আল-কুরআনুল কারীম ও কুরআন সংক্রান্ত বিবিধ বিদ্যা

আল-কুরআনুল কারীম ও কুরআন সংক্রান্ত বিবিধ বিদ্যা

8- “হে চাচাজান! ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ কালিমা পাঠ করুন, তা হলে এর দ্বারা আমি আল্লাহর সমীপে আপনার জন্য সুপারিশ করতে পারবো।” তখন আবূ জাহাল ও ‘আবদুল্লাহ্ ইবন আবূ উমায়্যাহ তাকে বলে উঠল, তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের মিল্লাত হতে বিমুখ হবে? নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট কালিমাহ বারবার পুনরাবৃত্তি করতে লাগলেন। অবশেষে আবূ তালিব তাদের সামনে শেষ কথাটি যা বলল, তা এই যে, সে আবদুল মুত্তালিবের মিল্লাতের উপর অবিচল রয়েছে, সে ‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলতে অস্বীকার করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আল্লাহর কসম! তবুও আমি আপনার জন্য মাগফিরাত কামনা করতে থাকব, যতক্ষণ না আমাকে তা হতে নিষেধ করা হয়।” এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা‘আলা নাযিল করেন: “নবীর জন্য সংগত নয় এবং ঈমানদারদের জন্যও সংগত নয় যে,তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে।” [সূরা আত-তাওবা: ১১৩] আর আল্লাহ তা‘আলা আবূ তালিব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নাযিল করেন: “আপনি যাকে পছন্দ করেন তাকে হিদায়াত দিতে পারবেন না। তবে আল্লাহ যাকে চান তাকেই হিদায়াত দান করেন।” [সূরা আল-কাসাস: ৫৬]

26- নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “তুমি আমার সামনে কুরআন তিলাঅত কর।” আমি আরজ করলাম, ‘আমি আপনার সামনে তিলাওয়াত করব, অথচ তা আপনার উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে?’ তিনি বললেন, “আমি অন্যের কাছ থেকে তা শুনতে ভালবাসি।” অতএব তার নিকট আমি সূরা ‘নিসা’ তিলাওয়াত করলাম। পরিশেষে যখন আমি এ আয়াতে এসে পৌঁছলাম; যার অর্থ, “তখন তাদের কী অবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজ সাক্ষী (নবী) উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাদের সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব?” তখন তিনি আমাকে বললেন, “যথেষ্ট, এবার থাম।” আমি তাকিয়ে দেখলাম, তাঁর চক্ষু দু’টি থেকে অশ্রুধারা প্রবাহিত হচ্ছে।