কসম করেছে সে লোকটি কোথায়?

81- আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়েছিলাম, তখন আশ্চর্য হয়ে দেখলাম, যারা তাতে প্রবেশ করেছেন তাদের অধিকাংশই হলো দরিদ্র জনগণ। আর যারা ধনী তারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আছে।

82- আর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য তার দুধের অংশ তুলে রাখতাম। তিনি রাতে আসতেন এবং এমনভাবে সালাম দিতেন যাতে ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত না হয় আর জাগ্রত ব্যক্তি শুনতে পায়।

83- “তোমাদের কোন ব্যক্তি প্রত্যহ এক হাজার নেকী অর্জন করতে অপারগ হবে কি?”

84- “আমার বিশ্বাস তোমরা শুনেছ, আবূ উবাইদাহ বাহরাইন থেকে কোনো কিছু নিয়ে এসেছেন।”

85- “আয় আল্লাহ্! আখিরাতের জীবনই সত্যিকারের জীবন। কাজেই আপনি আনসার আর মুহাজিরদের কল্যাণ করুন”।

86- নিশ্চয়ই এই পৃথিবী অভিশপ্ত এবং এর মধ্যে যা কিছু আছে তা অভিশপ্ত, আল্লাহর স্মরণ এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি ছাড়া এবং আলিম বা ছাত্র ছাড়া।

87- সম্পদের আধিক্য ধনাঢ্যতা নয়, প্রকৃত ধনাঢ্যতা হল অন্তরের ধনাঢ্যতা।

88- ঐ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মধ্যে সংশোধন করার জন্যে ভালো কথা পৌঁছায় অথবা ভালো কথা বলে।

89- এ ব্যক্তি দুনিয়া ভর্তি ঐরূপ লোকের চেয়ে অনেক উত্তম।

90- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোনো কিছু চাওয়া হলে তিনি কখনো না বলতেন না।

91- যদি মুমিন জানত যে, আল্লাহর নিকট কী শাস্তি রয়েছে, তাহলে কেউ তার জান্নাতের আশা করত না। আর যদি কাফের জানত যে, আল্লাহর নিকট কী করুণা রয়েছে, তাহলে কেউ তার জান্নাত থেকে নিরাশ হত না।

92- আল্লাহর কসম, আল্লাহর নিকট দুনিয়া তোমাদের কাছে এটার চেয়েও বেশী মূল্যহীন।

93- যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কিছু খরচ করে, তার জন্য সাতশ’ গুণ নেকী লেখা হয়।

94- যে ব্যক্তি আমাকে এ নিশ্চয়তা দিবে যে, সে মানুষের কাছে কোনো কিছু চাইবে না, আমি তাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দিব।

95- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম আমাদের নিকট দিয়ে গেলেন, তখন আমরা আমাদের একটি কুঁড়েঘর মেরামত করছিলাম।

96- শোনো! যদি এ ব্যক্তি ‘বিসমিল্লাহ’ বলত, তাহলে এ খাবারই তোমাদের সবার জন্য যথেষ্ট হত।

97- “তোমরা একত্রে আহার করো এবং খাদ্য গ্রহণের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের খাদ্যে বরকত দেয়া হবে”।

98- একসঙ্গে খাবার সময় তোমরা দু’টি খেজুর একসাথে খেয়ো না। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবে জোড়া করতে নিষেধ করেছেন। অতঃপর তিনি বলেন: তবে কেউ তার ভাইয়ের অনুমতি নিলে সে ভিন্ন কথা।

99- “যখন আমাকে মি‘রাজে নিয়ে যাওয়া হলো, সে সময় এমন ধরনের কিছু মানুষের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম, যাদের নখ ছিল তামার, তা দিয়ে তারা নিজেদের মুখমণ্ডল খামচে ক্ষত-বিক্ষত করছিল

100- ‘‘যে সরল পথ ও ইলম দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে তা ঐ বৃষ্টি সদৃশ যা যমীনে পৌঁছে