ফযীলত ও শিষ্ঠাচার - الصفحة 2

ফযীলত ও শিষ্ঠাচার - الصفحة 2

18- لَا تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا، وَلَا تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا، أَوَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ؟ أَفْشُوا السَّلَامَ بَيْنَكُمْ “তোমরা ঈমান না আনা পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আর তোমাদের ঈমান পরিপূর্ণ হবে না যতক্ষণ না তোমরা একে অপরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন কোন জিনিস বলে দিব না, যার মাধ্যমে তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে? (তা হলো) তোমরা পরস্পরের মাঝে সালামের ব্যাপক প্রসার করো।”

22- الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، -ثلاثًا-»، وَمَا مِنَّا إِلَّا، وَلَكِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّلِ ‘ শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক।শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক। শুভাশুভ নির্ণয় করা শির্ক।” একথা তিনি তিনবার বললেন। (বর্ণনাকারী বলেন) এমন কিছু আমাদের অনেকের মনে সৃষ্টি হতেই পারে, তবে তা মহান আল্লাহ তাঁর প্রতি তাওয়াক্কুল-ভরসা দ্বারা দূর করে দিবেন।’

73- রাসূল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কতক সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! ধনীরাই তো বেশী নেকীর অধিকারী হয়ে গেল। তারা সালাত পড়ছে যেমন আমরা সালাত পড়ছি, তারা সিয়াম রাখছে যেমন আমরা রাখছি এবং (আমাদের চেয়ে তারা অতিরিক্ত কাজ এই করছে যে,) নিজেদের প্রয়োজন-অতিরিক্ত মাল থেকে তারা সাদকাহ করছে।’ তিনি বললেন, “আল্লাহ কি তোমাদের জন্য সাদকাহ করার মত জিনিস দান করেননি? নিঃসন্দেহে প্রত্যেক তাসবীহ সাদকাহ, প্রত্যেক তাকবীর সাদকাহ, প্রত্যেক তাহলীল সাদকাহ, ভাল কাজের নির্দেশ দেওয়া সাদকাহ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকাহ এবং তোমাদের স্ত্রী-মিলন করাও সাদকাহ।” সাহাবাগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কেউ স্ত্রী-মিলন ক’রে নিজের যৌন ক্ষুধা নিবারণ করে, তবে এতেও কি তার পুণ্য হবে?’ তিনি বললেন, “কি রায় তোমাদের, যদি কেউ অবৈধভাবে যৌন-মিলন করে, তাহলে কি তার পাপ হবে? অনুরূপ সে যদি বৈধভাবে (স্ত্রী-মিলন করে) নিজের কাম-ক্ষুধা নিবারণ করে, তাহলে তাতে তার পুণ্য হবে।

95- আমরা আপনাকে কীভাবে সালাম দেব তা জানলাম। তবে কীভাবে আপনার উপর সালাত পেশ করবো? তিনি বললেন, তোমরা বলো, হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ এর উপর রহমত প্রেরণ করো এবং মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনের উপর। যেমন তুমি রহমত প্রেরণ করেছো ইবরাহীমের উপর। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত। আর বরকত নাযিল করো মুহাম্মাদের উপর এবং মুহাম্মাদের পরিবার পরিজনের উপর যেমন বরকত নাযিল করেছো ইবরাহীমের উপর। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও মহিমান্বিত।